রায়গঞ্জ, 4 জানুয়ারি: দলে থেকেও তিনি 'বিদ্রোহী' ৷ এবার তৃণমূলে সাম্প্রতিক নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে মুখ খুলে শিরোনামে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। আর এই ইস্যুতে সম্প্রতি কুণাল ঘোষের মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল বিধায়ক বললেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিৎ কুণাল ঘোষকে ইমিডিয়েট স্যাক করে দেওয়া।" শুধু তাই নয়, তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদককে 'ননসেন্স' বলেও তোপ দাগেন আবদুল করিম ৷
বৃহস্পতিবার নিজের বিধানসভা এলাকায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বর্ষীয়ান বিধায়ক বলেন, "প্রবীণদের ছাড়া বাংলা কেন, কোনও রাজ্য বা ভারতবর্ষ চলবে না। প্রবীণরাই জ্ঞান-বুদ্ধি দেবে। প্রবীণদের বাদ দিয়ে দেশ চলে নাকি? কোনও রাজ্য চলে? ভারত চলবে? এই লোকটা (কুণাল ঘোষ) নিজের স্বার্থের জন্য কথা বলছে ৷ আমার মনে হয় মমতার উচিত এই লোকটাকে সরিয়ে দেওয়া। কারণ এদের বক্তব্যে প্রবীণ সম্মানীয় নেতারা কষ্ট পাচ্ছেন।"
এখানেই শেষ নয় ৷ ইসলামপুরের বিধায়ক আরও বলেন, "নবীনদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া মানে বাঁদরের হাতে নারিকেল দেওয়া। চালাতে পারবে নাকি এরা? দেশের জন্য অনেক আত্মত্য়াগ দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অনেক স্যাক্রিফাইস করেছেন। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। অন্য দলে কেন, এই দলেও (তৃণমূল) কোনও যোগ্য ব্যক্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া।"
পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এদিন এক হাত নেন করিম সাহেব। তিনি বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী এত লাফাচ্ছে। ও তো মস্তান, গুণ্ডা একটা। ও পশ্চিমবঙ্গের হাল ধরবে? খুব দুঃখ হবে সেদিন। কি যে হবে সেদিন জানি না।"
পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ সুরে আবদুল করিমব লেন, "আমি আগেই বলেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে এ বাচ্চা আছে, এ বালক আছে। একে আপনি সঙ্গে রাখেন কিন্তু একে সব ক্ষমতা দেবেন না। এ বাচ্চা আছে, নাদান আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সেনাপতি করে দিয়েছে যাতে আস্তে আস্তে ট্রেনিং পেয়ে উপরে ওঠে। এখন ট্রেনিং পাওয়ার আগেই যদি ও উপরে উঠতে চায়, সেটা অসম্ভব ৷ অভিষেককে বলব, ধৈর্য ধর ৷"
আরও পড়ুন: