ETV Bharat / state

ক্ষতির মুখে হোটেল ব্যবসা, সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন

লকডাউনের কারণে চূড়ান্ত ক্ষতির সম্মুখীন হোটেল ব্যবসা । রায়গঞ্জের হোটেল মালিকরা সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন । এখনও পর্যন্ত হোটেল মালিকরা বেতন দিতে পারলেও কতদিন দিতে পারবেন ঠিক নেই । কার্যত দিশেহারা মালিক ও কর্মীরা । অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়ে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা ।

aa
হোটেল ব্যবসা
author img

By

Published : May 19, 2020, 4:39 PM IST

রায়গঞ্জ, 19 মে: লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত বহু ধরনের ব্যবসা । অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ব্যবসা ছাড়া অন্যান্য সব ব্যবসাই প্রায় বন্ধ রয়েছে । মাথায় হাত পড়েছে সেইসব ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষের । চরম ক্ষতির সম্মুখীন তাঁরা । পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে হোটেল ব্যবসা । একই চিত্র রায়গঞ্জেও । রায়গঞ্জের হোটেল মালিকরা এখন চান, সরকার এই অবস্থায় তাঁদের সাহায্যার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক ।

এখন সবই বন্ধ হয়ে আছে । ব্যবসা বন্ধ থাকলেও বেতন দিতে হচ্ছে কর্মীদের। "তবে এভাবে আর কতদিন বেতন দিতে পারব?" অসহায়তার সুর ধরা পড়েছে এক হোটেল মালিকের গলায় । আর্থিক সংকটে পড়েছেন হোটেল মালিকরা । এই অবস্থায় সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রায় 500 কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়বেন বলে জানাচ্ছেন রায়গঞ্জের হোটেল মালিকরা । রায়গঞ্জে ছোটো-বড় মিলিয়ে প্রায় 30-35টি হোটেল রয়েছে । প্রায় দুই মাস হতে চলল বন্ধ হয়ে রয়েছে হোটেলগুলি ।

কোরোনা সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে চতুর্থ দফার লকডাউন । লকডাউন কবে উঠবে তা কেউই বলতে পারছেন না । ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন হোটেল মালিকরা । কারণ লকডাউন উঠলে হোটেল খোলার পর ব্যবসা কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা । সরকারি নির্দেশ মেনেই হোটেলগুলি বন্ধ রয়েছে । কয়েকজন মালিক কর্মীদের পুরো বেতন দিচ্ছেন না । কেউ আবার কর্মীদের পুরো বেতনই দিচ্ছেন । ব্যবসা বন্ধ থাকায় নিজেদের পকেটের টাকা থেকেই কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে । কার্যত সংকটে পড়েছেন হোটেল মালিকরা । এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা জানা নেই । তাই এই অবস্থায় সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা । "যদি সরকার এখন আমাদের দিকে না তাকায় তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগোতে থাকবে ।" বলছেন এক হোটেল মালিক ।

সঞ্জীব মিত্র নামে এক হোটেল মালিক জানিয়েছেন, "প্রায় দু'মাস হতে চলেছে হোটেল বন্ধ । কোনও রোজগার হচ্ছে না । তাও কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে । তাঁদেরও সংসার আছে । আমাদের যা ক্ষতি হচ্ছে তা বলে বোঝাতে পারব না । সরকার এই সময় আমাদের জন্য কোনও ব্যবস্থা না করলে চরম সমস্যায় পড়ব । আর কতদিন এইরকমভাবে কর্মীদের বেতন দিতে পারব জানি না । কর্মীদের বেতন না দিতে পারলে তাঁদের না খেয়ে থাকতে হবে ।"

অন্যদিকে অমর জয়সওয়াল নামে এক হোটেল কর্মী জানিয়েছেন, "দীর্ঘ আট বছর ধরে হোটেলে কাজ করে আসছি । এখন হোটেল বন্ধ । তাও মালিক বেতন দিচ্ছেন । এভাবে লকডাউনের কারণে হোটেল বন্ধ থাকলে মালিক কতদিন বসে বসে বেতন দেবেন? এরপর মালিক বেতন বন্ধ করে দিলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে ।" অপরদিকে সুরেশ যাদব নামে অন্য এক কর্মী জানিয়েছেন, "বাড়িতে ছেলে, বউ আছে । মালিক এখন বেতন দিচ্ছেন । কতদিন বেতন দিতে পারবেন তা বলা যাচ্ছে না ৷ পরে যদি মালিক বেতন না দেন তাহলে ছেলে, বউকে নিয়ে মরতে হবে ।"

রায়গঞ্জ, 19 মে: লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত বহু ধরনের ব্যবসা । অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ব্যবসা ছাড়া অন্যান্য সব ব্যবসাই প্রায় বন্ধ রয়েছে । মাথায় হাত পড়েছে সেইসব ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষের । চরম ক্ষতির সম্মুখীন তাঁরা । পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে হোটেল ব্যবসা । একই চিত্র রায়গঞ্জেও । রায়গঞ্জের হোটেল মালিকরা এখন চান, সরকার এই অবস্থায় তাঁদের সাহায্যার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক ।

এখন সবই বন্ধ হয়ে আছে । ব্যবসা বন্ধ থাকলেও বেতন দিতে হচ্ছে কর্মীদের। "তবে এভাবে আর কতদিন বেতন দিতে পারব?" অসহায়তার সুর ধরা পড়েছে এক হোটেল মালিকের গলায় । আর্থিক সংকটে পড়েছেন হোটেল মালিকরা । এই অবস্থায় সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রায় 500 কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়বেন বলে জানাচ্ছেন রায়গঞ্জের হোটেল মালিকরা । রায়গঞ্জে ছোটো-বড় মিলিয়ে প্রায় 30-35টি হোটেল রয়েছে । প্রায় দুই মাস হতে চলল বন্ধ হয়ে রয়েছে হোটেলগুলি ।

কোরোনা সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে চতুর্থ দফার লকডাউন । লকডাউন কবে উঠবে তা কেউই বলতে পারছেন না । ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন হোটেল মালিকরা । কারণ লকডাউন উঠলে হোটেল খোলার পর ব্যবসা কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা । সরকারি নির্দেশ মেনেই হোটেলগুলি বন্ধ রয়েছে । কয়েকজন মালিক কর্মীদের পুরো বেতন দিচ্ছেন না । কেউ আবার কর্মীদের পুরো বেতনই দিচ্ছেন । ব্যবসা বন্ধ থাকায় নিজেদের পকেটের টাকা থেকেই কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে । কার্যত সংকটে পড়েছেন হোটেল মালিকরা । এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা জানা নেই । তাই এই অবস্থায় সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা । "যদি সরকার এখন আমাদের দিকে না তাকায় তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে এগোতে থাকবে ।" বলছেন এক হোটেল মালিক ।

সঞ্জীব মিত্র নামে এক হোটেল মালিক জানিয়েছেন, "প্রায় দু'মাস হতে চলেছে হোটেল বন্ধ । কোনও রোজগার হচ্ছে না । তাও কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে । তাঁদেরও সংসার আছে । আমাদের যা ক্ষতি হচ্ছে তা বলে বোঝাতে পারব না । সরকার এই সময় আমাদের জন্য কোনও ব্যবস্থা না করলে চরম সমস্যায় পড়ব । আর কতদিন এইরকমভাবে কর্মীদের বেতন দিতে পারব জানি না । কর্মীদের বেতন না দিতে পারলে তাঁদের না খেয়ে থাকতে হবে ।"

অন্যদিকে অমর জয়সওয়াল নামে এক হোটেল কর্মী জানিয়েছেন, "দীর্ঘ আট বছর ধরে হোটেলে কাজ করে আসছি । এখন হোটেল বন্ধ । তাও মালিক বেতন দিচ্ছেন । এভাবে লকডাউনের কারণে হোটেল বন্ধ থাকলে মালিক কতদিন বসে বসে বেতন দেবেন? এরপর মালিক বেতন বন্ধ করে দিলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে ।" অপরদিকে সুরেশ যাদব নামে অন্য এক কর্মী জানিয়েছেন, "বাড়িতে ছেলে, বউ আছে । মালিক এখন বেতন দিচ্ছেন । কতদিন বেতন দিতে পারবেন তা বলা যাচ্ছে না ৷ পরে যদি মালিক বেতন না দেন তাহলে ছেলে, বউকে নিয়ে মরতে হবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.