ETV Bharat / state

Durga Puja : পীরের মাজারে ধ্বজা উড়িয়ে শুরু হয় চূড়ামণ রাজবাড়ির মাতৃ আরাধনা

উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের চূড়ামণ রাজবাড়ি ৷ এই পরিবারের দুর্গাপুজোর বয়স প্রায় 500 বছর ৷ প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে নিষ্ঠা ভরে পুজো হয় দশভূজার ৷ পুজোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এলাকার মৌলবী ৷ স্থানীয় পীরের মাজারে ধ্বজা উড়িয়ে শুরু হয় মাতৃ আরাধনা ৷

churamon royal family durga puja of north dinajpur district
Durga Puja : পীরের মাজারে ধ্বজা উড়িয়ে শুরু হয় চূড়ামণ রাজবাড়ির মাতৃ আরাধনা
author img

By

Published : Sep 26, 2021, 6:25 PM IST

রায়গঞ্জ, 26 সেপ্টেম্বর : দূর থেকে দেখলে জঙ্গলে ঢাকা ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই নজরে আসবে না ৷ অথচ একদিন এখানেই ছিল রাজবাড়ি ৷ আর সেই রাজবাড়ির মূল মন্দিরেই প্রতি বছর পুজো পেতেন মা দুর্গা ৷ পুজো ঘিরে উৎসবের মেতে উঠত গোটা এলাকা ৷ প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো এই ইতিহাস জড়িয়ে রেখেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের চূড়ামণ রাজবাড়িকে ৷ শুধুই দেবীর আবাহন বা উৎসব নয়, এখানকার রাজ পরিবারের পুজো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরও অনন্য নজির ৷

আরও পড়ুন : Durga Puja : 150 বছরের পটের দুর্গায় আধুনিকতার ছোঁয়া, ভোগ নিবেদনে মাছের ঝোল

কালের নিয়মে জোলুস হারিয়েছে রাজবাড়ি ৷ কমেছে আড়ম্বর ৷ তবে পুজোর প্রথা অব্যাহত রেখেছে রাজ পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ৷ পুজো উপলক্ষে এখনও একজোট হয় গোটা পরিবার ৷ সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন গ্রামের মানুষ ৷ সমস্ত আচার আচরণ মেনেই সকলে মিলে বরণ করে নেন উমাকে ৷ এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, রাজবাড়ির মূল মন্দিরটি এখন আর নেই ৷ তালিয়ে গিয়েছে মহানন্দার গভীরে ৷ পরবর্তীতে রাজপরিবারের দশম পুরুষ কৌশিক রায়চৌধুরী নতুন মন্দির তৈরি করে সেখানেই পুজোর বন্দোবস্ত করেন ৷ এখন সেখানেই প্রতি বছর পুজো হয় ৷

অনাড়ম্বর এই আয়োজনে সামিল হয় গোটা গ্রামের মানুষ ৷ পুজো উপলক্ষে বসে মেলা ৷ চলে সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান ৷ বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি কৃষ্ণা রায়চোধুরী ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানান, মহালয়ার দিন দেবীর ঘট স্থাপনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দেবী বন্দনা ৷ সেই রেওয়াজ আজও চলছে ৷ পাশাপাশি, পুজো শুরুর আগে স্থানীয় পীরের মাজারে ধ্বজা ওড়ানোরও রীতি রয়েছে এখানে ৷ পুজোর প্রথায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মাজারের মৌলবীর ৷ তবে পুরনো কিছু নিয়মে বদলও আনা হয়েছে ৷ রাজ আমলে নবমীর দিন মোষ বলি দেওয়া হত ৷ পরবর্তীতে মোষ বলি বন্ধ করে ছাগ বলি দেওয়া শুরু হয় ৷ এখন তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷

পীরের মাজারে ধ্বজা উড়িয়ে শুরু হয় চূড়ামণ রাজবাড়ির মাতৃ আরাধনা

আরও পড়ুন : Mankundu Durga Puja: মানকুণ্ডুর খাঁ বাড়িতে অষ্টধাতুর দেবী ‘জয়দুর্গা’ রূপে পূজিত হন

চূড়ামণ রাজবাড়ির ভোগেরও বিশেষত্ব রয়েছে ৷ এখানে অন্ন ভোগের নিয়ম নেই ৷ পাশাপাশি, ভোগের রান্নায় নুন ও হলুদও ব্যবহার করা হয় না ৷ পুজো ঘিরে আজও উৎসবে মাতেন এলাকার হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ তাঁদের কাছে রাজবাড়ির পুজো মানে মিলনমেলা ৷ আজকের দিনে যখন কিছু স্বার্থান্বেষী কেবলমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক লাভের জন্য মানুষে-মানুষে বিভেদ ঘটাতে মরিয়া, ঠিক সেই সময় চূড়ামণ রাজবাড়ির ঐতিহ্য নতুন আশা জাগায় ৷ বার্তা দেয় একসঙ্গে মিলেমিশে পথচলার ৷

রায়গঞ্জ, 26 সেপ্টেম্বর : দূর থেকে দেখলে জঙ্গলে ঢাকা ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই নজরে আসবে না ৷ অথচ একদিন এখানেই ছিল রাজবাড়ি ৷ আর সেই রাজবাড়ির মূল মন্দিরেই প্রতি বছর পুজো পেতেন মা দুর্গা ৷ পুজো ঘিরে উৎসবের মেতে উঠত গোটা এলাকা ৷ প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো এই ইতিহাস জড়িয়ে রেখেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের চূড়ামণ রাজবাড়িকে ৷ শুধুই দেবীর আবাহন বা উৎসব নয়, এখানকার রাজ পরিবারের পুজো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরও অনন্য নজির ৷

আরও পড়ুন : Durga Puja : 150 বছরের পটের দুর্গায় আধুনিকতার ছোঁয়া, ভোগ নিবেদনে মাছের ঝোল

কালের নিয়মে জোলুস হারিয়েছে রাজবাড়ি ৷ কমেছে আড়ম্বর ৷ তবে পুজোর প্রথা অব্যাহত রেখেছে রাজ পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ৷ পুজো উপলক্ষে এখনও একজোট হয় গোটা পরিবার ৷ সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন গ্রামের মানুষ ৷ সমস্ত আচার আচরণ মেনেই সকলে মিলে বরণ করে নেন উমাকে ৷ এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, রাজবাড়ির মূল মন্দিরটি এখন আর নেই ৷ তালিয়ে গিয়েছে মহানন্দার গভীরে ৷ পরবর্তীতে রাজপরিবারের দশম পুরুষ কৌশিক রায়চৌধুরী নতুন মন্দির তৈরি করে সেখানেই পুজোর বন্দোবস্ত করেন ৷ এখন সেখানেই প্রতি বছর পুজো হয় ৷

অনাড়ম্বর এই আয়োজনে সামিল হয় গোটা গ্রামের মানুষ ৷ পুজো উপলক্ষে বসে মেলা ৷ চলে সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান ৷ বর্তমান প্রজন্মের প্রতিনিধি কৃষ্ণা রায়চোধুরী ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানান, মহালয়ার দিন দেবীর ঘট স্থাপনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দেবী বন্দনা ৷ সেই রেওয়াজ আজও চলছে ৷ পাশাপাশি, পুজো শুরুর আগে স্থানীয় পীরের মাজারে ধ্বজা ওড়ানোরও রীতি রয়েছে এখানে ৷ পুজোর প্রথায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মাজারের মৌলবীর ৷ তবে পুরনো কিছু নিয়মে বদলও আনা হয়েছে ৷ রাজ আমলে নবমীর দিন মোষ বলি দেওয়া হত ৷ পরবর্তীতে মোষ বলি বন্ধ করে ছাগ বলি দেওয়া শুরু হয় ৷ এখন তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷

পীরের মাজারে ধ্বজা উড়িয়ে শুরু হয় চূড়ামণ রাজবাড়ির মাতৃ আরাধনা

আরও পড়ুন : Mankundu Durga Puja: মানকুণ্ডুর খাঁ বাড়িতে অষ্টধাতুর দেবী ‘জয়দুর্গা’ রূপে পূজিত হন

চূড়ামণ রাজবাড়ির ভোগেরও বিশেষত্ব রয়েছে ৷ এখানে অন্ন ভোগের নিয়ম নেই ৷ পাশাপাশি, ভোগের রান্নায় নুন ও হলুদও ব্যবহার করা হয় না ৷ পুজো ঘিরে আজও উৎসবে মাতেন এলাকার হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ৷ তাঁদের কাছে রাজবাড়ির পুজো মানে মিলনমেলা ৷ আজকের দিনে যখন কিছু স্বার্থান্বেষী কেবলমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক লাভের জন্য মানুষে-মানুষে বিভেদ ঘটাতে মরিয়া, ঠিক সেই সময় চূড়ামণ রাজবাড়ির ঐতিহ্য নতুন আশা জাগায় ৷ বার্তা দেয় একসঙ্গে মিলেমিশে পথচলার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.