রায়গঞ্জ, 22 অক্টোবর : রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালী মন্দির ৷ বয়রা গাছের নিচে ডাকাতরা এই পুজো শুরু করেছিল ৷ সেই থেকেই বয়রা কালী মন্দির নামেই পরিচিত স্থানীয়দের কাছে ৷ উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন পুজো ৷ তবে মন্দির কমিটির কর্মকর্তাদের অবশ্য জানা নেই যে, কবে ঠিক এই পুজো শুরু হয়েছিল ৷ জাগ্রত এই মন্দিরে বছরের প্রতিদিনই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে ৷
উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জে অবস্থিত বয়রা কালী মন্দির ৷ কথিত, কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতি নদীতে নৌকা নিয়ে এক সময় ডাকতের দল যাতায়াত করত ৷ এখন যেখানে মন্দিরটি রয়েছে, সেখানে সে সময় একটি জঙ্গল ছিল ৷ জঙ্গলে আমলকি, হরিতকি, বয়রা গাছ ছিল ৷ তারই মধ্যে একটি বয়রা গাছের নিচে বেদী বানিয়ে সেখানেই ফুল, জল দিয়ে পুজো করত ডাকাতরা ৷ পরে সেই বেদীতেই কালীপুজো শুরু করে স্থানীয়রা ৷ প্রথমে মাটির তৈরি কাঁচা ঘরের মন্দিরে পুজো হত ৷ পরে এলাকাবাসী ও ভক্তদের দানে বিশালাকার মন্দির নির্মাণ করা হয় ৷
মন্দিরের সেবাইত সমর ভট্টাচার্য বলেন, "মা খুবই জাগ্রত ৷ তাই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন পুজো দিতে ৷ মানসিক করেন ৷ দীপাবলির রাতে আনুমানিক লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয় ৷ প্রাচীন পদ্ধতিতে পুজো করা হয় ৷ বিশেষত্ব হল মা-কে পাঁচ রকমের মাছ ভাজা ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় ৷ আর কিছু জুটুক বা না জুটুক মাছ ভাজাটা দিতেই হবে ৷"
কালীমন্দিরের সম্পাদক সৌমেশ লাহিড়ি বলেন, "মা বয়রা কতটা জাগ্রত সেটা ভক্তরা খুব ভালো করে জানেন ৷ এখানে কোনও ভেদাভেদ নেই ৷ সবাই একসঙ্গে বসে প্রসাদ গ্রহণ করে ৷ কমিটির সদস্যরা পুজোর সময় তিন-চার দিন ঘর বাড়ি ছেড়ে মন্দিরেই পড়ে থাকেন ৷ পুজোটাকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করে ৷ " কালিয়াগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনও সবরকমভাবে সাহায্য করে থাকে ৷