কামদুনি, 7 অক্টোবর : 2013 সালের 7 জুন । কামদুনির নির্যাতিতার মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে সাতটি বছর । তারপরও সুবিচার মেলেনি । তাই হাথরস কাণ্ডের পরই ফের একবার সরব হল কামদুনি । পথে নামল সুবিচারের আশায় । নির্যাতিতা যুবতির মূর্তিতে প্রথমে মাল্যদান করা হয় কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের তরফে । মোমবাতি জ্বালিয়ে স্মরণ করা হয় তাঁকে । পরে সুবিচার চেয়ে কামদুনি মোড়ে জড়ো হন প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরা । সেখানে হাজির ছিলেন নির্যাতিতার পরিবার, গ্রামের বাসিন্দা সহ বিশিষ্টরা ।
2016 সাল থেকে কামদুনি মামলা ঝুলে রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে । নিম্ন আদালত দোষী তিনজনকে ফাঁসির সাজা শোনালেও অপর তিনজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় । সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যায় সাজাপ্রাপ্তরা । তবে এখনও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি । এই নিয়েই সরব হয় কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ । হাথরস কাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারকেও । তাঁরাও চাইছেন হাথরসের নির্যাতিতার পরিবার সুবিচার পাক । সেই সঙ্গে কামদুনির দোষীদেরও দ্রুত সাজা দেওয়া হোক । এই দাবিতেই আজ পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হন কামদুনির বাসিন্দারা ।
কামদুনির নির্যাতিতার দাদা বলেন, "সুবিচারের আশায় হাইকোর্টের দরজায় ঘুরছি আমরা । কিন্তু বদ্ধ ঘরেই পড়ে রয়েছে কামদুনি মামলার সুবিচার । ইতিমধ্যে ছয়টা এজলাস পরিবর্তন হয়েছে । কিন্তু তারপরও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি । কেন নিম্ন আদালতের রায়দান কার্যকর হচ্ছে না সেটাই বুঝতে পারছি না । মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমাদের আস্থা রয়েছে । তা সত্ত্বেও করজোড়ে আবেদন করছি, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হোক ৷ নিম্ন আদালত তিনজন দোষীকে ফাঁসির সাজার নির্দেশ দিয়েছিল । বাকি তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় ৷ তাদেরও ফাঁসি চাইছি আমরা । তারাও সমান দোষী । সুবিচারের জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে আমাদের ৷"
কামদুনি মামলা বিলম্ব হওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন প্রাক্তন শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় । তিনি বলেন,"নির্ভয়ার দোষীরা সাজা পেয়ে গেলেও কামদুনির দোষীদের ক্ষেত্রে সাজা হয়নি এখনও । মামলা পড়ে রয়েছে হাইকোর্টে । আমরা নভেম্বর-ডিসেম্বর অবধি অপেক্ষা করব । এর মধ্যে যদি মামলা শুরু না হয় তাহলে আমরা সুবিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব ৷"