সাতনা, 21 ফেব্রুয়ারি: প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মধ্যপ্রদেশের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। পাল্টা মমতাকে নিশানা করে তিনি বলেন, "বিরোধীদের ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই ৷ মমতাজী মৃত্যুর রাজনীতি করেন ৷ আমি বাংলার পর্ষবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলাম এবং 6 বছরের মধ্যে মমতাজী আমাদের চারশোর বেশি নেতা-কর্মীকে খুন করিয়েছেন ৷ সুতরাং রাজনীতিতে হত্যা করানোটা তাঁর একটা ব্যবসা।"
বিজয়বর্গীয় আরও বলেন, "তিনি কুম্ভের মতো একটি পবিত্র স্থানকে 'মৃত্যুকুম্ভ' বলছেন, আমি মনে করি ওনার লজ্জাবোধ থাকা উচিত ৷ জলে ডুবে মারা যাওয়া উচিত।" এখানেই শেষ নয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, "আগে দেখুন আপনার রাজ্যে কী হচ্ছে, কেউ নিরাপদ নয়, হাসপাতালের ভিতরে ধর্ষণ করে হত্যা করা হচ্ছে ৷ এত বড় ঘটনা ঘটে যায় আর মুখ্যমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে বক্তব্য রাখেন কুম্ভ নিয়ে। আমি মনে করি, ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত ৷ তাঁর বক্তব্য সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে ৷ উনি সর্বদা সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে থাকেন।"
বিধানসভায় বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে মহাকুম্ভকে 'মৃত্যুকুম্ভ' বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা লুকোচ্ছে যোগী সরকার ৷ এমনই অভিযোগ করেন মমতা ৷ মঙ্গলবার বিধানসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, "মহাকুম্ভ নিয়ে আমি নাই-বা বললাম ৷ ওটা এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে ৷ মৃত্যুকূপের মতো ৷" এর পরই দেশজুড়ে মমতার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা শুরু হয় ৷ বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা ৷
উল্লেখ্য, 29 জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার ভোররাতে মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন ৷ সেই ভিড় এতটাই ছিল যে, পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে 30 জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয় ৷ এই ঘটনায় বিশাল মহাকুম্ভ মেলার পরিকল্পনা নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ৷