সন্দেশখালি, 10 জুন : সন্দেশখালিতে BJP-তৃণমূল সংঘর্ষে মৃত সুকান্ত মণ্ডল ও প্রদীপ মণ্ডলের দেহ নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল BJP রাজ্য নেতৃত্ব । কিন্তু দেহ কলকাতায় আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পুলিশ । পরে পুলিশের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় আসে BJP । দেহ নিয়ে সন্দেশখালি ফিরে যায় । গভীর রাতে সন্দেশখালিতেই সৎকার করা হয় দু'জনের মৃতদেহ ।
কলকাতা যাওয়ার পথে প্রথমে মালঞ্চ ব্রিজ ও মালঞ্চ বাজারে রাস্তা আটকায় পুলিশ । সেই বাধা পেরিয়ে দেহ নিয়ে BJP-র রাজ্য নেতারা ফের এগোতে থাকে কলকাতার দিকে । বাসন্তী হাইওয়ের মিনাখা থানার কাছে এলে আবার তাদের আটকানো হয় । এবার রীতিমতো ফোর্স নিয়ে রাস্তা আটকায় পুলিশ । রাস্তায় প্রিজ়ন ভ্যান আড়াআড়িভাবে রেখে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে শবরীরাজ কুমারের নেতৃত্বে পুলিশ BJP-কে আটকানোর চেষ্টা করে ।
বারবার এইভাবে রাস্তা আটকানোর কারণ কী ? রাহুল সিনহা বলেন, "কোনও কারণ নেই । রাজনৈতিকভাবে পুলিশ চালিত হচ্ছে এটাই সবথেকে বড় প্রমাণ । রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় গেলে আপনারা মিছিল করবেন । আমি কথা দিচ্ছি কলকাতায় কোনও মিছিল হবে না পুলিশকে আমি বারবার বললাম । ওখানে পার্টি অফিসে মালা পরিয়ে নিমতলাঘাট মহাশ্মশানে সৎকার হবে । কিন্তু তাঁরা মৌন রয়েছেন । অবাক কাণ্ড । একটা মানুষকে বাঁচাতে পারে না । যখন খুনি খুন করে, তখন রক্ষা করে না । খুনিকে আটকাতে পারে না । মৃতদেহকে আটকাচ্ছে । এর থেকে আর ন্যক্কারজনক ভূমিকা আর কী আছে ? এটা প্রচণ্ডভাবে অপমানকর । কলকাতায় গেলে আরও মানুষের চোখের সামনে চলে আসবে । এটাই ভয়ের বিষয় । পুলিশ কিছু বলছে না । পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে । "
উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, BJP-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুসহ অনেক BJP-র কর্মী সমর্থকরা । পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহারা । ক্ষুব্ধ BJP কর্মীরা রাস্তাতেই চিতা সাজিয়ে দেহ সৎকারের হুঁশিয়ারিও দেন । জয়শ্রীরাম স্লোগানও দিতে থাকেন তাঁরা । প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সমঝোতা করে দেহ নিয়ে সুকান্ত ও প্রদীপের বাড়ি ভাঙিপাড়ার দিকে ফিরে যান BJP নেতারা । পরে গভীর রাতে সন্দেশখালিতেই সুকান্ত ও প্রদীপের দেহ সৎকার করা হয় ।