রায়গঞ্জ, 27 জুন: শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট যুদ্ধ। গ্রাম দখলের লড়াইয়ে নেমেছে শাসক-বিরোধী। পঞ্চায়েতের পাঞ্চে একে অপরকে কুপোকাৎ করতে তৎপর সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন পর্ব। কিন্তু প্রার্থীচয়ন নিয়ে অসন্তোষ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ৷ এরই মধ্যে এক ভিন্ন চিত্র উঠে এল রায়গঞ্জে। রায়গঞ্জ ব্লকের 10 নম্বর মারাইকুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের 28 নম্বর আসন। এই আসনে শুরু হয়েছে হেভিওয়েট বনাম সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের লড়াই।
আসলে এই আসনে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন সমীর বর্মন। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। দিন আনা দিন খাওয়া সংসার তাঁর। অপরদিকে, তাঁর প্রতিপক্ষ এই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের বর্তমান প্রধান। লড়াইটা মোটেই সহজ নয় ৷ একে হেভিওয়েট তার উপরে শাসকদলের প্রার্থী। তাই টক্কর দিতে কালঘাম ছুটছে বাম মনোনীত শ্রমজীবী প্রার্থীর। কিন্তু ওই যে আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না। তাই শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে যেতে চান তিনি। সমীর বর্মন এবারই প্রথম পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকেন। তার মাঝে ভোটের লড়াই অনেকটাই কঠিন।
তিনি জানান, কাজের ফাঁকেই চলছে প্রচার। তবে যেহেতু শিয়রে নির্বাচন, তাই প্রচারেই সময়টা বেশি দিতে চান। কিন্তু হঠাৎ ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছে জাগল কেন? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর সাফ জবাব, এলাকাকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন। দুর্নীতির চাপে মানুষের সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে। তাই এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই প্রচার সারছেন তিনি। ভোটে জিতলে সমাজকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। প্রার্থীর স্ত্রী মুক্তি বর্মন জানান, স্বামী ভোটে প্রার্থী হওয়ায় তিনি খুশি। পাশাপাশি মনোনয়ন পর্ব ঘিরে চতুর্দিকে যে অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছে তা দেখে কিছুটা ভীত হচ্ছেন বটে। দলের ঊর্ধ্বে একজন মেহনতি শ্রমজীবী মানুষ প্রার্থী হওয়ায় খুশি গ্রামের বাসিন্দারাও। তাঁরা জানান, সমীর শিক্ষিত, পরিশ্রমী। তাই তাঁর উপরে ভরসা রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি কে হাসবে, তা জানতে সময়ের অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীকে চড় মারার অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়ো