ETV Bharat / state

মিনাখাঁয় অস্ত্র কারখানার পরদা ফাঁস, গ্রেপ্তার “ইঞ্জিনিয়র"সহ কিংপিন

উত্তর 24 পরগনার মিনাখাঁয় একটি অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে।

author img

By

Published : Sep 11, 2019, 9:57 PM IST

Updated : Sep 11, 2019, 10:35 PM IST

মিনাখাঁ

কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর : এক অস্ত্র কারবারিকে পাকড়াও করেছিল এন্টালি থানা। তার সূত্র ধরেই অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা । ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও মেশিনপত্র ।

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, এন্টালি থানা অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পরে জানা যায় সে অস্ত্র ব্যবসায়ী । কিন্তু কোথা থেকে অস্ত্র পেত সে ? শুরু হয় তল্লাশি অভিযান । তদন্তভার যায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা । তাদের নিরবিচ্ছিন্ন তল্লাশিতে আজ বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয় এই অস্ত্র চক্রের কিংপিন সফিকুল গাজি ওরফে মির্জাকে। 32 বছরের মির্জার বাড়ি উত্তর 24 পরগনার হাবরার রঘুনাথপুরে । মির্জাকে আজ তারাতলা মিন্টের সামনে থেকে পাকড়াও করে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় কিছু আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর কাঁচামাল। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, আস্ত একটি অস্ত্র কারখানা চালায় সে । সেই অস্ত্র কারখানা মিনাখাঁর চৈতালের একটি ভেড়ি এলাকায়। এবার বসিরহাট পুলিশের সাহায্য নেন গোয়েন্দারা। বিকালেই হানা দেওয়া হয় । সেখানে তখন অস্ত্র বানাচ্ছে 2 মুঙ্গেরি “ইঞ্জিনিয়র"। তাদের নাম সামসের আলম, মহম্মদ ফিরোজ। গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। উদ্ধার হয় দুটি ফিনিশড ওয়ান শর্টার পিস্তল, সাতটি সেমি ফিনিশড পিস্তল এবং আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর প্রচুর মেশিনপত্র।

এই “ইঞ্জিনিয়র" কারা?

আসলে একটা সময় বিহারের মুঙ্গের ছিল অস্ত্র কারবারের মুক্তাঞ্চল। মুঙ্গেরে তৈরি দেশি “ঘোড়া" ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্র। সাধারণ লেদে বসে অসাধারণ এক বেআইনি কারবার। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এইসব অস্ত্রের দাম অনেকটাই কম। যারা নিখুঁত দক্ষতায় এই অস্ত্র বানিয়ে ফেলে, তাদের বলা হয় ইঞ্জিনিয়র। অস্ত্র কারবারিদের কোড নেম। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে দেশে ঢোকা চাইনিজ় নাইন এমএম পিস্তলের দাম পড়ে যায় 60 থেকে 70 হাজার টাকা। সেখানে মুঙ্গেরি ইঞ্জিনিয়রদের তৈরি নাইন এমএম পিস্তল পাওয়া যায় 10 থেকে 15 হাজারে। স্বাভাবিকভাবেই পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা "ডন“দের কাছে কদর মুঙ্গেরের ওই ইঞ্জিনিয়রদের ।

সম্প্রতি বিহার প্রশাসন কড়া মনোভাব নেওয়ায় ওই সব ইঞ্জিনিয়ররা ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে এমনই তথ্য । সেটা কাঁকিনাড়ার অস্ত্র কারখানা আবিষ্কারের পরেই । গত বছর ৩০ জুলাই সুকু সেখ নামে মালদার কালিয়াচকের এক জাল নোটের কারবারিকে STF পাকড়াও করে। তার সঙ্গেই ধরা পড়ে আমজাদ রায়ান এবং আবদুল্লা নামে মুঙ্গেরের দুই বাসিন্দা । ধৃতদের কাছ থেকে এক লাখ টাকার জাল নোটের সঙ্গে উদ্ধার হয় ৪০টি পিস্তল। তাদের জেরা করেই জানা যায়, কাঁকিনাড়ায় লাড্ডু কারখানার আড়ালে অস্ত্র কারখানার কথা । সেখানে রেইড করে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পরে আগরপাড়ার উশুমপুর এবং রাজারহাটে একই কায়দায় অস্ত্র উদ্ধার হয় । পাওয়া যায় জাল নোট এবং অস্ত্র কারখানার হদিশ ।

কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর : এক অস্ত্র কারবারিকে পাকড়াও করেছিল এন্টালি থানা। তার সূত্র ধরেই অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা । ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও মেশিনপত্র ।

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, এন্টালি থানা অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পরে জানা যায় সে অস্ত্র ব্যবসায়ী । কিন্তু কোথা থেকে অস্ত্র পেত সে ? শুরু হয় তল্লাশি অভিযান । তদন্তভার যায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা । তাদের নিরবিচ্ছিন্ন তল্লাশিতে আজ বিকেলে গ্রেপ্তার করা হয় এই অস্ত্র চক্রের কিংপিন সফিকুল গাজি ওরফে মির্জাকে। 32 বছরের মির্জার বাড়ি উত্তর 24 পরগনার হাবরার রঘুনাথপুরে । মির্জাকে আজ তারাতলা মিন্টের সামনে থেকে পাকড়াও করে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় কিছু আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর কাঁচামাল। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, আস্ত একটি অস্ত্র কারখানা চালায় সে । সেই অস্ত্র কারখানা মিনাখাঁর চৈতালের একটি ভেড়ি এলাকায়। এবার বসিরহাট পুলিশের সাহায্য নেন গোয়েন্দারা। বিকালেই হানা দেওয়া হয় । সেখানে তখন অস্ত্র বানাচ্ছে 2 মুঙ্গেরি “ইঞ্জিনিয়র"। তাদের নাম সামসের আলম, মহম্মদ ফিরোজ। গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। উদ্ধার হয় দুটি ফিনিশড ওয়ান শর্টার পিস্তল, সাতটি সেমি ফিনিশড পিস্তল এবং আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর প্রচুর মেশিনপত্র।

এই “ইঞ্জিনিয়র" কারা?

আসলে একটা সময় বিহারের মুঙ্গের ছিল অস্ত্র কারবারের মুক্তাঞ্চল। মুঙ্গেরে তৈরি দেশি “ঘোড়া" ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্র। সাধারণ লেদে বসে অসাধারণ এক বেআইনি কারবার। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এইসব অস্ত্রের দাম অনেকটাই কম। যারা নিখুঁত দক্ষতায় এই অস্ত্র বানিয়ে ফেলে, তাদের বলা হয় ইঞ্জিনিয়র। অস্ত্র কারবারিদের কোড নেম। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে দেশে ঢোকা চাইনিজ় নাইন এমএম পিস্তলের দাম পড়ে যায় 60 থেকে 70 হাজার টাকা। সেখানে মুঙ্গেরি ইঞ্জিনিয়রদের তৈরি নাইন এমএম পিস্তল পাওয়া যায় 10 থেকে 15 হাজারে। স্বাভাবিকভাবেই পাড়ায় পাড়ায় গজিয়ে ওঠা "ডন“দের কাছে কদর মুঙ্গেরের ওই ইঞ্জিনিয়রদের ।

সম্প্রতি বিহার প্রশাসন কড়া মনোভাব নেওয়ায় ওই সব ইঞ্জিনিয়ররা ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে এমনই তথ্য । সেটা কাঁকিনাড়ার অস্ত্র কারখানা আবিষ্কারের পরেই । গত বছর ৩০ জুলাই সুকু সেখ নামে মালদার কালিয়াচকের এক জাল নোটের কারবারিকে STF পাকড়াও করে। তার সঙ্গেই ধরা পড়ে আমজাদ রায়ান এবং আবদুল্লা নামে মুঙ্গেরের দুই বাসিন্দা । ধৃতদের কাছ থেকে এক লাখ টাকার জাল নোটের সঙ্গে উদ্ধার হয় ৪০টি পিস্তল। তাদের জেরা করেই জানা যায়, কাঁকিনাড়ায় লাড্ডু কারখানার আড়ালে অস্ত্র কারখানার কথা । সেখানে রেইড করে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পরে আগরপাড়ার উশুমপুর এবং রাজারহাটে একই কায়দায় অস্ত্র উদ্ধার হয় । পাওয়া যায় জাল নোট এবং অস্ত্র কারখানার হদিশ ।

Intro:কলকাতা, 11 সেপ্টেম্বর: এক অস্ত্র কারবারিকে পাকড়াও করেছিল এন্টালি থানা। তার সূত্র ধরেই আস্ত এক অস্ত্র কারখানার হদিস পেল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। তাদের নাম সফিকুল গাজি, সামসের আলম, মহম্মদ ফিরোজ। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র ও মেশিনপত্র।Body:বিস্তারিত আসছেConclusion:
Last Updated : Sep 11, 2019, 10:35 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.