ব্যারাকপুর , 2 ডিসেম্বর : দুপুরে প্রশান্ত কিশোরের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ-এর পর তাঁদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন । রাতে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু, ব্যারাকপুর বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের দেখাই পেলেন না জ্যোতিপ্রিয় ।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের বাড়িতে গিয়েছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের দুই প্রতিনিধি । শীলভদ্র অবশ্য তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন । তবে তাঁদের তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন । সেই বার্তা পৌঁছানোর পর গতকাল রাতেই শীলভদ্রের বাড়িতে পৌঁছান জ্যোতিপ্রিয় । কিন্তু, শীলভদ্র তখন বাড়িতেই ছিলেন না । খাদ্যমন্ত্রীকে শীলভদ্রের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেই ফিরে আসতে হয় । তিনি বলেন, "শীলভদ্র আমার 45 বছরের বন্ধু । আমি ওঁর খোঁজ নিতে এসেছিলাম । ও বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিল । তাই কেমন আছে, জানতে এসেছিলাম । তাঁর বাড়িতে আসার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই । "
শীলভদ্রের দিদি শিপ্রা দত্ত বলেন , "খাদ্যমন্ত্রী এসেছিলেন । আমরা চাই, শীলভদ্র বাড়িতেই থাকুক । বাড়ির সবাই চাইছে ও রাজনীতি ছেড়ে দিক । এখন ও কী করবে সেটা ওর সিদ্ধান্ত । তবে আমরা চাই, ও আর যেন কোথাও না যায়।"
শীলভদ্র দত্ত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন , তিনি আর তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়াবেন না । এরপরেই তড়িঘড়ি তাঁর বাড়িতে যান প্রশান্ত কিশোরের প্রতিনিধিরা । কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি । তিনি জানিয়ে দেন , দলের প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি কথা বলবেন । এরপর তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন , "প্রশান্ত কিশোরের দু'জন প্রতিনিধি এসেছিলেন । কিছু কথা তাঁদের বলেছি । তবে কোনও রাজনৈতিক নেতা এলে ভালো হত । দল পি কে-কে দায়িত্ব দিয়েছে । সেখানে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই । তবে আমি যে তৃণমূলের টিকিটে আর নির্বাচনে দাঁড়াব না তা সাফ জানিয়ে দিয়েছি ।"
তবে বিধানসভা নির্বাচনে দলের জয় নিয়ে তাঁর মনে কোনও সংশয় নেই । কিন্তু দলের শীর্ষ নেতাদের কটূক্তির জেরে দলের বহু নেতা-নেত্রী যে দূরে সরে যাচ্ছেন তাও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন । এরপরেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । যদিও তিনি বলেন , রাজনীতির কোনও বিষয় নিয়ে তিনি শীলভদ্রের সঙ্গে কথা বলতে আসেননি । কেবল তাঁর কুশল জানতে দেখা করতে এসেছিলেন ।