বারাসত, 4 মে : ফণীর আশঙ্কায় উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া মিনাখাঁর বাছড়া, হরিণহুলা, পূর্ব মোহনপুর সহ কয়েকটি এলাকার কয়েকহাজার বাসিন্দাদের আশ্রয় দেওয়া হয় বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে । তবে, সেই ত্রাণ আটকে তা লুটের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে । একারণে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পেয়ে সরকারি ত্রাণ শিবিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা । বিক্ষোভের ঘটনাটি ঘটে মিনাখাঁর মোহনপুর পঞ্চায়েতের D H হাইস্কুলে ।
এই ত্রাণ শিবিরে প্রায় 200 জন আশ্রয় নেন । অভিযোগ, গতরাত থেকেই তাঁরা আধপেটা খেয়ে রাত কাটাচ্ছেন । বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হলে তিনি গ্রামবাসীদের কয়েকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন । তিনি বলেন, তৃণমূলের বুথ সভাপতি বললেই ত্রাণ পাঠানো হবে । এরপর বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূলের মস্তান বাহিনী ও সিভিক ভলান্টিয়র এসে হুমকি দেয় । তাদের বলা হয় সব জিনিসপত্র নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য না হলে ফল মারাত্মক হবে । ফলে অনেকেই বাড়ি ফিরে যান । যারা ফিরতে পারেনি তারা চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে ।
এবিষয়ে তাপস দাস নামের এক গ্রামবাসী বলেন, "মোহনপুর পঞ্চায়েতে কোনও নিয়ম-কানুন নেই । সবটাই নিয়ম বহির্ভূতভাবে চলছে । এখানে পঞ্চায়েত সদস্যদের কোনও পাত্তা দেন না তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান । যখন ফোন করে এই সমস্যার কথা জানানো হয় তখন উনি বলেন, তৃণমূলের বুথ সভাপতি বললেই ত্রাণ পাঠানো হবে । আমরা কাল রাত থেকে আধপেটা খেয়ে রয়েছি । কোনও সরকারি ত্রাণের ব্যবস্থা নেই । অন্য এক গ্রামবাসী ঝুম্পা প্রামাণিক অভিযোগ করে বলেন, আজ সকালে তৃণমূলের লোকজন এসে বলছে, কোনও খাবার নেই । সাথে সিভিক ভলান্টিয়র এসে হুমকি দেয় । ভয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছে । অন্য আরএক গ্রামবাসী জগন্নাথ মণ্ডলের অভিযোগ, এই শিবিরে 15 টি বুথের লোকজন আশ্রয় নিয়েছে । অথচ, কোনওরকম সরকারি ত্রাণ পায়নি । এক একজন আধপেটা খেয়ে কোনও রকমে দিন গুজরান করছে । আজও কোনও সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি ।"
যদিও, সরকারি ত্রাণ আটকে লুটের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে, সরকারি ত্রাণ নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন । তবে গ্রামবাসীরা বলেন, BJP-র তরফে আজ দুপুরে তাদের খাবার দেওয়া হয় ।