পেট্রাপোল, 15 মে : অশান্তি হওয়ায় বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী । তারপর প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে ফোনে এক-দু'বার কথা বলেছিলেন। তাতেই ব্যক্তির ধারণা হয়, ওই প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর । সেই ক্ষোভেই পরিবারের কয়েক জনকে নিয়ে ওই প্রতিবেশী যুবকের বাড়ি গিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করে । যুবকের মা বাধা দিতে এলে মারধর করা হয় তাঁকেও । আর তাতেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের মায়ের । মৃতার নাম মলিনা বিশ্বাস(52) । আক্রান্ত যুবকের নাম সঞ্জীব মণ্ডল । ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ । পেট্রাপোল থানার ভবানীপুর এলাকার ঘটনা ।
ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব বাইন । দীর্ঘদিন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চলছে । অশান্তির জেরে চার-পাঁচ মাসে আগে বাগদায় বাপের বাড়ি চলে যান বিপ্লবের স্ত্রী । তারপর দু-একদিন প্রতিবেশী যুবক সঞ্জীবের সঙ্গে কথা হয়েছে বিপ্লবের স্ত্রীর । তাতেই বিপ্লবের ধারণা স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে সঞ্জীবের । এরপরই গতকাল পরিবারের লোকজনকে নিয়ে সঞ্জীবের বাড়ি যায় বিপ্লব । বাঁশ দিয়ে মারধর শুরু করে সঞ্জীবকে । বাধা দিতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে সঞ্জীবের মা মলিনা । তখন তাঁকেও মারধর করতে শুরু করে বিপ্লব ও তাঁর পরিবারের লোকজন । তাঁদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে ।
স্থানীয়রা এলে পালিয়ে যায় বিপ্লব ও তার পরিবারের লোকজন । অন্যদিকে মলিনাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা । সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম সঞ্জীব । এই ঘটনায় পেট্রাপোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সঞ্জীব । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বিপ্লব-সহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ । পাশাপাশি মলিনার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ।
মৃতের মেয়ে সীমা মণ্ডল বলেন, "বিপ্লবের স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন । ভাই টেলিফোনে তাঁর সঙ্গে দু-একবার কথা বলেছিল । তাতেই ওদের পরকীয়া সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করে বিপ্লব । আর সেই সন্দেহের বশে আমার মাকে মেরে ফেলল । ওদের শাস্তি চাই ।"
পড়শি কৃষ্ণা মণ্ডল বলেন, "গোবিন্দ রোজ মদ খেয়ে স্ত্রীকে মারধর করত । সেই অত্যাচারে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে । সঞ্জিতের সঙ্গে সম্পর্ক আছে সন্দেহ করে বিপ্লব বাঁশ নিয়ে মারধর করে তাঁদের ।"