রায়গঞ্জ, 5 ফেব্রুয়ারি : মালদা, আসানসোলের পর এ বার রায়গঞ্জ ৷ স্কুলের মিড ডে মিলে প্লাস্টিকের চাল মেশানোর অভিযোগ (Plastic Rice in Mid Day Meal) ৷ রায়গঞ্জের মহারাজা হাইস্কুলের দেওয়া মিড ডে মিলের চালে প্লাস্টিকের চাল মেশানো রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা (Allegedly Mixing Plastic Rice in Mid Day Meal at Raiganj) ৷ যা নিয়ে স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি এবং হেমতাবাদের বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন ৷ তবে, পুরো বিষয়টি নিয়ে জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলে ব্য়বস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেহতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন ৷
গত তিনদিনের মধ্যে রাজ্যের তিন জেলা থেকে প্লাস্টিকের চাল মেশানো মিড ডে মিল দেওয়ার অভিযোগ উঠল ৷ আসানসোল, মালদার পর এ বার রায়গঞ্জের মহারাজা স্কুলের মিড ডে মিলে সেই প্লাস্টিকের চাল পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ ৷ কোভিড পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা স্কুলে যাচ্ছিল না ৷ সেই সময় অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে মিড ডে মিলের চাল নিয়ে আসছিলেন ৷ অভিযোগ সেই চালেই নাকি প্লাস্টিকের মতো কিছু মেশানো রয়েছে ৷ যেগুলি চালের মতোই দেখতে ৷ কিন্তু, জলে ধুলে সেগুলি আসল চালের থেকে আলাদা হয়ে ভেসে উঠছে ৷ আর আগুনে পোড়ালে গলে যাচ্ছে এবং বাজে গন্ধ বেরচ্ছে ৷
এই ঘটনা সামনে আসতেই আতঙ্কিত অভিভাবকরা ৷ তাঁদের একটাই কথা, এতদিন রেশনের চালে বা আটায় ভেজাল ধরা পড়ত ৷ এ বার বাচ্চাদের খাবারেও ভেজাল ! এতে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়বে সেটাই এখন অভিভাবকদের চিন্তা ৷
আরও পড়ুন : Plastic Rice in Mid Day Meal : চাঁচলে মিড-ডে মিলে প্লাস্টিকের চাল মেশানোর অভিযোগ, নমুনা চেয়ে পাঠালেন বিডিও
গোটা ঘটনায় স্কুল পরিচালন কমিটির কাছে জানতে চাওয়া হয় ৷ এ নিয়ে কমিটির সভাপতি জগবন্ধু সরকার জানান, তিনি এমন কোনও অভিযোগ পাননি ৷ সংবাদ মাধ্যমের থেকেই প্রথম জানতে পেরেছেন ৷ তবে, পুরো বিষয়টি নিয়ে স্কুল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে প্রশাসনকে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷ এমনকি স্কুলের স্টোরে থাকা চালও কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা করে দেখবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
পুরো বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন মেহতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন ৷ তিনি বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ৷ প্লাস্টিকের চাল যদি সত্যিই পাওয়া যায় তবে, তা বন্ধ করার ব্যবস্থা প্রশাসন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ তবে, সত্যিই যদি সেগুলি প্লাস্টিকের চাল হয়, তবে তা কারা মেশাচ্ছে ? বিক্রিই বা কারা করছে ? এর জবাব এখনও পাওয়া যায়নি ৷