বসিরহাট, 2 অক্টোবর: পুজোর সময়েও সীমান্তে অব্যাহত চোরাচালান (Gold Smuggling) । সোনা পাচার করতে গিয়ে এবার বিএসএফের (BSF) হাতে ধরা পড়ল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (Ten Class Student) । ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপনগরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় (Border Area) ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই ছাত্রী পিঠে একটি ব্যাগ চাপিয়ে সাইকেলে করে হাকিমপুর চেকপোস্টের দিকে যাচ্ছিলেন । তা দেখে দৃশ্যতই সন্দেহ হয় বিএসএফের 112 নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের । এরপরই ছাত্রীকে আটকানো হয় সীমান্তের কাছে । ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই মেলে 58টি সোনার রিং । যার ওজন প্রায় 140 গ্রাম । বাজারমূল্য প্রায় সাত লক্ষ টাকা । আটক ওই ছাত্রীকে পরে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলে গ্রেফতার করা হয় তাকে । বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার রিং তুলে দেওয়া হয়েছে তেতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে ।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান কিংবা পাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয় । আগেও নানা সময়ে স্বরূপনগর অথবা বসিরহাটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সোনার বাট,রুপোর গয়না পাচারের চেষ্টা সামনে এসেছিল । যদিও বিএসএফ সজাগ থাকায় পাচারকারীদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল সেই সময় । ফলে, গতানুগতিক ছক বদলে নিত্য নতুন কায়দায় পাচার করার চেষ্টা শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় । আর এই কাজে সীমান্তের বেকার যুবক-যুবতী, এমনকী পড়ুয়াদের টার্গেট হিসেবে বেছে নিচ্ছে পাচারকারীরা । যা রবিবারের এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট ।
জানা গিয়েছে, বছর 15'র ওই ছাত্রীর বাড়ি হাকিমপুর-বিথারী পঞ্চায়েতের তারালী সীমান্ত এলাকায় । সপ্তমীর সকালে সে সাইকেলে করে হাকিমপুর চেকপোস্টের দিকে যাচ্ছিল । পিঠে ছিল একটি ব্যাগও । প্রথমে তাকে দেখে সন্দেহ না-হলেও, পরে ওই ছাত্রীর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় বিএসএফ জওয়ানদের । সাইকেল-সমেত ছাত্রীকে আটকাতেই বানচাল হয়ে যায় সোনা পাচারের ছক । সাফল্য মেলে বিএসএফের ।
আরও পড়ুন: বারাসতে প্লাস্টিক বিরোধী অভিযান, জরিমানা ব্যবসায়ীদের
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কী কারণে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী সোনা পাচারের চেষ্টা করছিলেন, কার কাছে সোনার রিং পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল তার । তা ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে । এদিকে, ধৃত ওই ছাত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিতে রবিবার দুপুরে তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ ।