রায়গঞ্জ, 26 মে : দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে চরম সমস্যায় পড়েছে উৎসব অনুষ্ঠান ভবনের মালিকেরা। বন্ধ রয়েছে সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান৷ এর ফলে সমস্যার মুখে পড়েছে সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনের মালিকেরা। অন্য রাজ্যের মতো রায়গঞ্জে সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনগুলি বন্ধ হয়ে আছে। কারণ কোরোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে চতুর্থ দফার লকডাউন৷ রাজ্য সরকারের নির্দেশে জমায়েত করে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। ফলে রায়গঞ্জ শহরের প্রায় 20 টি সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনে কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে না। পৌরসভা পরিচালিত সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠান ভবনগুলিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সহ আরও অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মাইনে দিতে হচ্ছে৷ এই অনুষ্ঠান ভবনগুলি বিরাট অংশের আয় আসত। কিন্তু এই লকডাউনের কারণে সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
পৌরসভার কর দেওয়ার পাশাপাশি, ব্যাঙ্কের ঋণের কিস্তি ও অন্যান্য খরচও বহন করতে হচ্ছে এই সময়৷ কিন্তু লকডাউনের জেরে ব্যবসা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন অনুষ্ঠান ভবনগুলির মালিকেরা। গোবিন্দ বোস নামে এক ভবনের মালিক জানিয়েছেন, “লকডাউনের কারণে সব অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই লকডাউনের মাসে প্রায় 20 টি বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে গিয়েছে। যাঁরা অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা অগ্রিম টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। 5-6 জন কর্মী আছেন, তাঁরা ভবনটি দেখাশোনা করেন। তাঁদেরকে বেতন দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কেও কিস্তি দিতে হচ্ছে।” ফলে চরম সমস্যায় ভবনের মালিকরা, জানান গোবিন্দবাবু।
অন্যদিকে অপর এক অনুষ্ঠান বাড়ির মালিক অমৃতলাল রায় বলেন," বিয়ে, অন্নপ্রাশন ও মিটিং নিয়ে প্রায় 40 টি অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে গিয়েছে। ফলে একটি বিরাট অঙ্কের ক্ষতির মুখে পরতে হয়েছে। এমনকী অগ্রহায়ণ মাসে ভাড়াও বাতিল হয়ে গিয়েছে। কোনও মিটিং হলে তার ভাড়া 15 হাজার টাকা, ছেলের বৌভাত হলে 26 হাজার টাকা আর মেয়ের বিয়ের ভাড়া 36 হাজার টাকা হত।আমাদের ক্ষতি হল এই লকডাউনে।" আগামী বছর কি হবে তা বলা যাচ্ছে না বলে জানান অমৃতলালবাবু। অ
পরদিকে রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌরপতি সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, মানুষের ব্যবহারের স্বার্থে তৈরি করা হয়েছিল এই ভবনগুলি। লকডাউনের কারণে পৌরসভার ভবনগুলিতে কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে ওই অনুষ্ঠান ভবনগুলির থেকে পৌরসভার যে আয় হত অনেকটাই ঘাটতি হয়েছে এই লকডাউনের কারণে বলে জানান সন্দীপবাবু।