রায়গঞ্জ, 3 জুলাই : সোশাল মিডিয়ায় কখনওই নিজের মোবাইল নম্বর নয় । নারীপাচার রুখতে সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে উত্তর দিনাজপুর প্রশাসন । অপরাধ ঠেকাতে মেয়েদের কতটা মানসিক সক্রিয়তা প্রয়োজন সে বিষয়ে কাউন্সেলিংও করছে জেলা পুলিশ ।
নারীপাচার রুখতে তৎপর উত্তর দিনাজপুর পুলিশ প্রশাসন । তাই জেলার বালিকা বিদ্যালয়গুলোতে পুলিশের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে সচেতনতা প্রচার । সোশাল মিডিয়ায় পাচারকারীর কীভাবে ফাঁদ পাতে, এবং তা এড়ানোর পথই বা তা নিয়ে গতকাল ইটাহার ও কালিয়াগঞ্জের বালিকা বিদ্যালয়গুলোতে প্রচারাভিযান চালায় জেলা পুলিশ । সব স্কুলেই নারীপাচার সম্পর্কে আলোচনা করেন পুলিশ সুপার সুমিত কুমার । তিনি জানান, পাচারকারীদের অন্যতম হাতিয়ার হল সোশাল মিডিয়া ও মোবাইল । তাই সোশাল মিডিয়ায় কখনওই মোবাইল নম্বর দেওয়া ঠিক নয় । অচেনা বা অজানা নম্বর থেকে আসা 'মিসড কল'কেও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজনহীন । অভিভাবক বা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সামান্য বকুনি খেয়েই মুষড়ে পড়ে স্কুল পড়ুয়ারা। সেই সুযোগই পাচারকারীরা নিয়ে থাকে । তাই অচেনা নম্বর থেকে আসা কলকে গুরুত্ব দেওয়া নিষ্প্রয়োজন । পাশাপাশি, কালিয়াগঞ্জের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশ সুপার ।
পরে সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, "অনেক সময়ে স্কুল পড়ুয়ারা নারী পাচারকারীদের পাল্লায় পড়ে যায় । তারা যাতে কোনওভাবেই কোনও পাচারকারীদের পাতা ফাঁদে পা না দেয়, তা নিশ্চিত করতেই আমরা আলোচনা করছি। জেলার সমস্ত বালিকা বিদ্যালয়গুলোতে একাজ করা হচ্ছে । এছাড়াও মেয়েদের উপর কোনও রকমের অত্যাচার হলে তা কীভাবে ঠেকাতে হবে, তারা কীভাবে স্বনির্ভর হবে সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে । আগামীদিনে কোনও সমস্যা হলে জেলা পুলিশ সবসময়ই তাদের পাশে থাকবে ।"
আরও পড়ুন : ফেসবুক লাইভের পরই মৃত্যু যুবকের, প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ