রায়গঞ্জ, 13 অক্টোবর : এখনও সম্পূর্ণ হয়নি মণ্ডপের কাজ । এরই মাঝে বুধবার ভার্চুয়ালি উত্তর দিনাজপুরের সাতটি পুজোর উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । হঠাৎ এই নির্দেশ আসতেই ওই পুজো কমিটিগুলির উদ্যোক্তারা বিপাকে পড়েছেন । তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সময় অনুযায়ী পুজো উদ্বোধনের সমস্ত ব্যবস্থা করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে কমিটিগুলো ।
সমস্যার বিষয়টি স্বীকার না করলেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ যে তাদের বেশ চাপে ফেলেছে তা স্পষ্ট । তবে তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্বোধন করলে তার মর্যাদা অনেকটাই বেড়ে যাবে । অন্যদিকে হঠাৎ করে জেলার পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে বলে মত জেলা BJPর সভাপতির । তাঁর অভিযোগ, 21-এর বিধানসভা ভোটের আগে মানুষের মনে জায়গা ফিরে পেতেই হঠাৎ জেলার পুজো উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
বুধবার উত্তর দিনাজপুরের সাতটি পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী । বিকেল 4টের সময় তিনি এই পুজোগুলির উদ্বোধন করবেন । পুজোগুলি হল- রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর সার্বজনীন, অমর সুব্রত, রবীন্দ্র ইনস্টিটিউশন, কালিয়াগঞ্জের শেঠ কলোনি ঐক্য সম্মিলনী, দক্ষিণ আখানগর ইয়ং অ্যাথলেটিক ক্লাব এবং ইসলামপুরের আদর্শ সংঘ ও কমলা মেমোরিয়াল ক্লাব ।
উদ্বোধনের সময় ক্লাব কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিটি পুজোর উদ্বোধন প্রাঙ্গণে প্রশাসনিক আধিকারিক এবং পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে । যদিও এই পুজো কমিটিগুলির মণ্ডপ সজ্জা সম্পূর্ণ না হওয়ার আগেই এই উদ্বোধন নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে । প্রতি বছর সাধারণত তৃতীয়া বা চতুর্থীতে এই পুজোগুলোর উদ্বোধন হয় । এবার এতদিন আগে পুজো উদ্বোধন হওয়ার কারণ স্পষ্ট নয় বলেই দাবি করছেন অনেকে । যদিও মুখ্যমন্ত্রী তাদের পুজো উদ্বোধন করবে বলে ক্লাব কর্তারা খুশি ।
রায়গঞ্জের সুদর্শনপুর ক্লাবের কর্মকর্তা তথা রায়গঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর নয়ন দাস বলেন, "আমাদের পুজোর প্যান্ডেল যতটা হয়েছে তাতেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন এটা গর্বের ব্যাপার । আমাদের পুজো মণ্ডপে প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন ।"
এদিকে BJP-র উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন,"আচমকা জেলার সাতটি পুজো উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । যেসকল পুজো কমিটি এখনও পর্যন্ত তাদের মণ্ডপের কাজ শেষ করে উঠতে পারেনি তাদের পুজো উদ্বোধন করে আদতে কি লাভ ? মূলত উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুজো উদ্বোধন হয় তৃতীয়া বা চতুর্থীতে । আসলে জেলার পুজো উদ্বোধন করে ভোটের আগে নিজের দিকে সমর্থন টানার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী । "