ব্যারাকপুর, 3 ডিসেম্বর: "এরাজ্যে পুলিশের অশোকস্তম্ভ আছে নাকি! ওটা হাওয়াই চটিতে পরিণত হয়েছে । ওটা নিয়ে আপনাদের পদলেহন করতে লজ্জাবোধ করে না । এই ধরনের পুলিশ যদি অন্য রাজ্যে থাকততাহলে এতদিনে সাসপেন্ড হয়ে যেত ।" ব্যারাকপুরে এসে এমনই মন্তব্য করলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mujamdar) ৷
বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার ডাকে শুক্রবার দুপুরে 'পুলিশ কমিশনারেট চলো'র ডাক দেওয়া হয়েছিল । মূলত ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় ক্রমবর্ধমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বোমাবাজি, খুনখারাপি, লুঠ, বেআইনি মাদক ব্যবসা-সহ দলীয় কর্মীদের ওপর লাগাতার সন্ত্রাস ও নির্যাতন এবং সর্বোপরি পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে এদিন জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে 'কমিশনারেট চলো' কর্মসূচি সংগঠিত করা হয় । এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এদিন ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে একটি সুবিশাল প্রতিবাদ মিছিল এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে চিড়িয়ামোড়ে এসে শেষ হয় । এরপর সেখানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশেরও আয়োজন করা হয় ।
এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, জেলা সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কনভেনর অমিতাভ রায়, কিশোর কর, কুন্দন সিং, আবিষ্কার ভট্টাচার্য-সহ বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ ।
পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mujamdar) মন্তব্য, "জনগনের টাকায় আপনাদের মাহিনা হয়, ব্যানার্জি পরিবারের টাকায় হয় না । আপনারা যদি না পারেন সরে যান । 15 মিনিটে তৃণমূলকে সাফ করে দেব । বাংলায় পুলিশকে তৃণমূলী গুন্ডারা গুলি করছে । এর জন্য দায়ী একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ।"
আরও পড়ুন: 7 ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশন নিয়ে সৌগতর বাসভবনে সাংসদের সঙ্গে বৈঠক মমতার
রাজ্যের শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, "ডিসেম্বর মাস পড়ে গেছে । আর বেশি দিন বাকি নেই । ওঁর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে । তাই উনি কম্বল বিতরণ করেছেন । ওনার ভাইপো এখন শ্যামা সঙ্গীত গাইছেন । কারণ উনি সম্প্রতি ইডির সমন পেয়েছেন ।"
তাঁর দাবি, এই সরকার চোরেদের সরকার, লুঠেদের সরকার । আগামী 24 সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে যদি বিধানসভা নির্বাচন হয়, তাহলে এই সরকারকে উৎখাত করে ছাড়ব । সুকান্তর কথায়, আগামিদিনে তৃণমূলের আরও অনেক নেতা জেলে পঁচবে । কেউ কিছু করতে পারবে না । দু'পক্ষের মধ্যে খেলা হলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে । এদিনের সভামঞ্চে নৈহাটি পৌরসভা অভিযানে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত যুব মোর্চার নেত্রী জিনিয়া দে-সহ চারজন উপস্থিত ছিলেন । সভা শেষে সাতজনের বিজেপি প্রতিনিধি দল ব্যারাপুর কমিশনারেট অফিসে গিয়ে একটি স্বারকলিপিও জমা দেন ।