গাইঘাটা, 29 সেপ্টেম্বর: বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুনে ঘটনায় এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেই মন্ত্রীর অভিযোগ, ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে না পেরে সংসদীয় এলাকা উত্তপ্ত করতে চাইছে পরিকল্পনা করে। বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা করা হচ্ছে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত না করলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ৷ শুক্রবার গাইঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে এমনটাই বলেন মন্ত্রী ৷
নিহতের পরিবারের সদস্যদের সামনেই এই ঘটনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলে পুলিশকে আক্রমণ করেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, "পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। যারা অভিযুক্ত তাঁদের বাড়িতে পাহারা দিচ্ছেন।" মন্ত্রীর দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার মূলে। সংসদীয় এলাকা উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতি তৈরি করতে চাইছে।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, "এই রাজ্যে যারা খুন করে তাঁদের বাড়িতে পুলিশ পাহাড়া দেয়। আর যে বাড়িতে মানুষ খুন হন, সেই বাড়ি আতঙ্কে থাকে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।" একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "এইবারে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, যাঁর উসকানিতে হয়েছে, সে যদি গ্রেফতার না হয় গাইঘাটা থানার গেটে তালা লাগিয়ে দেব।"
এই বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "কোনও ঘটনা ঘটলে তার শাস্তি হয়। রাতের মধ্যেই অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা দাবি করেছি। একটা পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছে শান্তনু ঠাকুর। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজের বুথে হেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভীতি কাজ করছে।"
আরও পড়ুন: '3 তারিখের তদন্ত যেন ক্ষতিগ্রস্ত না-হয়', নির্দেশ বিচারপতির; হাজিরা কি এড়াবেন অভিষেক ?
বুধবার রাতে উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটার মানিকহীরা দেশপাড়ায় খুন হন বিজেপি কর্মী কানন রায়। তাঁর মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। যাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিরুপম রায়ের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল গ্রামবাসীরা । শুক্রবার কানন রায়ের বাড়িতে নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল ও গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন নিহতের পরিবার। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন তাঁরা।