বারাসত, 20 মে: সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে খোলা ছিল বাজার, দোকানপাট । চলছিল বিকিকিনিও । শেষে খোলা বাজার, দোকানপাট বন্ধ করতে রাস্তায় নামলেন পুলিশ কর্মীরা ।রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে ধমক দিয়ে সতর্ক করা হল ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই । উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতের ঘটনা ।
করোনার সংক্রমণে লাগাম টানতে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে । একমাত্র জরুরি পরিষেবাকেই ছাড় দেওয়া হয়েছে এই বিধিনিষেধ থেকে । তবে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সকালে মাত্র তিনঘণ্টার জন্য বাজার, দোকানপাট খোলা রাখা যাচ্ছে । এই নিয়ম গোটা রাজ্যে বলবৎ থাকবে 30 মে পর্যন্ত । যেহেতু সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে স্কুল, কলেজ, সরকারি এবং বেসরকারি অফিস, পরিবহণ, ট্রেন, মেট্রো চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে, সেহেতু অনেকেই এই বিধিনিষেধকে কার্যত লকডাউন হিসেবেই দেখছেন । সরকারি নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর থেকেই উত্তর 24 পরগনার বিভিন্ন জায়গায় উঠেছে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ । বাদ ছিল না জেলাসদর বারাসতও ।
আরও পড়ুন: গ্রামের মানুষদের জন্য ত্রাণ নিয়ে আসানসোলে সায়নী ঘোষ
নিয়মভঙ্গকারীদের শায়েস্তা করতে রাস্তায় নেমে কড়া পদক্ষেপও নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন । কিন্তু তারপরও একশ্রেণির দোকানদার, আমজনতার মধ্যে যে হুঁশ ফিরছে না, তা আবারও টের পাওয়া গেল সেই বারাসতেই । সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সকাল দশটার পরও খোলা ছিল কাছারি মাঠের মাছ ও সবজি বাজার, নবপল্লি এবং হৃদয়পুর বাজারের বিভিন্ন দোকানপাট । সেখানে দিব্যি চলছিল বিকিকিনিও । খবর কানে আসতেই বাজার এবং দোকানপাট বন্ধ করতে তৎপর হয় বারাসত থানার পুলিশ । রাস্তায় নেমে লাঠি উঁচিয়ে ওই তিনটি বাজার ও দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয় ধমক দিয়ে । সতর্ক করা হয় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই ।
এদিকে, পুলিশের এই তৎপরতা এবং রাস্তায় নেমে সরকারি নিয়ম কার্যকর করা প্রশংসার যোগ্য বলেই মনে করছেন অনেকে । নিয়মভঙ্গ হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বারাসত থানার পুলিশ ।