দেগঙ্গা, 4 ডিসেম্বর : বাপের বাড়ি থেকে বাইক কেনার টাকা আনতে অস্বীকার করেছিলেন ৷ তারপরেই যুবতীকে পিটিয়ে মুখে বিষ ঢেলে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে (In-laws accused of beating the girl to death in Deganga) । মৃত যুবতীর নাম নাজমুল নাহার (21)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগণার দেগঙ্গায় ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাইক কেনার টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হয় ওই যুবতীকে । তা না করায় যুবতীকে প্রথমে মারধর করে স্বামী, শ্বাশুড়ি এবং দেওর । পরে তাঁর মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । এদিন সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় বারাসত জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাজমুলের বাপের বাড়ি দেগঙ্গার বাউরআটি এলাকায় । 2019 সালে দেগঙ্গার মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা মোস্তফা মণ্ডলের সঙ্গে নিকাহ হয় তাঁর । বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির চাহিদা বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ । চাহিদা মতো জিনিসপত্র না মিললেই নাজমুলের ওপর শুরু হত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন । বেশ কয়েকবার দুই পরিবারের উপস্থিতিতে গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে অশান্তির মীমাংসা করা হয়েছিল । সম্প্রতি নাজমুলের দেওরের বিয়েতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাইক দেওয়া হয়েছিল । তা দেখে মোস্তফাও বাইক কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন নাজমুলকে । কিন্তু তা মানতে চাননি নাজমুল । গত রবিবার এই নিয়ে তাঁর সঙ্গে তুমুল অশান্তি শুরু হয় । অভিযোগ, অশান্তি চলাকালীন এগারো মাসের পুত্রসন্তানের সামনেই নাজমুলের মুখে জোর করে কীটনাশকের বিষ ঢেলে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন : Body of UP girl Found: উত্তরপ্রদেশে পড়শির বাড়ির ট্রাঙ্কে মিলল ছোট্ট মেয়ের নিথর দেহ
চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে । অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওইদিনই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । অবস্থা বেগতিক বুঝে যুবতীকে ফেলে রেখে হাসপাতাল থেকেই চম্পট দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা । অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ।