হাড়োয়া, 19 ফেব্রুয়ারি : অতিরিক্ত টাকা চেয়ে না পাওয়ায় যুবতিকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ৷ উত্তর 24 পরগনার হাড়োয়া থানার মল্লিকঘেরি এলাকার ঘটনা ৷ ঘটনার পর থেকে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা প্রত্যেকেই পলাতক ৷
মৃতার নাম মামণি মণ্ডল (27) ৷ বিয়ে হয়েছিল মল্লিকঘেরির বাসিন্দা প্রবীর মণ্ডলের সঙ্গে ৷ প্রবীর পেশায় ভ্যানচালক ৷ তাদের এক সন্তানও রয়েছে ৷ মামণির পরিবারের বক্তব্য, বিয়ের সময় অজিতকে সাধ্যমতো পণ দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তাদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে অত্যাচার শুরু করে প্রবীর ও তার পরিবারের সদস্যরা ৷ একবছর আগেই মামনির বাবা অজিত পাত্র প্রবীরকে একটি ইঞ্জন ভ্যান কিনে দিয়েছিলেন । কিন্তু তার পরও মানসিক নির্যাতন বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ ৷
গতরাতেও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে মামণির বচসা হয় । অভিযোগ, প্রবীর ও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরা মামণিকে বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা আনতে বলে । কিন্তু মামণি না করে দেন ৷ জানিয়ে দেন, আর এক টাকাও আনবেন না ৷ তখন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয় ৷
প্রতিবেশীরা টের পেয়ে সেখানে গিয়ে মামণিকে উদ্ধার করে ৷ তাঁকে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ৷ এই ঘটনায় 8 জনের বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে । অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক । পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে ।