ঠাকুরনগর, 12 জুন: ঠাকুরবাড়ির গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে চুরি । গতকাল গভীর রাতে মন্দিরে চুরি হয়েছে বলে অনুমান ঠাকুর পরিবারের সদস্যদের । খোয়া গেছে সোনার গয়না ও প্রণামী বাক্সের টাকা । আজ ঠাকুরবাড়ির পক্ষ থেকে চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে গাইঘাটা থানায় । মন্দিরে চুরি নিয়ে শুরু হয়েছে BJP ও তৃণমূল তরজা । দু'পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ।
ঠাকুরবাড়ি চত্বরে একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে । তারপরেও রাতের অন্ধকারে গুরুচাঁদ মন্দিরে কীভাবে চুরি হল, তাই নিয়ে নানা জল্পনা চলছে । আগে কখনও মন্দিরে চুরি হয়নি । ধন্দে মতুয়া ভক্তরাও । অনেকের দাবি, সর্ষের মধ্যেই রয়েছে ভূত । গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরটি কামনাসাগর সংলগ্ন এলাকায় । ঠাকুরবাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন, আজ সকালে মন্দিরে গিয়ে দেখেন, কাচের দরজাটি ভাঙা । ঠাকুরের গলার সোনার গয়না নেই । মন্দিরের প্রণামী বাক্সটিও তালা ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে । তাঁদের দাবি, ঠাকুরের গয়না ও প্রণামী বাক্সের প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা ।
ঠাকুরবাড়ির সদস্য তথা বনগাঁর BJP সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, "এটাকে আমি চুরি বলব না । ডাকাতি করেছে । একজন সাংসদের বাড়ির মন্দির থেকে চুরি হল । পুলিশি নিস্ক্রিয়তা স্পষ্ট । গুরুচাঁদ মন্দিরে চুরির পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে । শাসক দলের মদত না থাকলে ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে চুরি কোনওভাবেই সম্ভব নয় । পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার না করলে আমি অনশনে বসব ।" BJP সাংসদের মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন তৃণমূল প্রভাবিত অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের কার্যকরি সভাপতি ধ্যানেশ নারায়ণ গুহ । বলেন, "গুরুচাঁদ মন্দিরে চুরি করিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর । ওঁর আশ্রয়ে যারা থাকে, তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ মন্দিরে ঢোকে না । আগেও শান্তনুর ঘনিষ্ঠরাই ঠাকুরবাড়িতে বোমাবাজি করেছিল । মন্দিরের CCTV শান্তুনু ঠাকুর বন্ধ করে রেখেছেন । শান্তনু ঠাকুর ওই বাড়িতে চোর, ডাকাত পোষেন । চুরি করলে তারাই করেছে ।"