ETV Bharat / state

জন্মদিনে তারই মতো ক্ষুদেদের মুখে খাবার তুলে দিল বারাসতের অরিঞ্জিতা - জন্মদিনে ক্ষুদেদের মুখে খাবার দিল অরিঞ্জিতা

নিজের জন্মদিনে 100 জন দুস্থ শিশুর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করল 11 বছরের অরিঞ্জিতা দে।

Arinjita distribute food to children's
অরিঞ্জিতা
author img

By

Published : Apr 14, 2020, 10:38 PM IST

বারাসত, 14 এপ্রিল: অন্য জন্মদিন পালন করল অরিঞ্জিতা। প্রতিবার পরিবারের সঙ্গে আনন্দ হুল্লোড় করে কাটে দিনটা। কিন্তু, এবার লকডাউনে দুস্থ শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিল বারাসতের 11 বছরের ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন অরিঞ্জিতা দে। আর সে তা করল একটি রিয়েলিটি শোতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পাওয়া আর্থিক পুরস্কারের টাকা খরচ করে। অরিঞ্জিতার পরিবার আলাদা করে অর্থ দিতে চাইলেও সে তা নিতে রাজি হয়নি। বরং জানিয়ে দেয়, নিজের জেতা পুরস্কারের অর্থ দিয়েই সে প্রায় তারই বয়সি গরিব শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেবে। শেষ পর্যন্ত তাঁর জেদের কাছে হার মানে পরিবার। ফলে, বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন বছরের প্রথম দিনে শ্রমিক পরিবারের 100 জন দুস্থ শিশুর হাতে খাবার তুলে দিয়ে জন্মদিন পালন করল অরিঞ্জিতা।

বারাসত পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লিতে বাড়ি অরিঞ্জিতার। বাবা অরিন্দম দে একটি ওষুধের কোম্পানিতে সেলসম্যানের কাজ করেন। মা নিবেদিতা দে গৃহবধূ। পরিবারের একমাত্র সন্তান অরিঞ্জিতা। দেশে বিদেশে পুরস্কার জেতা খুদে ক্যারাটে খেলোয়াড় সে। ক্যারাটেতে ভালো হওয়ার সুবাদেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সঞ্চালিত রিয়েলিটি শো-তে অংশগ্রহণ করে।গত জানুয়ারি মাসে সেই শোতে চাম্পিয়ান হয়ে আর্থিক পুরস্কার পায় অরিঞ্জিতা। এরমধ্যে কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়। বিপদে পড়েন গোটা দেশের শ্রমিকরা। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাবার জুটছে না শ্রমিক পরিবারগুলির সদস্যদের। TV-তে এই খবর দেখে ছোট্ট অরিঞ্জিতা। এবং নিজের জন্মদিনের সকালে বাবা-মাকে প্রস্তাব দেয়, গরিব মানুষকে খাবার বিতরণ 11তম জন্মদিন পালন করবে। সম্মত হয় পরিবারও। এরপরই রিয়েলিটি শো থেকে পাওয়া পুরস্কার-অর্থ খরচ করেই খাবারের প্যাকেট তৈরি করা হয়। পরিবারের তরফে সেই খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় নীলগঞ্জের কাছের ইটভাটার শ্রমিক পরিবারের 100 জন শিশুর হাতে।

এই বিষয়ে অরিঞ্জিতা বলে, "লকডাউনে আমার বয়সি ও আমার থেকে ছোটোরা না খেয়ে থাকবে, এটা মানাতে পারছিলাম না। তাই, ওদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে জন্মদিন পালন করলাম। এই জন্মদিন অন্যবারের থেকে আলাদা। আনন্দ হচ্ছে।"

অরিঞ্জিতার বাবা-মা জানান, "আমাদের মাথাতেও এমন ভাবনা আসেনি। ওর কাজে গর্বে বুক ভরে উঠেছে।"

বারাসত, 14 এপ্রিল: অন্য জন্মদিন পালন করল অরিঞ্জিতা। প্রতিবার পরিবারের সঙ্গে আনন্দ হুল্লোড় করে কাটে দিনটা। কিন্তু, এবার লকডাউনে দুস্থ শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিল বারাসতের 11 বছরের ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন অরিঞ্জিতা দে। আর সে তা করল একটি রিয়েলিটি শোতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পাওয়া আর্থিক পুরস্কারের টাকা খরচ করে। অরিঞ্জিতার পরিবার আলাদা করে অর্থ দিতে চাইলেও সে তা নিতে রাজি হয়নি। বরং জানিয়ে দেয়, নিজের জেতা পুরস্কারের অর্থ দিয়েই সে প্রায় তারই বয়সি গরিব শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেবে। শেষ পর্যন্ত তাঁর জেদের কাছে হার মানে পরিবার। ফলে, বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন বছরের প্রথম দিনে শ্রমিক পরিবারের 100 জন দুস্থ শিশুর হাতে খাবার তুলে দিয়ে জন্মদিন পালন করল অরিঞ্জিতা।

বারাসত পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লিতে বাড়ি অরিঞ্জিতার। বাবা অরিন্দম দে একটি ওষুধের কোম্পানিতে সেলসম্যানের কাজ করেন। মা নিবেদিতা দে গৃহবধূ। পরিবারের একমাত্র সন্তান অরিঞ্জিতা। দেশে বিদেশে পুরস্কার জেতা খুদে ক্যারাটে খেলোয়াড় সে। ক্যারাটেতে ভালো হওয়ার সুবাদেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সঞ্চালিত রিয়েলিটি শো-তে অংশগ্রহণ করে।গত জানুয়ারি মাসে সেই শোতে চাম্পিয়ান হয়ে আর্থিক পুরস্কার পায় অরিঞ্জিতা। এরমধ্যে কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়। বিপদে পড়েন গোটা দেশের শ্রমিকরা। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খাবার জুটছে না শ্রমিক পরিবারগুলির সদস্যদের। TV-তে এই খবর দেখে ছোট্ট অরিঞ্জিতা। এবং নিজের জন্মদিনের সকালে বাবা-মাকে প্রস্তাব দেয়, গরিব মানুষকে খাবার বিতরণ 11তম জন্মদিন পালন করবে। সম্মত হয় পরিবারও। এরপরই রিয়েলিটি শো থেকে পাওয়া পুরস্কার-অর্থ খরচ করেই খাবারের প্যাকেট তৈরি করা হয়। পরিবারের তরফে সেই খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় নীলগঞ্জের কাছের ইটভাটার শ্রমিক পরিবারের 100 জন শিশুর হাতে।

এই বিষয়ে অরিঞ্জিতা বলে, "লকডাউনে আমার বয়সি ও আমার থেকে ছোটোরা না খেয়ে থাকবে, এটা মানাতে পারছিলাম না। তাই, ওদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে জন্মদিন পালন করলাম। এই জন্মদিন অন্যবারের থেকে আলাদা। আনন্দ হচ্ছে।"

অরিঞ্জিতার বাবা-মা জানান, "আমাদের মাথাতেও এমন ভাবনা আসেনি। ওর কাজে গর্বে বুক ভরে উঠেছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.