ETV Bharat / state

Barasat Murder Case: বারাসতে প্রৌঢ়ার রহস্যমৃত্যুতে গ্রেফতার 2 - lonely old woman murder in barasat

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রৌঢ়া খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ বারাসতে বাড়ির মধ্যে থেকে প্রৌঢ়ার রক্তাক্ত দেহ মিলল ৷ স্থানীয় নেশাখোরদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন আত্মীয় থেকে প্রতিবেশীরা ৷ এদিকে কাউন্সিলরের দাবি, এটা খুন নয় ৷ ধস্তাধস্তিতে পড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে প্রৌঢ়ার ৷

ETV Bharat
বারাসতে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন প্রৌঢ়া
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 3, 2023, 1:39 PM IST

Updated : Oct 3, 2023, 2:10 PM IST

বারাসতে একাকী প্রৌঢ়ার রহস্যমৃত্যুতে খুনের তত্ত্ব খারিজ করলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর

বারাসত, 3 অক্টোবর: কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বারাসতে প্রৌঢ়া খুন-কাণ্ডের কিনারা করে ফেলল পুলিশ ৷ এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ ধৃত ওই দু'জনের নাম রাজ চক্রবর্তী ও রথীন পোদ্দার ৷ মঙ্গলবার বারাসতে পুলিশ সুপারের দফতরে সাংবাদিকদের জানান বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ৷

তিনি বলেন, "খুনের পর ওই দুই অভিযুক্ত রাজারহাটের এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে গা ঢাকা দিয়েছিলেন ৷ খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এর আগেও ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ছিল তারা ৷" পুলিশের উচ্চাধিকারিক আরও জানান, মাসখানেক আগে ওই কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসে দুই অভিযুক্ত ৷ এদিকে খুনের পর ফের ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় তারা ৷

পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ধৃত দু'জনের বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে কি না, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে ৷ স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় বছর ষাটের প্রৌঢ়া শর্মিষ্ঠা মুন্সি-কে ৷ খুনে ব‍্যবহৃত সেই অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই প্রৌঢ়ার ঘর থেকে বেশকিছু ইমিটেশন এবং সোনার গয়না খোয়া গিয়েছে ৷ সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে ৷ এদিকে ধৃত দুই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার দুপুরে বারাসত আদালতে পেশ করেছে পুলিশ ৷ তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ ৷

সোমবার রাতে বারাসতের 34 নম্বর জাতীয়সড়ক সংলগ্ন ন'পাড়া এলাকায় ঘরের মধ্যে থেকে প্রৌঢ়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, মৃত প্রৌঢ়ার নাম শর্মিষ্ঠা মুন্সি (55) ৷ রাতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের জানতে পারে, চুরিতে বাধা পেয়ে প্রৌঢ়ার সঙ্গে দুষ্কৃতীদের ধস্তাধস্তি হয় ৷ প্রৌঢ়াকে আটকাতে গিয়েই খুন করা হয়েছে ৷ তবে খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তবে এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, এই ঘটনা খুন নয় ৷ প্রৌঢ়ার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হওয়ায় তিনি মাটিতে পড়ে গিয়েছেন ৷ এর ফলে রক্তক্ষরণ হয় এবং তাঁর মৃত্যু হয় ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামীর মৃত্যুর পর শর্মিষ্ঠা মুন্সি নামে ওই প্রৌঢ়া ন'পাড়ার বাড়িতে একাই থাকতেন ৷ মাঝেমধ্যে ফোনে তাঁর খবর নিতেন তাঁর মেয়ে ও আত্মীয়রা ৷ সোমবার রাতেও ওই প্রৌঢ়ার খবর জানতে মোবাইলে ফোন করেছিলেন তাঁর মেয়ে ৷ এদিকে ফোন বেজে গেলেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি ৷

আরও পড়ুন: খুনের পাঁচদিনের মাথায় কিনারা, গ্রেফতার দত্তপুকুর প্রৌঢ়া খুনের মাস্টারমাইন্ড

তখনই সন্দেহ হয় প্রৌঢ়ার মেয়ের ৷ তিনি প্রৌঢ়ার প্রতিবেশী এক আত্মীয়কে খোঁজ নিতে বলেন ৷ সেইমতো রাতে আত্মীয় প্রৌঢ়ার বাড়িতে গিয়ে দেখেন, ঘরের বারান্দায় খবরের কাগজ পড়ে রয়েছে ৷ পিছনের দরজার তালা ভাঙা ৷ ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে কোনও শব্দ মেলেনি ৷

এই ঘটনা প্রসঙ্গে নিহতের আত্মীয় কৌস্তভ চক্রবর্তী বলেন, "শর্মিষ্ঠা মুন্সি সম্পর্কে আমার জেঠতুতো দিদি । মাস পাঁচেক আগে ক‍্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জামাইবাবুর মৃত্যু হয়েছে ৷ তারপর থেকে দিদি বাড়িতে একাই থাকতেন ৷" এই খুনের ঘটনায় এলাকার নেশাখোরদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আত্মীয় ৷ তাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ৷ তিনি আরও জানান, কয়েকদিন আগে এলাকা থেকে একটি সাইকেল চুরি হয় ৷ তাই কৌস্তভের দাবি, এটা নেশাখোরদের কাজ হতে পারে ৷

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রৌঢ়ার দেহ পড়ে ছিল ৷ ঘরের বিছানা থেকে আলমারি- সবকিছু লন্ডভন্ড অবস্থায় ছিল ৷ এসব দেখে লুঠপাটের তত্ত্ব সামনে আসে ৷ অন‍্যদিকে, পুলিশি তৎপরতায় নেশাখোরদের দাপট অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তন্নিষ্ঠা খাসনবিশ ৷ তিনি এই ঘটনাকে খুন বলতে রাজি নন ৷ তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, "এটা খুন নয় ৷ ধস্তাধস্তিতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু ৷ তাতেই রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে ৷ পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ৷ শুনেছি এই ঘটনার সঙ্গে প্রৌঢ়ার পরিচিত দু'জন যুক্ত ৷ তাদের ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ ৷ কাউন্সিলর হিসেবে এটুকু বলতে পারি, আমরা সবসময় এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি ৷ যে কোনও সমস্যায় তাঁদের পাশেও দাঁড়াই ৷"

এদিকে, নেশোখোরদের দাপটের কথা শোনা গেল বাসিন্দা চিন্ময় দে'র গলায় ৷ তাঁর কথায়, "নেশাখোররা পুলিশ প্রশাসনেরা তোয়াক্কা করে না ৷ এদের দাপটে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেও ভয় লাগে আমাদের ৷ যেহেতু ওই প্রৌঢ়া একা থাকতেন, তারই সুযোগ নিয়েছে নেশাখোররা ৷ তা না হলে এভাবে বাড়িতে ঢুকে কেউ কাউকে খুন করতে পারে ? এলাকা থেকে নেশাখোরদের দাপট কমাতে প্রশাসন আরও উদ্যোগী হোক ৷"

কিছুদিন আগেই দত্তপুকুরে খুন হন বেবীরানী সর্দার (55) ৷ তিনি চিকিৎসার কারণে পঞ্চায়েত সদস্য মেয়ের বাড়িতে এসে থাকছিলেন ৷ সেই খুনের নেপথ্যেও পুলিশের হাতে চুরির তত্ত্ব উঠে এসেছিল ৷ খুনের মাস্টারমাইন্ড পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিবেশী এক ইলেকট্রিশিয়ানকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল ৷ তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের এক প্রৌঢ়ার খুনের ঘটনা ঘটল ৷

আরও পড়ুন: প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে খুন তাঁরই মা! মৃত্যু ঘিরে রহস্য দত্তপুকুরে

বারাসতে একাকী প্রৌঢ়ার রহস্যমৃত্যুতে খুনের তত্ত্ব খারিজ করলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর

বারাসত, 3 অক্টোবর: কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বারাসতে প্রৌঢ়া খুন-কাণ্ডের কিনারা করে ফেলল পুলিশ ৷ এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ ধৃত ওই দু'জনের নাম রাজ চক্রবর্তী ও রথীন পোদ্দার ৷ মঙ্গলবার বারাসতে পুলিশ সুপারের দফতরে সাংবাদিকদের জানান বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ৷

তিনি বলেন, "খুনের পর ওই দুই অভিযুক্ত রাজারহাটের এক নেশামুক্তি কেন্দ্রে গা ঢাকা দিয়েছিলেন ৷ খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এর আগেও ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে ছিল তারা ৷" পুলিশের উচ্চাধিকারিক আরও জানান, মাসখানেক আগে ওই কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসে দুই অভিযুক্ত ৷ এদিকে খুনের পর ফের ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় তারা ৷

পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ধৃত দু'জনের বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে কি না, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে ৷ স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় বছর ষাটের প্রৌঢ়া শর্মিষ্ঠা মুন্সি-কে ৷ খুনে ব‍্যবহৃত সেই অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই প্রৌঢ়ার ঘর থেকে বেশকিছু ইমিটেশন এবং সোনার গয়না খোয়া গিয়েছে ৷ সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে ৷ এদিকে ধৃত দুই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার দুপুরে বারাসত আদালতে পেশ করেছে পুলিশ ৷ তাদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ ৷

সোমবার রাতে বারাসতের 34 নম্বর জাতীয়সড়ক সংলগ্ন ন'পাড়া এলাকায় ঘরের মধ্যে থেকে প্রৌঢ়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, মৃত প্রৌঢ়ার নাম শর্মিষ্ঠা মুন্সি (55) ৷ রাতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের জানতে পারে, চুরিতে বাধা পেয়ে প্রৌঢ়ার সঙ্গে দুষ্কৃতীদের ধস্তাধস্তি হয় ৷ প্রৌঢ়াকে আটকাতে গিয়েই খুন করা হয়েছে ৷ তবে খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তবে এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, এই ঘটনা খুন নয় ৷ প্রৌঢ়ার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হওয়ায় তিনি মাটিতে পড়ে গিয়েছেন ৷ এর ফলে রক্তক্ষরণ হয় এবং তাঁর মৃত্যু হয় ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামীর মৃত্যুর পর শর্মিষ্ঠা মুন্সি নামে ওই প্রৌঢ়া ন'পাড়ার বাড়িতে একাই থাকতেন ৷ মাঝেমধ্যে ফোনে তাঁর খবর নিতেন তাঁর মেয়ে ও আত্মীয়রা ৷ সোমবার রাতেও ওই প্রৌঢ়ার খবর জানতে মোবাইলে ফোন করেছিলেন তাঁর মেয়ে ৷ এদিকে ফোন বেজে গেলেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি ৷

আরও পড়ুন: খুনের পাঁচদিনের মাথায় কিনারা, গ্রেফতার দত্তপুকুর প্রৌঢ়া খুনের মাস্টারমাইন্ড

তখনই সন্দেহ হয় প্রৌঢ়ার মেয়ের ৷ তিনি প্রৌঢ়ার প্রতিবেশী এক আত্মীয়কে খোঁজ নিতে বলেন ৷ সেইমতো রাতে আত্মীয় প্রৌঢ়ার বাড়িতে গিয়ে দেখেন, ঘরের বারান্দায় খবরের কাগজ পড়ে রয়েছে ৷ পিছনের দরজার তালা ভাঙা ৷ ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে কোনও শব্দ মেলেনি ৷

এই ঘটনা প্রসঙ্গে নিহতের আত্মীয় কৌস্তভ চক্রবর্তী বলেন, "শর্মিষ্ঠা মুন্সি সম্পর্কে আমার জেঠতুতো দিদি । মাস পাঁচেক আগে ক‍্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জামাইবাবুর মৃত্যু হয়েছে ৷ তারপর থেকে দিদি বাড়িতে একাই থাকতেন ৷" এই খুনের ঘটনায় এলাকার নেশাখোরদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আত্মীয় ৷ তাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ৷ তিনি আরও জানান, কয়েকদিন আগে এলাকা থেকে একটি সাইকেল চুরি হয় ৷ তাই কৌস্তভের দাবি, এটা নেশাখোরদের কাজ হতে পারে ৷

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রৌঢ়ার দেহ পড়ে ছিল ৷ ঘরের বিছানা থেকে আলমারি- সবকিছু লন্ডভন্ড অবস্থায় ছিল ৷ এসব দেখে লুঠপাটের তত্ত্ব সামনে আসে ৷ অন‍্যদিকে, পুলিশি তৎপরতায় নেশাখোরদের দাপট অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তন্নিষ্ঠা খাসনবিশ ৷ তিনি এই ঘটনাকে খুন বলতে রাজি নন ৷ তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, "এটা খুন নয় ৷ ধস্তাধস্তিতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু ৷ তাতেই রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে ৷ পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ৷ শুনেছি এই ঘটনার সঙ্গে প্রৌঢ়ার পরিচিত দু'জন যুক্ত ৷ তাদের ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ ৷ কাউন্সিলর হিসেবে এটুকু বলতে পারি, আমরা সবসময় এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি ৷ যে কোনও সমস্যায় তাঁদের পাশেও দাঁড়াই ৷"

এদিকে, নেশোখোরদের দাপটের কথা শোনা গেল বাসিন্দা চিন্ময় দে'র গলায় ৷ তাঁর কথায়, "নেশাখোররা পুলিশ প্রশাসনেরা তোয়াক্কা করে না ৷ এদের দাপটে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেও ভয় লাগে আমাদের ৷ যেহেতু ওই প্রৌঢ়া একা থাকতেন, তারই সুযোগ নিয়েছে নেশাখোররা ৷ তা না হলে এভাবে বাড়িতে ঢুকে কেউ কাউকে খুন করতে পারে ? এলাকা থেকে নেশাখোরদের দাপট কমাতে প্রশাসন আরও উদ্যোগী হোক ৷"

কিছুদিন আগেই দত্তপুকুরে খুন হন বেবীরানী সর্দার (55) ৷ তিনি চিকিৎসার কারণে পঞ্চায়েত সদস্য মেয়ের বাড়িতে এসে থাকছিলেন ৷ সেই খুনের নেপথ্যেও পুলিশের হাতে চুরির তত্ত্ব উঠে এসেছিল ৷ খুনের মাস্টারমাইন্ড পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিবেশী এক ইলেকট্রিশিয়ানকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল ৷ তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের এক প্রৌঢ়ার খুনের ঘটনা ঘটল ৷

আরও পড়ুন: প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে খুন তাঁরই মা! মৃত্যু ঘিরে রহস্য দত্তপুকুরে

Last Updated : Oct 3, 2023, 2:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.