বারাসত, 28 অগাস্ট : মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করছেন রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্তা ৷ সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো ৷ এরপরই রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷ এই বিষয়ে, আজ BJP সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিহার ও উত্তরপ্রদেশের কালচার পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা হচ্ছে । পায়ে হাত না দিলে এখানকার IPS, IAS-দের পোস্টিং হয় না, প্রোমোশন হয় না । অফিসারদের দিয়ে এই ধরনের তাঁবেদারি করানো হচ্ছে ৷ ফলে প্রশাসন ভেঙে পড়ছে ৷ আমরা এই ধরনের প্রশাসন পশ্চিমবঙ্গে কোনওদিন দেখিনি ৷"
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া 8 সেকেন্ডের ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সৈকতের দিকের সিটে বসে আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ডান দিকে রয়েছেন শিশির অধিকারী । বাঁ দিকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী । পাশে দাঁড়িয়ে বিনীত গোয়েল । তাঁর পাশেই পুলিশের উর্দিতে রাজ্যের IG (পশ্চিমাঞ্চল) রাজীব মিশ্র ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক টুকরো কেক নিয়ে পরে রাজীব মিশ্রকে খাইযে দেন ৷ কেক মুখে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন রাজীব ( ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ETV ভারত) ৷ এরপরেই বিতর্কের সূত্রপাত ৷
আজ বারাসতের কাজিপাড়ায় দলীয় অনুষ্ঠানে গেছিলেন দিলীপ ঘোষ । ভিডিয়ো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে রাজ্যের প্রশাসনকে তুলোধনা করেন তিনি ৷ বলেন, "আমরা মায়াবতী সহ উত্তরপ্রদেশ, বিহারের অনেক নেতাকে দেখেছি ৷ সেখানে পুলিশ অফিসারদের দিয়ে জুতো বহন করানো, জুতো পালিশ করা, পায়ে হাত দেওয়া এটা ছিল ৷ সেই কালচার পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসা হচ্ছে । পায়ে হাত না দিলে এখানকার IPS, IAS-দের পোস্টিং হয় না, প্রোমোশন হয় না । অফিসারদের দিয়ে এই ধরনের তাঁবেদারি করানো হচ্ছে ৷ এ অফিসারদের কোনও যোগ্যতা নেই ৷ ফলে প্রশাসন ভেঙে পড়ছে৷ আমরা এই ধরনের প্রশাসন পশ্চিমবঙ্গে কোনওদিন দেখিনি ৷"
এই সংক্রান্ত আরও পড়ুন : কেক মুখে নিয়ে উর্দি পরে প্রণাম মমতাকে, বিতর্কে IG রাজীব মিশ্র
প্রসঙ্গত, গতবছর একই রকম দৃশ্য দেখা গেছিল উত্তরপ্রদেশে ৷ গোরখপুরে গোরখনাথ মন্দিরে গুরু পূর্ণিমার দিন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলেন প্রবীণ সিং নামে এক সার্কেল অফিসার ৷ পরে তাঁকে তিলকও পরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ প্রবীণ সিং স্বয়ং সেই ছবি শেয়ার করেন ৷ পরে তা ডিলিট করে দিলেও পিছু ছাড়েনি বিতর্ক ৷ সরব হয়েছিল সমাজবাদী পার্টি ৷ সমাজবাদী পার্টির নেতা সুনীল সিং বলেন, "দ্রুত ওই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা উচিত ৷ ওই ছবি প্রমাণ করে যে, পুলিশ সম্পূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ৷ এবং চাকরের মতো ব্যবহার করছেন৷"