ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বারাসতে পুকুর ভরাট - Municipality

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বারাসতে চলছে পুকুর ও জলাভূমি ভরাট করার কাজ । পৌরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা ।

বারাসতে চলছে পুকুর ও জলাভূমি ভরাট করার কাজ
author img

By

Published : Aug 11, 2019, 2:59 PM IST

বারাসত, 11 অগাস্ট : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও পুকুর ভরাট করার কাজ চলছে অবাধে । বারাসত স্টেশনের ঠিক পাশে, বনমালিপুর এলাকায় চলছে এই কাজ । অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই পুকুরের একাংশ আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হয়েছে । যা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা । ইতিমধ্যে, বিষয়টি পৌরসভা ও প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন‌ও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । যদিও, পৌরসভার দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পর‌ই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।

সম্প্রতি, উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে পুকুর ও জলাভূমি ভরাট যাতে না হয়, সেজন্য পৌরসভা ও প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু, সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চলছে পুকুর ভরাটের কাজ । এই অভিযোগ করেছেন পৌরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা । বারাসত স্টেশনের ঠিক পাশে 30 কাঠা জমির উপর একটি পুকুর রয়েছে । সেটি বোজানোর কাজ চলছে । ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় একটি ক্লাবের । অন্যদিকে, অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের‌ একাংশের বিরুদ্ধেও । ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।

স্থানীয় বাসিন্দা শংকর দাস বলেন, "পুকুরটি নানা কৌশলে ভরাটের চেষ্টা চলছে । মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, পুকুর ও জলাভূমি ভরাট করা চলবে না । আর তাঁর দলের একাংশ‌ই এই ভরাটের সঙ্গে জড়িত আছে । 'জল ধরো, জল ভরো' প্রকল্পে পুকুর সংস্কারের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী । অথচ, বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ভরাট করা হচ্ছে । পৌরসভা সবকিছুই জানে । দেখছি, দেখব বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে পৌরসভা । "

স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সমীর কুণ্ডু বলেন, "আমাদের ইচ্ছে ছিল পুকুরকে ব্যবহার করে যদি কোন‌ও উন্নয়নমূলক কাজ করা যায় । সে জন্য পুকুরের মালিক উমেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলি । উনি আমাদের বলেন, কিছু জমি তাঁকে দেওয়ার পর পৌরসভা যদি সেখানে কোন‌ও কাজ করে তাতে আপত্তি নেই । কিন্তু কিছু লোক পুকুরের একাংশ ভরাট করছে । সঙ্গে সঙ্গে আমি জমির মালিককে দিয়ে বারাসত থানায় জেনেরাল ডায়েরি করিয়েছি । তারপরেও পুকুর ভরাট চলতে থাকায় বিষয়টি পৌরপ্রধান ও উপ-পৌরপ্রধানকে জানানো হয় ।"

কাউন্সিলরের দাবি, এখন পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ আছে । সমীরবাবু বলেন, "বারাসতে জেলাশাসকের দপ্তর সংলগ্ন এলাকায় আবর্জনা ফেলার জায়গা ছিল । সেটি এখন অস্থায়ীভাবে পুকুরের পাশে করা হয়েছে । সেখানে বড় বাজারের বিভিন্ন নোংরা কমপ্যাক্টরের সাহায্যে প্রসেস করে ফেলা হয় ।" পৌরপ্রধান সুনীল মুখার্জি বলেন, "স্থানীয় একটি ক্লাব পুজো করবে বলেছিল । এখন পুকুর ভরাটের কাজ পুরোপুরি বন্ধ ।"

বারাসত, 11 অগাস্ট : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও পুকুর ভরাট করার কাজ চলছে অবাধে । বারাসত স্টেশনের ঠিক পাশে, বনমালিপুর এলাকায় চলছে এই কাজ । অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই পুকুরের একাংশ আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হয়েছে । যা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা । ইতিমধ্যে, বিষয়টি পৌরসভা ও প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন‌ও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । যদিও, পৌরসভার দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পর‌ই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।

সম্প্রতি, উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে পুকুর ও জলাভূমি ভরাট যাতে না হয়, সেজন্য পৌরসভা ও প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু, সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চলছে পুকুর ভরাটের কাজ । এই অভিযোগ করেছেন পৌরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা । বারাসত স্টেশনের ঠিক পাশে 30 কাঠা জমির উপর একটি পুকুর রয়েছে । সেটি বোজানোর কাজ চলছে । ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় একটি ক্লাবের । অন্যদিকে, অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের‌ একাংশের বিরুদ্ধেও । ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।

স্থানীয় বাসিন্দা শংকর দাস বলেন, "পুকুরটি নানা কৌশলে ভরাটের চেষ্টা চলছে । মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, পুকুর ও জলাভূমি ভরাট করা চলবে না । আর তাঁর দলের একাংশ‌ই এই ভরাটের সঙ্গে জড়িত আছে । 'জল ধরো, জল ভরো' প্রকল্পে পুকুর সংস্কারের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী । অথচ, বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ভরাট করা হচ্ছে । পৌরসভা সবকিছুই জানে । দেখছি, দেখব বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে পৌরসভা । "

স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সমীর কুণ্ডু বলেন, "আমাদের ইচ্ছে ছিল পুকুরকে ব্যবহার করে যদি কোন‌ও উন্নয়নমূলক কাজ করা যায় । সে জন্য পুকুরের মালিক উমেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলি । উনি আমাদের বলেন, কিছু জমি তাঁকে দেওয়ার পর পৌরসভা যদি সেখানে কোন‌ও কাজ করে তাতে আপত্তি নেই । কিন্তু কিছু লোক পুকুরের একাংশ ভরাট করছে । সঙ্গে সঙ্গে আমি জমির মালিককে দিয়ে বারাসত থানায় জেনেরাল ডায়েরি করিয়েছি । তারপরেও পুকুর ভরাট চলতে থাকায় বিষয়টি পৌরপ্রধান ও উপ-পৌরপ্রধানকে জানানো হয় ।"

কাউন্সিলরের দাবি, এখন পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ আছে । সমীরবাবু বলেন, "বারাসতে জেলাশাসকের দপ্তর সংলগ্ন এলাকায় আবর্জনা ফেলার জায়গা ছিল । সেটি এখন অস্থায়ীভাবে পুকুরের পাশে করা হয়েছে । সেখানে বড় বাজারের বিভিন্ন নোংরা কমপ্যাক্টরের সাহায্যে প্রসেস করে ফেলা হয় ।" পৌরপ্রধান সুনীল মুখার্জি বলেন, "স্থানীয় একটি ক্লাব পুজো করবে বলেছিল । এখন পুকুর ভরাটের কাজ পুরোপুরি বন্ধ ।"

Intro:মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে, কোনও জায়গায় পুকুর ও জলাভূমি ভরাট করা চলবে না।অথচ, সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বারাসতে দিব‍্যি চলছে পুকুর বোজানো। সবকিছু জেনেও পৌরসভা উদাসীন বলে অভিযোগ।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বারাসতে অবাধে চলছে পুকুর চুরি।তাও আবার বারাসত স্টেশনের ঠিক পাশে,বনমালিপুরের মতো জনবহুল এলাকায়। অভিযোগ, শাসকদলের মদতেই ওই পুকুরের একাংশ নোংরা, আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হয়েছে।যা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে,বিষয়টি পৌরসভা ও প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন‌ও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও, পৌরসভার দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পর‌ই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি, উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে পুকুর ও জলাভূমি ভরাট নিয়ে পৌরসভা ও প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই নির্দেশের থোরায় কেয়ার! কার্যত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বারাসতে অবাধে চলছে পুকুর ভরাটের কাজ। এমনই অভিযোগ করেছেন পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।বারাসত স্টেশনের ঠিক পাশে ৩০ কাটার একটি পুকুর রয়েছে। পুকুর বললে এখন ভুল বলা হবে! পুকুরের চারদিকে কচুরিপানায় ভর্তি।তাঁর একদিকে বিভিন্ন নোংরা, আবর্জনা ফেলে পুকুর বোজানোর কাজ চলছে।তাও আবার প্রকাশ‍্যে।এলাকাটি বারাসত পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত।এখানকার কাউন্সিলর শাসকদলের। ঘটনার পিছনে নাম জড়িয়েছে স্থানীয় একটি ক্লাবের! যাদের পিছন থেকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের‌ই একাংশের বিরুদ্ধে! ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ,"স্থানীয় একটি ক্লাবকে পূজোর সুযোগ করে দিতেই দীর্ঘদিনের পুরনো ওই পুকুরটি নানা কৌশলে বোজানোর কাজ চলছে। এমনভাবে করা হচ্ছে,যাতে কেউ বুঝতে না পারে। সেইজন্য পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার নোংরা, আবর্জনা এনে সেখানে ফেলা হচ্ছে!কেউ প্রশ্ন করলেই বলা হচ্ছে, নোংরা ও আবর্জনা সাময়িকভাবে ফেলা হচ্ছে।পরে, তুলে নেওয়া হচ্ছে। এইভাবে পুকুরের একাংশ বুজিয়ে ফেলা হয়েছে"!শঙ্কর দাস নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন,"পুকুরটি বহু পুরনো।সেখানেই বিভিন্ন নোংরা,রাবিশ ফেলে নানা কৌশলে ভরাটের চেষ্টা চলছে! মুখ্যমন্ত্রী একদিকে বলছেন,পুকুর ও জলাভূমি ভরাট করা চলবে না।অন‍্যদিকে, তাঁর দলের একাংশ‌ই এই ভরাটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী জল ধরো,জল ভরো প্রকল্পে পুকুর সংস্কারের কথা বলছেন।অথচ, বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ভরাট করা হচ্ছে"। তাঁর কথায়,"পৌরসভা সবকিছুই জানে!দেখছি,দেখবে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে তারা। কোনও কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করছে না"। এবিষয়ে স্থানীয় তৃনমূল কাউন্সিলর সমীর কুন্ডু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,"পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে অপরিষ্কার অবস্থায় পড়ে রয়েছে।তাই, আমাদের ইচ্ছে ছিল,পুকুরকে ব্যবহার করে যদি কোন‌ও উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়। সেইজন্য পুকুরের যিনি মালিক, সেই উমেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলি।উনি, আমাদের বলেন, কিছু জমি তাকে দেওয়ার পর পৌরসভা যদি সেখানে কোন‌ও কাজ করে তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু, এরমধ্যেই জানতে পারি, কিছু লোক পুজোর স্বার্থে ওই পুকুরের একাংশ ভরাট করছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি জমির মালিককে দিয়ে বারাসত থানায় একটি জেনারেল ডায়রি করি। তারপরেও পুকুর ভরাট চলতে থাকায়, বিষয়টি পৌর প্রধান ও উপ-পৌরপ্রধানকে জানানো হয়"। কাউন্সিলের দাবি,"এখন পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ আছে"। তাঁর কথায়,"বারাসতে জেলাশাসকের দপ্তর সংলগ্ন এলাকায় নোংরা ফেলার একটি জায়গা ছিল।সেটিই এখন অস্থায়ীভাবে ওই পুকুরের পাশে করা হয়েছে।সেখানে বড় বাজারের বিভিন্ন নোংরা কমপ‍্যাক্ট মেশিনের সাহায্যে ছোট করে ফেলা হয়। পুকুরের একাংশ ভরাট হলেও সেই অর্থে ভরাট হয়নি বলেও দাবি তৃনমূল কাউন্সিলরের।এক‌ই সুর শোনা গিয়েছে বারাসত পৌরসভার পৌর প্রধান সুনীল মুখার্জীর গলাতেও। এবিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"স্থানীয় একটি ক্লাব পুজো করবে বলে,ওরা ওখানে ড্রেজিংয়ের কাজ করছিল।আমরা বিষয়টি জানতে পেরে, ওদের সেই কাজ বন্ধ করতে বলি।এখন তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে"।পৌর প্রধান ও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের কথা যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে কাদের মদতে ওই পুকুর ভরাট এতদিন চলল?থানায় অভিযোগ হ‌ওয়ার পরেও কেন প্রশাসনের কোন‌ও ভূমিকা ছিলনা?যে অঞ্চলে পুকুরটির অবস্থান,সেখান থেকে কয়েক পা এগোলেই জেলা পরিষদ‌ ও জেলাশাসকের কার্যালয়। আশপাশে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর‌ও রয়েছে! তারপরেও কিভাবে ওই পুকুর ভরাট হল?কেন‌ই বা কারোর চোখে পড়ল না?নাকি দেখেও না দেখার ভান করে ছিলেন কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ?এরকম বিভিন্ন প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে!তবে,এই সমস্ত প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যায়নি।Conclusion:যদিও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় তৃনমূল কাউন্সিলরের দাবি, পুকুর সেই অর্থে ভরাট হয়নি।বিষয়টি জানার পর‌ই উদ্যোগ নিয়ে বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.