দেগঙ্গা, 21 জুন : দেগঙ্গার ডাব ব্যবসায়ী খুনের প্রায় দুই মাস পর পুলিশের জালে দুই দুষ্কৃতী । গতরাতে আনারুল মোল্লা এবং মৃত্যুঞ্জয় দাস নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । 13 এপ্রিল দেগঙ্গার সরদার পাড়ায় বাড়ি থেকে 300 মিটার দূরে ডাব ব্যবসায়ী মহম্মদ আতিয়ার মোল্লা(33)-র রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় । তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে চম্পট দেয় দুস্কৃতীরা । সেই খুনে যুক্ত থাকার অভিযোগে আনারুল ও মৃত্যুঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয় । আজ দুপুরে ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হয় । বিচারক তাদের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেহ উদ্ধারের সময় মৃত আতিয়ারের শরীরের বিভিন্ন অংশে এবং যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত ছিল । মৃতদেহের কাছ থেকেই তাঁর স্কুটার উদ্ধার করে পুলিশ । নিউ ব্যারাকপুরে ডাবের ব্যবসা করতেন আতিয়ার । দেগঙ্গা সহ আশপাশের এলাকা থেকে ডাব কিনে তিনি নিউ ব্যারাকপুর এবং বিরাটি গিয়ে তা বিক্রি করতেন । অন্যান্য দিনের মতো সেইদিনও তিনি সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরেছিলেন । রাত আটটা নাগাদ স্থানীয় বাজার থেকে বাজার করে বাড়িতেও তা পৌঁছে দিয়েছিলেন । ফের তিনি স্কুটি নিয়ে বাইরে বেরিয়েছিলেন ।
আনুমানিক রাত 10টা নাগাদ বাড়ির অদূরে রাস্তায় তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা । তখনও তাঁর স্কুটি চালু অবস্থায় রাস্তার উপর পড়েছিল । পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ।
দেগঙ্গা থানার পুলিশ আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, "ওই ডাব ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় আনারুল ও মৃত্যুঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ধৃত আনারুল মৃতের আত্মীয় হন । আনারুল ও মৃত্যুঞ্জয় পরস্পরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু । আনারুলের বাড়ি হাদিপুর ঝিকরায় । মৃত্যুঞ্জয় রামগড় ঠাকুরবাড়ি এলাকায় বাসিন্দা । ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই ডাব ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা । তবে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাড়ি থেকেই ওই দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।”
ডাব ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । সেই জন্য পুলিশের তরফে ধৃতদের নিজেদের হেপাজতে চাওয়া হয় । সেই মতো ধৃতদের বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিশি হেপাজতের আদেশ দেন ।