রায়গঞ্জ, 13 সেপ্টেম্বর: উত্তর দিনাজপুরের বাহিন জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো (Bahin Zamindar Bari Pujo) ৷ তবে, এই পুজো বহু বছর হল সর্বজনীন হয়ে গিয়েছে ৷ বাহিন গ্রামের বাসিন্দারাই এই পুজোর আয়োজন করেন ৷ জমিদার বাড়ির শহুরে সদস্য়রা ভগ্ন প্রায় বাড়ি ও পুজোর খোঁজও নেন না ৷ তবুও, গ্রামের একমাত্র এই দুর্গাপুজোকে (Durga Puja 2022) কোনও ক্রমে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাহিনের বাসিন্দারা ৷
বাহিনের জমিদার বাড়ির পুজো শুরু করেছিলেন অবিভক্ত বাংলাদেশের দিনাজপুরের জমিদার রুদ্রপ্রতাপ চৌধুরী ৷ বাহিন, কুমারজল, মাকড়া, মধুপুর, লহুজগ্রাম সহ বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে তাঁর জমিদারি ছিল ৷ নাগর নদীর ধার ঘেঁষে ছিল জমিদারের প্রাসাদোপম অট্টালিকা ৷ সেখানেই হত বাহিনের দুর্গাপুজো ৷ পুজোর সময় 7 দিন জমিদার বাড়িতে প্রজাদের জন্য ভুরিভোজের আয়োজন করা হত ৷ কিন্তু, এখন আর সেই জাঁকজমক তো দূর ভগ্ন প্রায়, জঙ্গলে ভরা জমিদার বাড়ির খোঁজও নেন না বর্তমান সদস্যরা ৷ কিন্তু, গ্রামবাসীরাই সেই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন ৷ তবে, আগের মতো যাত্রাপালা, সার্কাস ও মেলা বসে না ৷ হয় না 7 দিন ধরে এলাহি খানাপিনাও ৷ শুধু নিয়ম মেনে পুজোটুকু করেন গ্রামবাসীরা ৷
আরও পড়ুন: নাড়াজোল রাজবাড়ির 610 বছরের দুর্গাপুজো, মায়ের আরাধনায় ব্রাত্য মহিলারাই
তবে, 2 বছর ধরে করোনার কারণে পুজো সেভাবে করা সম্ভব হয়নি ৷ ফলে, এ বছর পুজোর আয়োজনে সামান্য জাঁকজমক করা হচ্ছে বলে জানান পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা বিশু দাস ৷ গ্রামের বাসিন্দারা চাঁদা তুলে পুজোর আয়োজন করেন ৷ তবে, পুরনো ঐতিহ্যকে বজায় রেখে দশমীর দিন থেকে বাহিনে মেলার আয়োজন করা হয় ৷ আশেপাশের গ্রামের লোকজনও এই পুজোয় অংশ নেন ৷ দশমীর দিনের মেলাকে কেন্দ্র করে বেশ হইহুল্লোড় হয় বাহিন গ্রামে ৷
আরও পড়ুন: আজানের সঙ্গেই শুরু হয় দেবীর আরাধনা, সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ ভালিয়ার সরকার বাড়ির দুর্গোৎসব