রায়গঞ্জ, 23 মার্চ : ‘নো ব্রিজ নো ভোট’ মূলত এই দাবি তুলে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেন রায়গঞ্জের শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ । বাঁশের সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা । তাঁদের দাবি, একটা সেতু হলে ত্রিশ কিলোমিটার রাস্তা কমে গিয়ে দাঁড়াবে মাত্র আট কিলোমিটারে, উপকৃত হবেন 300 গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ । অথচ একের পর এক নির্বাচন পার হলেও গ্রামের সেতু নির্মাণ হয়নি । তাই এবারের নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকার মানুষ । উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হবে । প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানান তিনি ।
আগামী 22 এপ্রিল উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট । এই বিধানসভার শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খলসিঘাটের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুলিক নদী । এই কুলিক নদীর দুই পাড়ে রয়েছেন শেরপুর, গোবিন্দপুর, লাইনপাড়া, ডাঙ্গিপাড়া, বরমপুর, খোকসা, গামাডাঙ্গি, বিন্দোল, খলসি, মেহেন্দি গ্রামসহ প্রায় তিনশটি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ । প্রতিদিন প্রায় 50 হাজার মানুষ কুলিক নদী পারাপার করেন । জেলা সদর রায়গঞ্জ শহর আসা থেকে শুরু করে বিডিও অফিস, রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন কাজে শহরে আসতে গেলে এই নদী পার হতে হয় । বর্ষায় দুকুল ছেপে যাওয়া নদী পার হতে একমাত্র ভরসা নৌকা আর শুকনো দিনে বাঁশের সাঁকো ।
এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ‘মাত্র আট কিলোমিটার দূরে জেলা সদর রায়গঞ্জ শহরে যেতে সেতু না থাকায় ঘুরপথে প্রায় 40 কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এতে সময় বেশি লাগায় মৃত্যুও হয়েছে অনেক রোগীর ।’’ তাই এবার গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিজ না হলে ভোট নয় ।
আরও পড়ুন : কুলিক নদীতে চাই সেতু, দাবি শেরপুরের বাসিন্দাদের
গ্রামবাসীরা আরও বলেন, "কোনও রাজনৈতিক দল গ্রামে প্রচারে এলে তাদের গ্রামের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না ।" এলাকায় সেতুর জন্য ভোট বয়কটের বিষয় নিয়ে জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও ওই ব্রিজ হয়নি বলে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে । আমরা গিয়ে গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করব। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হবে ।