রায়গঞ্জ, 18 এপ্রিল : চলছে গণতন্ত্রের উৎসব ৷ উৎসবে সামিল হয়েছেন সকলে ৷ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলির বাইরে লম্বা লাইন ৷ এবার আশি পার করা ভোটারদের জন্য বিশেষ সুবিধা এনেছে কমিশন ৷ চাঁদিফাটা রোদ্দুরের মধ্যে আর তাঁদের ভোটের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না ৷ বাড়ি বসেই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন আশি উর্ধ্ব ভোটারা ৷
প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে 12-13টি আলাদা আলাদা দল তৈরি করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন ভোটকর্মীরা ৷ সঙ্গে থাকছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও ৷ রাজ্য পুলিশের সঙ্গে থাকছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও ৷ ভোটদানের গোপনীয়তার জন্যও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা ৷ ব্যালট পেপার সঠিকভাবে ভাঁজ করে দেওয়া হচ্ছে ভোটারদের ৷ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে কীভাবে কী করতে হবে ৷
তিনদিক ঢাকা বেষ্টনী দিয়ে আড়াল করে দেওয়া হচ্ছে ব্যালট পেপারটিকে ৷ আজ এভাবেই বাড়ি বসে নির্বিঘ্নে ভোট দিলেন রায়গঞ্জের উদয়পুরের রামকানু সরকার ৷ বছর নব্বইয়ের রামকানুবাবুও ভীষণ খুশি কমিশনের নতুন এই নিয়মে ৷
আরও পড়ুন : পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়ে খুশি অশীতিপর বৃদ্ধা
যথাযথ পরিকাঠামোর মধ্য দিয়ে বাড়িতে নিজের ঘরে বসেই বিধানসভা ভোট দিলেন রামকানু সরকার । এভাবে বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে খুব ভালো লাগলো বলে জানালেন তিনি ।
কমিশনের নতুন এই নিয়মে ভাল সারা মিলেছে ভোটকর্মীদের মধ্যেও ৷ রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের একটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকা সহকারী সেক্টর কিশোর পাল জানালেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী আশি বছরের উর্দ্ধে ভোটারদের এবং প্রতিবন্ধী ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে তাঁদের ভোটদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ।