কলকাতা, 12 জানুয়ারি: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় জমা পড়ল তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট । 13 সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল স্বাস্থ্যভবনে। তবে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়বে আগামিকাল, সোমবার সন্ধ্যায় । জানা গিয়েছে, তারপরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই ঘটনা নিয়ে । এই বিষয় রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, "আজ তদন্তের একটা প্রাথমিক রিপোর্ট জমা হয়েছে । আগামিকাল পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেবে তদন্ত কমিটি ৷ তারপরই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। "
স্যালাইন-কাণ্ডে রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে একটি বৈঠক হয়। তদন্ত কমিটিতে থাকা 13 জন চিকিৎসক সেই বৈঠকে যোগ দেন । উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর সরঙ্গী ও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী । এর পাশাপাশি ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। রবিবার দুপুর 12টা 30 মিনিট থেকে এই বৈঠক শুরু হয় ৷ শেষ হয়েছে বেলা 3টের সময়। এই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
তদন্ত কমিটির সদস্য সৌমিত্র ঘোষ বলেন, "প্রসূতিদের শারীরিক সমস্যার কারণ শুধুমাত্র রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন নয়, অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে । কারণ এই একই স্যালাইন অন্য হাসপাতালেও ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রসূতিদের ড্রাগ টেস্ট করা হচ্ছে। সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে স্যালাইনগুলি গিয়েছে। সেখান থেকে পরীক্ষা করে আসার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দীর কথায়, "এই মুহূর্তে আমরা ওই স্যালাইন ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছি । তবে এখন রোগীরা চিকিৎসাধীন । তাঁদের শারীরিক অবস্থা দেখার পরে সমস্ত ব্যবস্থা করা হবে ।"