ETV Bharat / state

দাদাগিরির ব্যাটন ধরে রাখতেই কেদারের নিশানায় পুলিশ - কেদারের নিশানায় পুলিশ

কেদার সরদার সন্দেশখালির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত । শাহজাহান সন্দেশখালি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত । তিনি আবার সন্দেশখালি-1 ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান । তাঁর হয়ে খুলনা গ্রামে দাপিয়ে বেড়ায় কেদার বাহিনী ।

সন্দেশখালি
author img

By

Published : Nov 2, 2019, 10:25 PM IST

সন্দেশখালি , 2 নভেম্বর : কেদার বাহিনীর দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ সরবেড়িয়া-আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের খুলনা গ্রামের বাসিন্দারা । সেই দাদাগিরিতে বেড়ি পরাতে চেয়েছিল পুলিশ । তাই পুলিশকেই নিশানা করল কেদার বাহিনী । অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তাদের ছোড়া গুলিতেই জখম হন এক সাব ইনস্পেক্টর-সহ মোট তিন পুলিশকর্মী । জখম হন এক গ্রামবাসীও । পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুটো বাইক ।

কে এই কেদার?

সন্দেশখালির বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কেদার সরদার সন্দেশখালির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত । শাহজাহান সন্দেশখালি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত । তিনি আবার সন্দেশখালি-1 ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান । তাঁর হয়ে খুলনা গ্রামে দাপিয়ে বেড়ায় কেদার বাহিনী । গত জুনে সন্দেশখালিতে গণহত্যার ঘটনায় শাহজাহানের নাম FIR-এ এক নম্বরে থাকলেও পুলিশ তাঁকে আজও ছুঁতে পারেনি । আর সেই ঘটনার পর কেদার বাহিনীর সাহস আরও বেড়ে যায় ।

আরও পড়ুন সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম পুলিশকর্মীর মৃত্যু

শুক্রবার রাতে খুলনা হাইস্কুলের মাঠে কালীপুজোর অনুষ্ঠান চলছিল । সেই সময় কেদার বাহিনী সেখানে চড়াও হয় । মদ্যপ অবস্থায় মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে । অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা প্রথমে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি । কিন্তু অভব্যতা মাত্রা ছাড়াতে তাঁরা আর চুপ করে থাকেননি । তখন কেদার বাহিনী উদ্যোক্তাদের কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করে । বিনন্দ হাউলি ও সরিফুল মোল্লা নামে দুই যুবক গুরুতর জখম হন । উদ্যোক্তারা সন্দেশখালি থানায় দেন ।

খবর পেয়ে অরিন্দম হালদার সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রামীণ পুলিশ নিয়ে দু'টি বাইকে খুলনা গ্রামে যাচ্ছিলেন । নদীপথ পেরিয়ে পুলিশের মোটর বাইক যখন বাঁধের উপর দিয়ে যাচ্ছিল, তখন কেদার বাহিনীর মুখোমুখি পড়ে যায় । পুলিশ দেখে কেদার বলে ওঠে, "আমাকে ধরতে এসেছিস? জানিস আমি কে?" কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরপর গুলি । সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দমের হাতে গুলি লাগে । আরও দুই পুলিশকর্মীও গুলিবিদ্ধ হন । গুলিবিদ্ধ হন এক গ্রামবাসীও । আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুটো মোটর বাইকেই । এক সিভিক ভলান্টিয়ার সেখান থেকে পালিয়ে যান । তিনিই থানায় ফোন করে হামলার ঘটনাটি জানান । তারপর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে জখম সহকর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ।

তারপর কেদার ও তার অনুগামীদের খুঁজতে শুরু হয় পুলিশের অভিযান । সারারাত চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কেদার সরদার ও লালটু সরদার নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করে । কেদার সরদারের অন্যান্য অনুগামীদের খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে । বসিরহাটের পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই ও DIG প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ রাজেশকুমার যাদব ঘটনার পর খুলনা গ্রামে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন । গ্রামে আইনের শাসন ফেরানো হবে বলে বাসিন্দাদের তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন । DIG অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বিশেষ কিছু বলতে চাননি । তিনি শুধু বলেন, "আমরা ঘটনার তদন্ত করছি । দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"

সন্দেশখালি , 2 নভেম্বর : কেদার বাহিনীর দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ সরবেড়িয়া-আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের খুলনা গ্রামের বাসিন্দারা । সেই দাদাগিরিতে বেড়ি পরাতে চেয়েছিল পুলিশ । তাই পুলিশকেই নিশানা করল কেদার বাহিনী । অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তাদের ছোড়া গুলিতেই জখম হন এক সাব ইনস্পেক্টর-সহ মোট তিন পুলিশকর্মী । জখম হন এক গ্রামবাসীও । পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুটো বাইক ।

কে এই কেদার?

সন্দেশখালির বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কেদার সরদার সন্দেশখালির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত । শাহজাহান সন্দেশখালি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত । তিনি আবার সন্দেশখালি-1 ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান । তাঁর হয়ে খুলনা গ্রামে দাপিয়ে বেড়ায় কেদার বাহিনী । গত জুনে সন্দেশখালিতে গণহত্যার ঘটনায় শাহজাহানের নাম FIR-এ এক নম্বরে থাকলেও পুলিশ তাঁকে আজও ছুঁতে পারেনি । আর সেই ঘটনার পর কেদার বাহিনীর সাহস আরও বেড়ে যায় ।

আরও পড়ুন সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম পুলিশকর্মীর মৃত্যু

শুক্রবার রাতে খুলনা হাইস্কুলের মাঠে কালীপুজোর অনুষ্ঠান চলছিল । সেই সময় কেদার বাহিনী সেখানে চড়াও হয় । মদ্যপ অবস্থায় মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে । অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা প্রথমে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি । কিন্তু অভব্যতা মাত্রা ছাড়াতে তাঁরা আর চুপ করে থাকেননি । তখন কেদার বাহিনী উদ্যোক্তাদের কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করে । বিনন্দ হাউলি ও সরিফুল মোল্লা নামে দুই যুবক গুরুতর জখম হন । উদ্যোক্তারা সন্দেশখালি থানায় দেন ।

খবর পেয়ে অরিন্দম হালদার সিভিক ভলান্টিয়ার ও গ্রামীণ পুলিশ নিয়ে দু'টি বাইকে খুলনা গ্রামে যাচ্ছিলেন । নদীপথ পেরিয়ে পুলিশের মোটর বাইক যখন বাঁধের উপর দিয়ে যাচ্ছিল, তখন কেদার বাহিনীর মুখোমুখি পড়ে যায় । পুলিশ দেখে কেদার বলে ওঠে, "আমাকে ধরতে এসেছিস? জানিস আমি কে?" কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরপর গুলি । সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দমের হাতে গুলি লাগে । আরও দুই পুলিশকর্মীও গুলিবিদ্ধ হন । গুলিবিদ্ধ হন এক গ্রামবাসীও । আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুটো মোটর বাইকেই । এক সিভিক ভলান্টিয়ার সেখান থেকে পালিয়ে যান । তিনিই থানায় ফোন করে হামলার ঘটনাটি জানান । তারপর থানা থেকে পুলিশ গিয়ে জখম সহকর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ।

তারপর কেদার ও তার অনুগামীদের খুঁজতে শুরু হয় পুলিশের অভিযান । সারারাত চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কেদার সরদার ও লালটু সরদার নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করে । কেদার সরদারের অন্যান্য অনুগামীদের খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে । বসিরহাটের পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই ও DIG প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ রাজেশকুমার যাদব ঘটনার পর খুলনা গ্রামে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন । গ্রামে আইনের শাসন ফেরানো হবে বলে বাসিন্দাদের তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন । DIG অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বিশেষ কিছু বলতে চাননি । তিনি শুধু বলেন, "আমরা ঘটনার তদন্ত করছি । দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"

Intro:দাদাগিরির ব্যাটন ধরে রাখতেই নিশানা পুলিশ। আমাকে ধরতে এসেছিস? বলেই পুলিশ গুলি চালাল কেদার।

সন্দেশখালিঃ কেদার বাহিনীর দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। সেই দাদাগিরিতে বেড়ি পরাতে চেয়েছিল পুলিশ। অবশেষে পুলিশকেই নিশানা করল কেদার বাহিনী। শুক্রবার রাতে তাদের ছোড়া গুলিতেই জখম এক সাব ইনস্পেক্টর-সহ তিন পুলিশকর্মী। জখম এক গ্রামবাসীও। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের দুটো বাইক।

কে এই কেদার?

সন্দেশখালির বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কেদার সরদার সন্দেশখালির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শেখ সাজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত। সাজাহান সন্দেশখালি গণহত্যায় মূল অভিযুক্ত। তিনি আবার সন্দেশখালি-01 ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান। তাঁর লোক হিসেবে স্থানীয় খুলনা গ্রামে 'কাজ' করে কেদার বাহিনী। সাজাহান-কেদার দু'জনেই আগে সিপিএমের ছত্রছায়ায় ছিল। পরিবর্তনের পর হাওয়া ঘুরতেই তারা ভিড়ে যায় শাসক শিবিরে। গত জুন মাসে সন্দেশখালি গণহত্যার ঘটনার সাজাহানের নাম এফআইআরের এক নম্বরে থাকলেও পুলিশ তার টিকি ছুতে পারেনি। তাতে কেদার বাহিনীর সাহস আরও বেড়ে যায়। খুলনা গ্রামের বাসিন্দারা কেদার বাহিনীর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার রাতে খুলনা হাইস্কুলের মাঠে কালীপুজোর জলসা চলছিল। সেই সময় কেদার বাহিনী সেখানে চড়াও হয়। মদ্যপ অবস্থায় মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে থাকে। জলসার উদ্যোক্তারা প্রথমে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। কিন্তু বাড়াবাড়ি মাত্রা ছাড়াতেই তাঁরা আর চুপ করে থাকেননি। তখন কেদার বাহিনী উদ্যোক্তাদের কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করে। বিনন্দ হাউলি ও সরিফুল মোল্লা নামে দুই যুবক গুরুতর জখম হয়। উদ্যোক্তারা সন্দেশখালি থানায় ফোন করেন। সেই খবর পেয়ে অরিন্দম হালদার তিন সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে দু'টি বাইকে চেপে খুলনা গ্রামে যাচ্ছিলেন। কেদার বাহিনী তখন তাণ্ডব চালিয়ে জলসা ভঙ্গ করে দিয়ে ফিরছিল। নদীপথ পেরিয়ে পুলিশের মোটর বাইক বাঁধের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কেদার বাহিনীর মুখোমুখি পড়ে যায়। পুলিশ দেখে কেদার বলে ওঠে, 'আমাকে ধরতে এসেছিস? জানিস আমি কে?' কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরপর গুলি। সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দমের হাতে গুলি লাগে। অন্য দুই সিভিক ভলান্টিয়ারও গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হন এক গ্রামবাসীও। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুটো মোটর বাইকে। এক সিভিক ভলান্টিয়ার দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনিই থানায় ফোন করে হামলার ঘটনাটি জানান। তারপর থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী গ্রামে গিয়ে জখম পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তারপর শুরু হয় পুলিশের পালটা অভিযান। সারারাত চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কেদার সরদার ও লাল্টু সরদার নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে। হামলাকারী কেদার বাহিনীর অন্যদের খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। ঘটনার ব্যাপকতা বুঝে বসিরহাটের পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই ও ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ রাজেশকুমার যাদব খুলনা গ্রামে গিয়েছেন। গ্রামে আইনের শাসন ফেরানো হবে বেল বাসিন্দাদের তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন। ডিআইজি অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তিনি কেবল বলেন, 'আমরা ঘটনার তদম্ত করছি। দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'Body:দাদাগিরির ব্যাটন ধরে রাখতেই নিশানা পুলিশ। আমাকে ধরতে এসেছিস? বলেই পুলিশ গুলি চালাল কেদার।

সন্দেশখালিঃ কেদার বাহিনীর দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। সেই দাদাগিরিতে বেড়ি পরাতে চেয়েছিল পুলিশ। অবশেষে পুলিশকেই নিশানা করল কেদার বাহিনী। শুক্রবার রাতে তাদের ছোড়া গুলিতেই জখম এক সাব ইনস্পেক্টর-সহ তিন পুলিশকর্মী। জখম এক গ্রামবাসীও। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের দুটো বাইক।

কে এই কেদার?

সন্দেশখালির বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কেদার সরদার সন্দেশখালির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শেখ সাজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত। সাজাহান সন্দেশখালি গণহত্যায় মূল অভিযুক্ত। তিনি আবার সন্দেশখালি-01 ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান। তাঁর লোক হিসেবে স্থানীয় খুলনা গ্রামে 'কাজ' করে কেদার বাহিনী। সাজাহান-কেদার দু'জনেই আগে সিপিএমের ছত্রছায়ায় ছিল। পরিবর্তনের পর হাওয়া ঘুরতেই তারা ভিড়ে যায় শাসক শিবিরে। গত জুন মাসে সন্দেশখালি গণহত্যার ঘটনার সাজাহানের নাম এফআইআরের এক নম্বরে থাকলেও পুলিশ তার টিকি ছুতে পারেনি। তাতে কেদার বাহিনীর সাহস আরও বেড়ে যায়। খুলনা গ্রামের বাসিন্দারা কেদার বাহিনীর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার রাতে খুলনা হাইস্কুলের মাঠে কালীপুজোর জলসা চলছিল। সেই সময় কেদার বাহিনী সেখানে চড়াও হয়। মদ্যপ অবস্থায় মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে থাকে। জলসার উদ্যোক্তারা প্রথমে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। কিন্তু বাড়াবাড়ি মাত্রা ছাড়াতেই তাঁরা আর চুপ করে থাকেননি। তখন কেদার বাহিনী উদ্যোক্তাদের কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করে। বিনন্দ হাউলি ও সরিফুল মোল্লা নামে দুই যুবক গুরুতর জখম হয়। উদ্যোক্তারা সন্দেশখালি থানায় ফোন করেন। সেই খবর পেয়ে অরিন্দম হালদার তিন সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে দু'টি বাইকে চেপে খুলনা গ্রামে যাচ্ছিলেন। কেদার বাহিনী তখন তাণ্ডব চালিয়ে জলসা ভঙ্গ করে দিয়ে ফিরছিল। নদীপথ পেরিয়ে পুলিশের মোটর বাইক বাঁধের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কেদার বাহিনীর মুখোমুখি পড়ে যায়। পুলিশ দেখে কেদার বলে ওঠে, 'আমাকে ধরতে এসেছিস? জানিস আমি কে?' কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরপর গুলি। সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দমের হাতে গুলি লাগে। অন্য দুই সিভিক ভলান্টিয়ারও গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হন এক গ্রামবাসীও। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুটো মোটর বাইকে। এক সিভিক ভলান্টিয়ার দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনিই থানায় ফোন করে হামলার ঘটনাটি জানান। তারপর থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী গ্রামে গিয়ে জখম পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তারপর শুরু হয় পুলিশের পালটা অভিযান। সারারাত চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কেদার সরদার ও লাল্টু সরদার নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে। হামলাকারী কেদার বাহিনীর অন্যদের খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। ঘটনার ব্যাপকতা বুঝে বসিরহাটের পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই ও ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ রাজেশকুমার যাদব খুলনা গ্রামে গিয়েছেন। গ্রামে আইনের শাসন ফেরানো হবে বেল বাসিন্দাদের তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন। ডিআইজি অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তিনি কেবল বলেন, 'আমরা ঘটনার তদম্ত করছি। দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'Conclusion:দাদাগিরির ব্যাটন ধরে রাখতেই নিশানা পুলিশ। আমাকে ধরতে এসেছিস? বলেই পুলিশ গুলি চালাল কেদার।

সন্দেশখালিঃ কেদার বাহিনীর দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। সেই দাদাগিরিতে বেড়ি পরাতে চেয়েছিল পুলিশ। অবশেষে পুলিশকেই নিশানা করল কেদার বাহিনী। শুক্রবার রাতে তাদের ছোড়া গুলিতেই জখম এক সাব ইনস্পেক্টর-সহ তিন পুলিশকর্মী। জখম এক গ্রামবাসীও। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের দুটো বাইক।

কে এই কেদার?

সন্দেশখালির বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কেদার সরদার সন্দেশখালির বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শেখ সাজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত। সাজাহান সন্দেশখালি গণহত্যায় মূল অভিযুক্ত। তিনি আবার সন্দেশখালি-01 ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান। তাঁর লোক হিসেবে স্থানীয় খুলনা গ্রামে 'কাজ' করে কেদার বাহিনী। সাজাহান-কেদার দু'জনেই আগে সিপিএমের ছত্রছায়ায় ছিল। পরিবর্তনের পর হাওয়া ঘুরতেই তারা ভিড়ে যায় শাসক শিবিরে। গত জুন মাসে সন্দেশখালি গণহত্যার ঘটনার সাজাহানের নাম এফআইআরের এক নম্বরে থাকলেও পুলিশ তার টিকি ছুতে পারেনি। তাতে কেদার বাহিনীর সাহস আরও বেড়ে যায়। খুলনা গ্রামের বাসিন্দারা কেদার বাহিনীর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার রাতে খুলনা হাইস্কুলের মাঠে কালীপুজোর জলসা চলছিল। সেই সময় কেদার বাহিনী সেখানে চড়াও হয়। মদ্যপ অবস্থায় মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে থাকে। জলসার উদ্যোক্তারা প্রথমে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। কিন্তু বাড়াবাড়ি মাত্রা ছাড়াতেই তাঁরা আর চুপ করে থাকেননি। তখন কেদার বাহিনী উদ্যোক্তাদের কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করে। বিনন্দ হাউলি ও সরিফুল মোল্লা নামে দুই যুবক গুরুতর জখম হয়। উদ্যোক্তারা সন্দেশখালি থানায় ফোন করেন। সেই খবর পেয়ে অরিন্দম হালদার তিন সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে দু'টি বাইকে চেপে খুলনা গ্রামে যাচ্ছিলেন। কেদার বাহিনী তখন তাণ্ডব চালিয়ে জলসা ভঙ্গ করে দিয়ে ফিরছিল। নদীপথ পেরিয়ে পুলিশের মোটর বাইক বাঁধের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কেদার বাহিনীর মুখোমুখি পড়ে যায়। পুলিশ দেখে কেদার বলে ওঠে, 'আমাকে ধরতে এসেছিস? জানিস আমি কে?' কথা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরপর গুলি। সাব ইনস্পেক্টর অরিন্দমের হাতে গুলি লাগে। অন্য দুই সিভিক ভলান্টিয়ারও গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হন এক গ্রামবাসীও। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুটো মোটর বাইকে। এক সিভিক ভলান্টিয়ার দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনিই থানায় ফোন করে হামলার ঘটনাটি জানান। তারপর থানা থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী গ্রামে গিয়ে জখম পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তারপর শুরু হয় পুলিশের পালটা অভিযান। সারারাত চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কেদার সরদার ও লাল্টু সরদার নামে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে। হামলাকারী কেদার বাহিনীর অন্যদের খোঁজেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। ঘটনার ব্যাপকতা বুঝে বসিরহাটের পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই ও ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ রাজেশকুমার যাদব খুলনা গ্রামে গিয়েছেন। গ্রামে আইনের শাসন ফেরানো হবে বেল বাসিন্দাদের তাঁরা আশ্বস্ত করেছেন। ডিআইজি অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তিনি কেবল বলেন, 'আমরা ঘটনার তদম্ত করছি। দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.