গাইঘাটা, 29 জুন : আগেই প্রধান পদে অনাস্থা ভোটে হার হয়েছে স্ত্রী'র । এবার অনাস্থা ভোটে হারলেন স্বামী ধ্যানেশনারায়ণ গুহ ৷
উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ ধ্যানেশনারায়ণ গুহ । তাঁর স্ত্রী কণা গুহ ছিলেন শিমুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান । বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ধ্যানেশ । এই ঘটনার পর তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল কংগ্রেস । গত 25 জুন তিনি হেরে যান । অন্যদিকে দল ছাড়ায় ধ্যানেশের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব আনেন পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সদস্যরা । গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট 8 জন স্থায়ী সদস্য, এঁদের মধ্যে একজন বিজেপির । আজ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য জয়দেব বিশ্বাসও তৃণমূলের 6 জন সদস্যের সঙ্গে সর্বসম্মতিতে ধ্যানেশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ।
আরও পড়ুন : 2 জুলাই রাজ্যপাল কি মমতার সরকারের দেওয়া ভাষণ পাঠ করবেন ?
এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাস বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধ্যানেশ বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন । তারপরেই আমরা স্থায়ী সমিতির সদস্যরা মিলে অনাস্থা এনেছি । স্থায়ী সমিতির 8 জন সদস্যের মধ্যে 7 জন সদস্য অনাস্থার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন ।" যদিও জানা গিয়েছে, মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসার পর ধ্য়ানেশ তাঁর সঙ্গে দেখা করে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন ৷ এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা গোবিন্দ দাস বলেন, "এই ব্যাপারে দল কোনও সিদ্ধান্ত আমাকে জানায়নি ৷ জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গেও কথা হয়েছে ৷ মুকুল রায় এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ৷ ধ্যানেশনারায়ণ গুহ যেদিন বিজেপি ছাড়ার কথা বলেন, সেদিন মুকুল রায়ের সঙ্গেও কথা বলি ৷ জানাই যে এই ধ্যানেশকে আমরা দলে নিতে পারব না ৷" কিন্তু মুকুল রায়ও পরে আর কিছু বলেননি বলে জানান তিনি ৷
বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব অবশ্য বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি রাজ্য অফিসের সামনে একটি মঞ্চ করা হয়েছিল । সেখানে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে । উনিও তেমনই গিয়েছিলেন, পতাকা ধরেছিলেন সেটা আমরা ছবিতে দেখেছি । কিন্তু আমরা যতটা জানি তিনি তৃণমূলে ছিলেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন । তৃণমূল তৃণমূলের সদস্যকে পদচ্যুত করছে । এটা ওদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার ৷"