আমডাঙা, 5 জানুয়ারি : প্রত্যেকটি চুরির আগে নিখুঁত পরিকল্পনা ৷ তাতেও শেষ রক্ষা হল না ৷ মাত্র কয়েক দিনের চেষ্টাতেই গোটা চক্রকে পাকড়াও করল পুলিশ (Amdanga Temple Theft Arrest) ৷ একইসঙ্গে আমডাঙার করুণাময়ী মন্দিরে চুরির কিনারাও করে ফেলল পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) ৷ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পুলিশের দাবি, চুরি করাই এদের মূল পেশা ৷
আরও পড়ুন : villagers block road after theft in temple : মন্দিরে চুরি, ক্ষোভে পথ অবরোধ
সম্প্রতি উত্তর 24 পরগনার আমডাঙার করুণাময়ী মায়ের মন্দিরে চুরি হয় ৷ পুলিশের দাবি, সেই ‘অপারেশন’-এর আগে বেশ কিছু দিন এই এলাকাতেই আস্তানা গেড়েছিল এই দলটি ৷ রীতিমতো রেইকি করে চুরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল ৷ বুধবার বারাসতের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ধৃত ছয় অভিযুক্ত এবং উদ্ধার হওয়া চুরির সামগ্রী-সহ একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন ৷ তিনি জানান, ‘‘মধ্যমগ্রামের একটি মন্দিরে চুরির ঘটনার সূত্র ধরেই আমরা এই চক্রটির খোঁজ শুরু করি ৷ এরপরই জানতে পারি আমডাঙার মন্দিরে চুরির 10 দিন আগে বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় এই দলটি ঘাঁটি গেড়েছিল ৷ চুরির পরই তারা সেখান থেকে চলে যায় ৷ ফলে তাদের উপর সন্দেহ আরও বাড়ে ৷ মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়ে দলের সদস্যদের ছবি ৷ তারপর বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তল্লাশি শুরু করা হয় ৷’’
কীভাবে ধরা পড়ল ছয় অভিযুক্ত ? জবাবে পুলিশ সুপার জানান, ‘‘প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানা এলাকার চন্দ্রকোণা রোড থেকে রঘু বেদ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাকে জেরা করে বাঁকুড়া থেকে সন্ধান মেলে আরও তিনজনের ৷ জগদার সিংয়ের হদিশ পাওয়া যায় বাঁকুড়ার রাইপুরে ৷ এছাড়া, আশিক সিং এবং সূর্য বেদ নামে অপর দু’জনের সন্ধান মেলে বাঁকুড়ার হিরবাঁধ থানা এলাকায় ৷ এই চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আরও দু’জনের নাম সামনে আসে ৷ যোগীন্দর সিং ও সুকুর সিং নামে ওই দু’জনকে ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৷’’ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় 720 গ্রাম সোনা ও প্রায় 6 কেজি রুপোর গয়না উদ্ধার করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : নলহাটির প্রাচীন মন্দিরে চুরি, খোয়া গেল নারায়ণ শিলা, সোনা-রুপোর সামগ্রী
প্রসঙ্গত, পাঁচশো বছরের প্রাচীন আমডাঙার করুণাময়ী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে গত 19 ডিসেম্বর ৷ লোহার গ্রিল ভেঙে বিগ্রহের সমস্ত সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা ৷ ঘটনার তদন্তে আমডাঙা থানার আইসি অঞ্জন দত্তের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয় ৷ তদন্তে নেমে 16 দিনের মাথায় চুরির কিনার করেন সেই দলের সদস্যরা ৷