ETV Bharat / state

রায়গঞ্জের বয়রা কালীপুজোর ভোগে থাকে পাঁচরকম মাছ

author img

By

Published : Oct 22, 2019, 12:05 PM IST

কালিয়াগঞ্জে শ্রীমতি নদীর জঙ্গলে বয়রা গাছের নিচে একসময় ডাকতরা এই পুজো শুরু করেছিল ৷ এখানকার বিশেষত্ব দীপাবলিতে কালীর ভোগে পাঁচ রকম মাছভাজা থাকবেই ৷ দূরদূরান্ত থেকে লক্ষাধিক ভক্তদের সমাগম হয় ৷ প্রাচীন পদ্ধতি মেনেই পুজো করা হয় ৷

কালী মন্দির

রায়গঞ্জ, 22 অক্টোবর : রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালী মন্দির ৷ বয়রা গাছের নিচে ডাকাতরা এই পুজো শুরু করেছিল ৷ সেই থেকেই বয়রা কালী মন্দির নামেই পরিচিত স্থানীয়দের কাছে ৷ উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন পুজো ৷ তবে মন্দির কমিটির কর্মকর্তাদের অবশ্য জানা নেই যে, কবে ঠিক এই পুজো শুরু হয়েছিল ৷ জাগ্রত এই মন্দিরে বছরের প্রতিদিনই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে ৷

উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জে অবস্থিত বয়রা কালী মন্দির ৷ কথিত, কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতি নদীতে নৌকা নিয়ে এক সময় ডাকতের দল যাতায়াত করত ৷ এখন যেখানে মন্দিরটি রয়েছে, সেখানে সে সময় একটি জঙ্গল ছিল ৷ জঙ্গলে আমলকি, হরিতকি, বয়রা গাছ ছিল ৷ তারই মধ্যে একটি বয়রা গাছের নিচে বেদী বানিয়ে সেখানেই ফুল, জল দিয়ে পুজো করত ডাকাতরা ৷ পরে সেই বেদীতেই কালীপুজো শুরু করে স্থানীয়রা ৷ প্রথমে মাটির তৈরি কাঁচা ঘরের মন্দিরে পুজো হত ৷ পরে এলাকাবাসী ও ভক্তদের দানে বিশালাকার মন্দির নির্মাণ করা হয় ৷

Raiganj Boyra Kali Temple
রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালীমন্দির

মন্দিরের সেবাইত সমর ভট্টাচার্য বলেন, "মা খুবই জাগ্রত ৷ তাই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন পুজো দিতে ৷ মানসিক করেন ৷ দীপাবলির রাতে আনুমানিক লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয় ৷ প্রাচীন পদ্ধতিতে পুজো করা হয় ৷ বিশেষত্ব হল মা-কে পাঁচ রকমের মাছ ভাজা ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় ৷ আর কিছু জুটুক বা না জুটুক মাছ ভাজাটা দিতেই হবে ৷"

দেখুন ভিডিয়ো

কালীমন্দিরের সম্পাদক সৌমেশ লাহিড়ি বলেন, "মা বয়রা কতটা জাগ্রত সেটা ভক্তরা খুব ভালো করে জানেন ৷ এখানে কোনও ভেদাভেদ নেই ৷ সবাই একসঙ্গে বসে প্রসাদ গ্রহণ করে ৷ কমিটির সদস্যরা পুজোর সময় তিন-চার দিন ঘর বাড়ি ছেড়ে মন্দিরেই পড়ে থাকেন ৷ পুজোটাকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করে ৷ " কালিয়াগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনও সবরকমভাবে সাহায্য করে থাকে ৷

রায়গঞ্জ, 22 অক্টোবর : রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালী মন্দির ৷ বয়রা গাছের নিচে ডাকাতরা এই পুজো শুরু করেছিল ৷ সেই থেকেই বয়রা কালী মন্দির নামেই পরিচিত স্থানীয়দের কাছে ৷ উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন পুজো ৷ তবে মন্দির কমিটির কর্মকর্তাদের অবশ্য জানা নেই যে, কবে ঠিক এই পুজো শুরু হয়েছিল ৷ জাগ্রত এই মন্দিরে বছরের প্রতিদিনই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে ৷

উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জে অবস্থিত বয়রা কালী মন্দির ৷ কথিত, কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতি নদীতে নৌকা নিয়ে এক সময় ডাকতের দল যাতায়াত করত ৷ এখন যেখানে মন্দিরটি রয়েছে, সেখানে সে সময় একটি জঙ্গল ছিল ৷ জঙ্গলে আমলকি, হরিতকি, বয়রা গাছ ছিল ৷ তারই মধ্যে একটি বয়রা গাছের নিচে বেদী বানিয়ে সেখানেই ফুল, জল দিয়ে পুজো করত ডাকাতরা ৷ পরে সেই বেদীতেই কালীপুজো শুরু করে স্থানীয়রা ৷ প্রথমে মাটির তৈরি কাঁচা ঘরের মন্দিরে পুজো হত ৷ পরে এলাকাবাসী ও ভক্তদের দানে বিশালাকার মন্দির নির্মাণ করা হয় ৷

Raiganj Boyra Kali Temple
রায়গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালীমন্দির

মন্দিরের সেবাইত সমর ভট্টাচার্য বলেন, "মা খুবই জাগ্রত ৷ তাই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন পুজো দিতে ৷ মানসিক করেন ৷ দীপাবলির রাতে আনুমানিক লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয় ৷ প্রাচীন পদ্ধতিতে পুজো করা হয় ৷ বিশেষত্ব হল মা-কে পাঁচ রকমের মাছ ভাজা ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় ৷ আর কিছু জুটুক বা না জুটুক মাছ ভাজাটা দিতেই হবে ৷"

দেখুন ভিডিয়ো

কালীমন্দিরের সম্পাদক সৌমেশ লাহিড়ি বলেন, "মা বয়রা কতটা জাগ্রত সেটা ভক্তরা খুব ভালো করে জানেন ৷ এখানে কোনও ভেদাভেদ নেই ৷ সবাই একসঙ্গে বসে প্রসাদ গ্রহণ করে ৷ কমিটির সদস্যরা পুজোর সময় তিন-চার দিন ঘর বাড়ি ছেড়ে মন্দিরেই পড়ে থাকেন ৷ পুজোটাকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করে ৷ " কালিয়াগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনও সবরকমভাবে সাহায্য করে থাকে ৷

Intro:রায়গঞ্জ, ২১ অক্টোবর, প্রসুন মৈত্র: ডাকাত দলের বয়রা গাছের নীচে বেদীতে করাই কালীপূজো আজ উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালী মন্দিরের পূজা। প্রাচীন এই পূজোর বয়স কত তার হিসেব এখনকার মন্দির কমিটির কর্মকর্তাদের অজানা। তবে ভক্তি নিষ্ঠা আর জাগ্রতা বয়রা কালীমাতার মাহাত্ম্য আজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে। সারাবছর প্রতিদিনই মায়ের মন্দিরে পূন্যার্থীদের সমাগম থাকলেও দীপাবলীর রাতের পূজো দেখতে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম ঘটে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরের বয়রা কালীমন্দিরে। রাতভর চলে মানত করা কয়েকশো পাঠাবলি। পরদিন কয়েক হাজার মানুষ ধনী থেকে দরিদ্র মায়ের মন্দির চত্বরে বসে অন্নভোগ সেবা নিয়ে থাকেন। আর বিশাল এই কর্মযজ্ঞে সর্বতোভাবে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় পুলিশ ও প্রশাসন।

কথিত আছে, কালিয়াগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্রীমতী নদী দিয়ে নৌকা করে ডাকাতি করতে আসত ডাকাত দলেরা। কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতী নদীর ধারে এই এলাকায় ছিল আমলকি হরিতকি ও বয়রার গাছের জঙ্গল। একটি বয়রা গাছের নীচে বেদীতে ফুল জল দিয়ে পূজো করতেন ডাকাতদল। সেই বেদীতেই শুরু হয় কালীমাতার পূজো। বয়রা গাছের নীচে কালীমাতার পূজো হওয়ায় এই পূজোর নাম হয় বয়রা কালীমাতার পূজো। প্রথমে কাঁচা ঘরের মন্দিরে হত পূজো। ধীরে ধীরে এলাকার বাসিন্দা ও ভক্তদের দানে কালিয়াগঞ্জে নির্মিত হয় সুদৃশ্য বিশালাকার বয়রা কালী মন্দির। এই কালীমাতার পূজোর বিশেষ নিয়ম পাঁচ রকমের মাছ ভাজা দিয়ে ভোগ দেওয়া হয়। জাগ্রতা বলে হাজার হাজার পূনার্থী বয়রা কালীমন্দিরে পূজো দিতে আসেন। তারা মানতও করেন। নিত্যদিনই পূজো হয় বয়রা মায়ের। তবে দীপাবলির পূজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালীমন্দিরে। কালিয়াগঞ্জের পুলিশ প্রশাসন সর্বতোভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন বয়রা কালীমন্দিরের পূজোয়।

বাইট ১) সমর ভট্টাচার্য ( সেবাইত, বয়রা কালীমন্দির)
২) সৌমেশ লাহিড়ী ( সম্পাদক, বয়রা কালীমন্দির পূজো কমিটি)Body:AbcdConclusion:Abcd
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.