ETV Bharat / state

কোরোনা রিপোর্টে বিভ্রান্তি, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের - Barasat corona

মধ্যমগ্রামের পূর্ব বঙ্কিম পল্লির বাসিন্দা শেফালি আচার্য(82) কয়েকদিন ধরে সর্দি,শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন । 4 নভেম্বর কোরোনার উপসর্গ নিয়ে তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ।

Barasat
বারাসত
author img

By

Published : Nov 19, 2020, 9:50 PM IST

বারাসত, 19 নভেম্বর : প্রথমে কোরোনা রিপোর্ট পজিটিভ । পরে সেই রিপোর্ট এল নেগেটিভ । বিভ্রান্তির জেরে মৃত বৃদ্ধার সৎকার থেকে বঞ্চিত হলেন পরিবারের লোকেরা । এমনই অভিযোগ উঠেছে বারাসত জেলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে । এখানেই শেষ নয়,কোরোনা সন্দেহে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়েও উঠেছে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ । কোরোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া সত্বেও সৎকার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় কার্যত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলে ইতিমধ্যে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে ।

জানা গেছে, মধ্যমগ্রামের পূর্ব বঙ্কিম পল্লির বাসিন্দা শেফালি আচার্য(82) কয়েকদিন ধরে সর্দি,শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন । 4 নভেম্বর কোরোনার উপসর্গ নিয়ে তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরিবারের অভিযোগ, কোরোনার উপসর্গ থাকায় অন্যান্য সংক্রমিতদের সঙ্গে ওই বৃদ্ধাকেও আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় । এরপর হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয় কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বৃদ্ধা । এও বলা হয় ভেন্টিলেশন ফাঁকা রয়েছে এমন কোরোনা হাসপাতালে তাঁকে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । কিন্তু, 5 নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত বৃদ্ধাকে বারাসত হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় বলেই অভিযোগ রোগীর পরিবারের । এরপর, সেদিন বিকেলেই প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই বৃদ্ধার । এর কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় তাঁর । যেহেতু ওই বৃদ্ধা কোরোনা আক্রান্ত তাই মৃতদেহ সৎকার করতে হবে করোনাবিধি মেনেই । মৃতার পরিবারকে এমনই জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে । শেষপর্যন্ত সরকারি নিয়ম মেনে সৎকার করা হয় মৃতার দেহ । ফলে সেই সৎকারে অংশ নিতে পারেননি পরিবারের লোকেরা । কিন্তু কয়েকদিন পর স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে মৃতার পরিবারের মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানানো হয়,ওই বৃদ্ধা কোরোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । এই ম্যাসেজ পেয়ে হতচকিত হয়ে যান পরিবারের লোকেরা । এরপরই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা । মৃতার ছেলে প্রদীপ আচার্য বলেন, "মা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন । কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শ্বাসকষ্ট দেখে কোরোনা হয়েছে বলে সন্দেহ করেন । স্রেফ সন্দেহের বশে আমার মাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ফেলে রাখা হয় । কার্যত বিনা চিকিৎসায় একদিনেরও বেশি পড়ে থেকে মায়ের মৃত্যু হয় । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোরোনায় মৃত্যু বলায় সৎকারের সময় কেউ পাশে থাকতে পারিনি ৷" তাঁর কথায়,"হাসপাতালের পক্ষ থেকে যারা মৃতদেহ গাড়িতে তুলেছিল তাঁদের জন্য PPE কিট কিনে দেওয়ার পাশাপাশি গাড়ির খরচ দিতে হয়েছিল আমাদের । মাকে শেষবারের মতো ছুঁয়ে দেখা তো দূর, এই বিভ্রান্তির জন্য সৎকার থেকেও বঞ্চিত হতে হয়েছে আমাদের । অথচ,স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে পাঠানো ম্যাসেজ থেকে জানতে পেরেছি মায়ের কোরোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল ।" হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই এই ভোগান্তি বলে অভিযোগ করেছেন মৃতার ছেলে । এদিকে,এই বিষয়ে বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশন থেকে সমস্ত আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েই ওই বৃদ্ধাকে রাখা হয়েছিল । ফলে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয় । আর মৃতদেহ নিয়ম মেনেই পরিবারের হাতে দেওয়া হয়েছিল । তারপরও কেন এমন অভিযোগ করা হচ্ছে তা বলতে পারব না ৷"

অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন,"অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"

বারাসত, 19 নভেম্বর : প্রথমে কোরোনা রিপোর্ট পজিটিভ । পরে সেই রিপোর্ট এল নেগেটিভ । বিভ্রান্তির জেরে মৃত বৃদ্ধার সৎকার থেকে বঞ্চিত হলেন পরিবারের লোকেরা । এমনই অভিযোগ উঠেছে বারাসত জেলা হাসপাতালের বিরুদ্ধে । এখানেই শেষ নয়,কোরোনা সন্দেহে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়েও উঠেছে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ । কোরোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া সত্বেও সৎকার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় কার্যত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলে ইতিমধ্যে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে ।

জানা গেছে, মধ্যমগ্রামের পূর্ব বঙ্কিম পল্লির বাসিন্দা শেফালি আচার্য(82) কয়েকদিন ধরে সর্দি,শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন । 4 নভেম্বর কোরোনার উপসর্গ নিয়ে তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরিবারের অভিযোগ, কোরোনার উপসর্গ থাকায় অন্যান্য সংক্রমিতদের সঙ্গে ওই বৃদ্ধাকেও আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয় । এরপর হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয় কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বৃদ্ধা । এও বলা হয় ভেন্টিলেশন ফাঁকা রয়েছে এমন কোরোনা হাসপাতালে তাঁকে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । কিন্তু, 5 নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত বৃদ্ধাকে বারাসত হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় বলেই অভিযোগ রোগীর পরিবারের । এরপর, সেদিন বিকেলেই প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই বৃদ্ধার । এর কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় তাঁর । যেহেতু ওই বৃদ্ধা কোরোনা আক্রান্ত তাই মৃতদেহ সৎকার করতে হবে করোনাবিধি মেনেই । মৃতার পরিবারকে এমনই জানানো হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে । শেষপর্যন্ত সরকারি নিয়ম মেনে সৎকার করা হয় মৃতার দেহ । ফলে সেই সৎকারে অংশ নিতে পারেননি পরিবারের লোকেরা । কিন্তু কয়েকদিন পর স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে মৃতার পরিবারের মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানানো হয়,ওই বৃদ্ধা কোরোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে । এই ম্যাসেজ পেয়ে হতচকিত হয়ে যান পরিবারের লোকেরা । এরপরই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা । মৃতার ছেলে প্রদীপ আচার্য বলেন, "মা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন । কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শ্বাসকষ্ট দেখে কোরোনা হয়েছে বলে সন্দেহ করেন । স্রেফ সন্দেহের বশে আমার মাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ফেলে রাখা হয় । কার্যত বিনা চিকিৎসায় একদিনেরও বেশি পড়ে থেকে মায়ের মৃত্যু হয় । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোরোনায় মৃত্যু বলায় সৎকারের সময় কেউ পাশে থাকতে পারিনি ৷" তাঁর কথায়,"হাসপাতালের পক্ষ থেকে যারা মৃতদেহ গাড়িতে তুলেছিল তাঁদের জন্য PPE কিট কিনে দেওয়ার পাশাপাশি গাড়ির খরচ দিতে হয়েছিল আমাদের । মাকে শেষবারের মতো ছুঁয়ে দেখা তো দূর, এই বিভ্রান্তির জন্য সৎকার থেকেও বঞ্চিত হতে হয়েছে আমাদের । অথচ,স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে পাঠানো ম্যাসেজ থেকে জানতে পেরেছি মায়ের কোরোনা রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল ।" হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই এই ভোগান্তি বলে অভিযোগ করেছেন মৃতার ছেলে । এদিকে,এই বিষয়ে বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভেন্টিলেশন থেকে সমস্ত আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েই ওই বৃদ্ধাকে রাখা হয়েছিল । ফলে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয় । আর মৃতদেহ নিয়ম মেনেই পরিবারের হাতে দেওয়া হয়েছিল । তারপরও কেন এমন অভিযোগ করা হচ্ছে তা বলতে পারব না ৷"

অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় বলেন,"অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.