রায়গঞ্জ,2 মে : অবশেষে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক চিকিৎসক ,নার্স এবং অ্যাকাউনটেন্টকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারানটিনে পাঠাল কর্তৃপক্ষ। এদিন সকালে তাঁদেরকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানো হয়। যদিও তাঁদের মধ্যে কারও কোরোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি । এই খবর জানিয়েছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসক বর্তমানে কোরোনা আক্রান্ত। আক্রান্ত চিকিৎসকের সঙ্গে একই বাসে চেপে সদ্য কোয়ারানটিনে পাঠানো চিকিৎসক ,নার্স এবং অ্যাকাউনটেন্ট রায়গঞ্জে এসেছিলেন । সেই কারণে এই তিনজনকেও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ।
প্রসঙ্গত গত বুধবার রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে এক চিকিৎসক নার্স এবং অ্যাকাউনটেন্ট স্বাস্থ্য ভবনের গাড়িতে চেপে রায়গঞ্জে পথে রওনা হন ।তাঁরা সকলেই ছুটি কাটাতে কলকাতা গিয়েছিলেন বলে খবর। বাসটিতে মোট উত্তরবঙ্গের 36 জন চিকিৎসক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিলেন ।
গত বৃহস্পতিবার ভোর বেলায় তাঁরা রায়গঞ্জে পৌঁছান। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক যিনি বর্তমানে কোরোনা আক্রান্ত। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ।সেখানকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মীরা জানিয়েছেন রায়গঞ্জে পৌঁছানোর পর তাঁরা কাজ করছিলেন। যার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে তাঁদের মধ্যে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা ।
শুক্রবার তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়। তাঁদের এই ক্ষোভের বিষয়টি আন্দাজ করতেই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ ।ওই তিনজনকে ডেকে পাঠিয়ে আলাদা করে রাখা হয় ।এরপর তাঁদেরকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারানটিনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।এই বিষয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলীপ পাল বলেন, আমরাও তিনজনকে গতকাল রাত থেকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারানটিনে পাঠিয়েছি। এখনও তাঁদের রিপোর্ট হাতে পাইনি । তবে আমরা সমস্ত বিষয়ের উপর নজর রাখছি।