ETV Bharat / state

7 দিন ধরে নিখোঁজ মা, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পরিবারের

7 দিন ধরে নিখোঁজ সিভিক ভল্যান্টিয়ার সুমিত বিশ্বাসের মা যমুনা বিশ্বাস (46)৷ দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের । বারাসত থানায় নিখোঁজের ডায়রিও করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ ।

যমুনা বিশ্বাস
author img

By

Published : Aug 28, 2019, 5:30 AM IST

Updated : Aug 28, 2019, 9:37 AM IST

বারাসত, 28 অগাস্ট: প্রায় সাত দিন ধরে নিখোঁজ মা ৷ কিন্তু সন্ধানে সাহায্য করছে না প্রশাসন ৷ এমনই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পরিবারের ৷ সিভিক ভল্যান্টিয়ার সুমিত বিশ্বাসের মা যমুনা বিশ্বাস (46)৷ তাঁকে খুঁজে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের । ইতিমধ্যেই বারাসত থানায় ডায়েরি করেছে পরিবার । পরিবারের অভিযোগ, প্রশাসন তাঁদের শুধুই আশ্বাস দিচ্ছে ৷ কাজের কাজ কিছু হয়নি ৷

বারাসত পৌরসভার 33 নম্বর ওয়ার্ডের নিবেদিতা পল্লীতে বাড়ি যমুনা দেবীর। বাড়িতে স্বামী ছাড়াও দুই ছেলে,ব‌উমা রয়েছেন । যমুনা দেবীর ছোট ছেলে সুমিত সিভিক ভল্যান্টিয়ারের কাজ করেন । বারাসত ডাকবাংলো মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি । গত 19 অগাস্ট যমুনা দেবী বসিরহাটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাবেন বলে বেরিয়ে যান । আত্মীয়ের বাড়িতে ঠিকমতো পৌঁছেছেন কি না,তা জানতে রাতে সেখানে ফোন করে সুমিত । তাঁরা জানান, যমুনা দেবী সেখানে আসেননি ৷

শুরু হয় খোঁজখবর । কিন্তু, কোথাও ওই যমুন দেবীর হদিশ মেলেনি ৷ এরপর, 20 আগস্ট বারাসত থানায় ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে । তারপর থেকে প্রতিদিন থানায় গিয়ে মায়ের খোঁজ করে চলেছেন সুমিত ৷ শুধু আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি তদন্তকারী অফিসারের কাছ থেকে।

সুমিত বলেন,"সাতদিন হয়ে গেল মায়ের কোন‌ও খোঁজ পাইনি । আমরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে গেছি ৷ রোজই বারাসত থানায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছি । কিন্তু, অফিসাররা শুধু দেখছি, চেষ্টা করছির বাইরে কিছু বলতে পারছেন না ৷ মা কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন, সেটাই আমরা বুঝতে পারছিনা । প্রশাসনের কাছে আমাদের আর্জি, দ্রুত মায়ের খোঁজ করুক তারা ৷ আমরা যে কী অবস্থায় আছি,তা একমাত্র ভগবান‌ই জানেন ৷"

বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্ব চাঁদ ঠাকুর বলেন, " সুমিতের মায়ের খোঁজ পেতে আমরা সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছি । এখানে কোন‌ও রকম ঢিলেমি দেওয়ার ব‍্যাপার নেই । আশা করছি, তাড়াতাড়িই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাবে ৷ "

বারাসত, 28 অগাস্ট: প্রায় সাত দিন ধরে নিখোঁজ মা ৷ কিন্তু সন্ধানে সাহায্য করছে না প্রশাসন ৷ এমনই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পরিবারের ৷ সিভিক ভল্যান্টিয়ার সুমিত বিশ্বাসের মা যমুনা বিশ্বাস (46)৷ তাঁকে খুঁজে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের । ইতিমধ্যেই বারাসত থানায় ডায়েরি করেছে পরিবার । পরিবারের অভিযোগ, প্রশাসন তাঁদের শুধুই আশ্বাস দিচ্ছে ৷ কাজের কাজ কিছু হয়নি ৷

বারাসত পৌরসভার 33 নম্বর ওয়ার্ডের নিবেদিতা পল্লীতে বাড়ি যমুনা দেবীর। বাড়িতে স্বামী ছাড়াও দুই ছেলে,ব‌উমা রয়েছেন । যমুনা দেবীর ছোট ছেলে সুমিত সিভিক ভল্যান্টিয়ারের কাজ করেন । বারাসত ডাকবাংলো মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি । গত 19 অগাস্ট যমুনা দেবী বসিরহাটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাবেন বলে বেরিয়ে যান । আত্মীয়ের বাড়িতে ঠিকমতো পৌঁছেছেন কি না,তা জানতে রাতে সেখানে ফোন করে সুমিত । তাঁরা জানান, যমুনা দেবী সেখানে আসেননি ৷

শুরু হয় খোঁজখবর । কিন্তু, কোথাও ওই যমুন দেবীর হদিশ মেলেনি ৷ এরপর, 20 আগস্ট বারাসত থানায় ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে । তারপর থেকে প্রতিদিন থানায় গিয়ে মায়ের খোঁজ করে চলেছেন সুমিত ৷ শুধু আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি তদন্তকারী অফিসারের কাছ থেকে।

সুমিত বলেন,"সাতদিন হয়ে গেল মায়ের কোন‌ও খোঁজ পাইনি । আমরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে গেছি ৷ রোজই বারাসত থানায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছি । কিন্তু, অফিসাররা শুধু দেখছি, চেষ্টা করছির বাইরে কিছু বলতে পারছেন না ৷ মা কীভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন, সেটাই আমরা বুঝতে পারছিনা । প্রশাসনের কাছে আমাদের আর্জি, দ্রুত মায়ের খোঁজ করুক তারা ৷ আমরা যে কী অবস্থায় আছি,তা একমাত্র ভগবান‌ই জানেন ৷"

বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্ব চাঁদ ঠাকুর বলেন, " সুমিতের মায়ের খোঁজ পেতে আমরা সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছি । এখানে কোন‌ও রকম ঢিলেমি দেওয়ার ব‍্যাপার নেই । আশা করছি, তাড়াতাড়িই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাবে ৷ "

Intro:বারাসতে সাতদিন ধরে নিখোঁজ এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মা। যমুনা বিশ্বাস (৪৬) নামে ওই মহিলার এখনও কোন‌ও খোঁজ না মেলায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের। ঘটনার পর‌ই বারাসত থানায় নিখোঁজ ডায়রিও করে তাঁর পরিবার। কিন্তু, সেখান থেকে শুধুই মিলেছে আশ্বাস। কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-বারাসতে প্রায় সাতদিন ধরে নিখোঁজ এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মা!যমুনা বিশ্বাস (৪৬) নামে ওই মহিলার এখনও কোনও খোঁজ না মেলায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের। ঘটনার পর‌ই বারাসত থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে তাঁর পরিবার। কিন্তু, সেখান থেকে শুধুই মিলেছে আশ্বাস! কাজের কাজ কিছু হয়নি!পরিবার সূত্রে জানা গেছে,বারাসত পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিবেদিতা পল্লীতে বাড়ি যমুনা দেবীর। বাড়িতে স্বামী ছাড়াও দুই ছেলে,ব‌উমা রয়েছে। যমুনা দেবীর ছোট ছেলে সুমিত সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ করে।বারাসত ডাকবাংলো মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।গত ১৯ আগস্ট সুমিতের মা যমুনা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বসিরহাটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাবেন বলে।আত্মীয়ের বাড়িতে ঠিকমতো পৌঁছেছেন কিনা,তা জানার জন্য ওইদিন রাতে সেখানে ফোন করেন সুমিত। তাঁরা জানায়, যমুনা দেবী সেখানে আসেননি! শুরু হয় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর। কিন্তু, কোথাও ওই মহিলার হদিশ মেলেনি!এরপর,২০ আগস্ট বারাসত থানায় নিখোঁজ ডায়রি করা হয় পরিবারের তরফে। তারপর থেকে প্রায় প্রতিদিন থানায় গিয়ে ওই মহিলার খোঁজে হন‍্যে হয়ে পড়ে আছে পরিবার!তবে, শুধু আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি তদন্তকারী অফিসারের কাছ থেকে।সুমিত বলেন,"সাতদিন হয়ে গেল মায়ের কোন‌ও খোঁজ এখনও অবধি পায়নি। আমরা যথেষ্ট চিন্তার মধ্যে রয়েছি। নাওয়া খাওয়া ভুলে প্রায়ই বারাসত থানায় গিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি। কিন্তু, আশ্বাস ছাড়া কিছুই পায়নি"।সে আরও বলে,"আত্মীয়ের বাড়িতে যাবে বলে বেড়িয়ে কিভাবে মা নিখোঁজ হয়ে গেল,সেটাই আমরা বুঝতে পারছিনা। পুলিশের কাছে আমাদের আর্জি, দ্রুত মায়ের খোঁজ করুক তাঁরা! আমরা যে কি অবস্থায় আছি,তা একমাত্র ভগবান‌ই জানে"। এবিষয়ে বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্ব চাঁদ ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের মায়ের খোঁজ পেতে আমরা সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছি। এখানে কোন‌ও রকম ঢেলেমি দেওয়ার ব‍্যাপার নেই।আশা করছি, তাড়াতাড়িই তাঁর খোঁজ পাওয়া যাবে"।Conclusion:আত্মীয়ের বাড়িতে যাবেন বলে বেড়িয়ে ওই মহিলা কিভাবে নিখোঁজ হয়ে গেলেন সেটাই ভেবে পারছেন না পরিবারের লোকেরা। তাহলে কি কেউ তাকে অপহরন করেছে?নাকি তাঁর নিখোঁজের পিছনে কোন‌ও রহস্য রয়েছে? পরিবার এনিয়ে নিশ্চিত হতে না পারলেও সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Last Updated : Aug 28, 2019, 9:37 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.