বারাসত, 28 অগাস্ট: প্রায় সাত দিন ধরে নিখোঁজ মা ৷ কিন্তু সন্ধানে সাহায্য করছে না প্রশাসন ৷ এমনই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পরিবারের ৷ সিভিক ভল্যান্টিয়ার সুমিত বিশ্বাসের মা যমুনা বিশ্বাস (46)৷ তাঁকে খুঁজে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের । ইতিমধ্যেই বারাসত থানায় ডায়েরি করেছে পরিবার । পরিবারের অভিযোগ, প্রশাসন তাঁদের শুধুই আশ্বাস দিচ্ছে ৷ কাজের কাজ কিছু হয়নি ৷
বারাসত পৌরসভার 33 নম্বর ওয়ার্ডের নিবেদিতা পল্লীতে বাড়ি যমুনা দেবীর। বাড়িতে স্বামী ছাড়াও দুই ছেলে,বউমা রয়েছেন । যমুনা দেবীর ছোট ছেলে সুমিত সিভিক ভল্যান্টিয়ারের কাজ করেন । বারাসত ডাকবাংলো মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি । গত 19 অগাস্ট যমুনা দেবী বসিরহাটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাবেন বলে বেরিয়ে যান । আত্মীয়ের বাড়িতে ঠিকমতো পৌঁছেছেন কি না,তা জানতে রাতে সেখানে ফোন করে সুমিত । তাঁরা জানান, যমুনা দেবী সেখানে আসেননি ৷
শুরু হয় খোঁজখবর । কিন্তু, কোথাও ওই যমুন দেবীর হদিশ মেলেনি ৷ এরপর, 20 আগস্ট বারাসত থানায় ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে । তারপর থেকে প্রতিদিন থানায় গিয়ে মায়ের খোঁজ করে চলেছেন সুমিত ৷ শুধু আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি তদন্তকারী অফিসারের কাছ থেকে।
সুমিত বলেন,"সাতদিন হয়ে গেল মায়ের কোনও খোঁজ পাইনি । আমরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে গেছি ৷ রোজই বারাসত থানায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছি । কিন্তু, অফিসাররা শুধু দেখছি, চেষ্টা করছির বাইরে কিছু বলতে পারছেন না ৷ মা কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন, সেটাই আমরা বুঝতে পারছিনা । প্রশাসনের কাছে আমাদের আর্জি, দ্রুত মায়ের খোঁজ করুক তারা ৷ আমরা যে কী অবস্থায় আছি,তা একমাত্র ভগবানই জানেন ৷"
বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্ব চাঁদ ঠাকুর বলেন, " সুমিতের মায়ের খোঁজ পেতে আমরা সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছি । এখানে কোনও রকম ঢিলেমি দেওয়ার ব্যাপার নেই । আশা করছি, তাড়াতাড়িই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাবে ৷ "