ETV Bharat / state

লকডাউনে অনাহারে বসিরহাটের বহু পরিবার - রুটিরুজি বন্ধ

ত্রাণ না-পেয়ে অনাহারে দিন কাটছে বসিরহাটের বহু মানুষের ।বসিরহাট ইছামতী সেতুর নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলো সবই দৈনন্দিন জীবিকার উপর নির্ভরশীল। লকডাউনে কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। কোনও বাড়িতেই মজুত করা খাবার নেই।

Basirhat
অনাহারে বসিরহাটের বহু পরিবার
author img

By

Published : Apr 7, 2020, 9:46 PM IST



বসিরহাট,7 এপ্রিল : দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। রুটিরুজি হারিয়েছেন বহু মানুষ। সরকারিভাবে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হলেও তা যে যথেষ্ট নয়, তা বসিরহাটের ছবিতেই পরিষ্কার। ইছামতী সেতুর নীচে বহু পরিবার কার্যত অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। অনেকেরই রুটিরুজি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বসিরহাট ইছামতী সেতুর নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলো সবই দৈনন্দিন জীবিকার উপর নির্ভরশীল। লকডাউনে কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। কোনও বাড়িতেই মজুত করা খাবার নেই। কেবল সরকারি রেশনই ভরসা। কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। গরিব মানুষের হাতে রোজকার কিছু রসদ তাঁরা তুলে দিচ্ছে। কিন্তু বসিরহাটের ইছামতী সেতুর নীচে 66টি পরিবারের 135 জন‍ মানুষের ক্ষেত্রে উলটপুরাণ দেখা গেল। এই পরিবারগুলো এলাকার রেশন দোকানে গেলে রেশন পাচ্ছেন বটে। তবে জনপ্রতি মাত্র দু'কেজি চাল ও দু'কেজি আটা। তা দিয়ে সারা মাস চালাতে হবে। বাস্তবে যা অসম্ভব।

অভুক্ত পরিবারগুলোর দাবি, তাঁদের জন্য সরকার কোনও ব্যবস্থা করুক। স্থানীয় বাসিন্দা মাধবী দাস বলেন, 'আমরা বেশিরভাগ পরের বাড়িতে কাজ করি। কোরোনার জন্য আমাদের এখন আর কাজে নেয় না। রেশনে মাত্র দু'কেজি চাল ও দু'কেজি আটা দিয়েছে। আবার একমাস পরে দেবে। আপনারা বলুন, তাতে কি চলে কারও? আমরা চাই, সরকার রেশনটা একটু বাড়িয়ে দিক।' মঙ্গল দাস বলেন, 'চারদিকে শুনতে পাচ্ছি সবাই ত্রাণ পাচ্ছেন। কিন্তু আমরা কোনও ত্রাণ পাইনি। রেশনের ওই চাল-আটা ছাড়া। সরকার যদি আমাদের জন্য কিছু একটা করে তা হলে ছেলেপুলে নিয়ে বাঁচতে পারব।'





বসিরহাট,7 এপ্রিল : দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। রুটিরুজি হারিয়েছেন বহু মানুষ। সরকারিভাবে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হলেও তা যে যথেষ্ট নয়, তা বসিরহাটের ছবিতেই পরিষ্কার। ইছামতী সেতুর নীচে বহু পরিবার কার্যত অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। অনেকেরই রুটিরুজি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বসিরহাট ইছামতী সেতুর নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলো সবই দৈনন্দিন জীবিকার উপর নির্ভরশীল। লকডাউনে কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। কোনও বাড়িতেই মজুত করা খাবার নেই। কেবল সরকারি রেশনই ভরসা। কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। গরিব মানুষের হাতে রোজকার কিছু রসদ তাঁরা তুলে দিচ্ছে। কিন্তু বসিরহাটের ইছামতী সেতুর নীচে 66টি পরিবারের 135 জন‍ মানুষের ক্ষেত্রে উলটপুরাণ দেখা গেল। এই পরিবারগুলো এলাকার রেশন দোকানে গেলে রেশন পাচ্ছেন বটে। তবে জনপ্রতি মাত্র দু'কেজি চাল ও দু'কেজি আটা। তা দিয়ে সারা মাস চালাতে হবে। বাস্তবে যা অসম্ভব।

অভুক্ত পরিবারগুলোর দাবি, তাঁদের জন্য সরকার কোনও ব্যবস্থা করুক। স্থানীয় বাসিন্দা মাধবী দাস বলেন, 'আমরা বেশিরভাগ পরের বাড়িতে কাজ করি। কোরোনার জন্য আমাদের এখন আর কাজে নেয় না। রেশনে মাত্র দু'কেজি চাল ও দু'কেজি আটা দিয়েছে। আবার একমাস পরে দেবে। আপনারা বলুন, তাতে কি চলে কারও? আমরা চাই, সরকার রেশনটা একটু বাড়িয়ে দিক।' মঙ্গল দাস বলেন, 'চারদিকে শুনতে পাচ্ছি সবাই ত্রাণ পাচ্ছেন। কিন্তু আমরা কোনও ত্রাণ পাইনি। রেশনের ওই চাল-আটা ছাড়া। সরকার যদি আমাদের জন্য কিছু একটা করে তা হলে ছেলেপুলে নিয়ে বাঁচতে পারব।'



ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.