বারাসত, 4 ফেব্রুয়ারি : দীর্ঘ বঞ্চনার অভিযোগ। অবশেষে ভাঙল ধৈর্যের বাঁধ। তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাল আদিবাসী এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি সমাজ। ঝুঁকল বিজেপির দিকে।রীতিমতো প্রকাশ্যে শাসকদলকে ভোট না দেওয়ার ঘোষণা করলেন ভারতীয় আদিবাসী এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি উন্নয়ন সংস্থার জেলা সভাপতি সুকুমার সরদার। জানালেন গেরুয়া শিবিরকে ভোট দেওয়ার কথাও । যার পরেই জেলা রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে । এই ঘোষণায় বিজেপি শিবির উল্লসিত হলেও ভোটের মুখে শাসকদলের কপালে যে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়।
আদিবাসী এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছে ওই সংগঠন। বেশ কয়েকবার আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তাঁরা । এমনকি, একাধিক দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিয়ে জেলা তফসিলি আদিবাসী এবং অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দপ্তরের দৃষ্টিও আকর্ষণ করা হয়েছিল।প্রতিবারই মিলেছিল প্রতিশ্রুতি। কিন্তু তারপরও আদিবাসী ও তফসিলি জাতির উন্নয়ন হয়নি বলেই অভিযোগ। এরপরই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে তাঁদের। আদিবাসী এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিকে বঞ্চনার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ফের পথে নামে সংগঠনের সদস্য।
আরও পড়ুন : কালিয়াগঞ্জে প্রচারে ‘তপশিলি সংলাপ’ ট্য়াবলো
এদিন দুপুরে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে প্রথমে সভা সংগঠিত হয় বারাসতে জেলাশাসকের দপ্তরের পাশে। এরপর চিরাচরিত তীর, ধনুক, বল্লম হাতে নিয়ে আদিবাসী সমাজের মানুষজন অভিযানে যায় জেলাশাসকের দপ্তরে। কিন্তু দপ্তরের দু'দিকের গেটে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি আন্দোলনকারীরা। বাঁধা পেয়ে দ্বিতীয় গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন আদিবাসী সমাজের মানুষজন। প্রায় ঘন্টা খানেক চলে এই বিক্ষোভ। এরই মধ্যে সংগঠনের প্রতিনিধিদল বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে জেলা আদিবাসী,তফসিলি ও অনগ্রসর শ্রেনি উন্নয়ন দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেয়। সেই সময় দপ্তরের জেলা আধিকারিক তানিয়া পারভিনের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসাও শুরু হয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের। যদিও দপ্তরে পুলিশ থাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।