ব্যারাকপুর, 25 অগস্ট: পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উন্নতি চায় না রাজ্য সরকার ৷ বদলে 500 টাকা ভাতা দিয়ে মানুষের ভোট কিনবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ উত্তর 24 পরগনার পানিহাটিতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের একটি ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান ছিল ৷ সেখানেই তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় ৷ কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে সাংসদ সৌগত রায় এবং পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ আমন্ত্রিত থাকা সত্ত্বেও, না আসায় তৃণমূলকে নিশানা করেন খড়গপুর সদরের বিধায়ক ৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ৷
হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এনআইপিইআর-এর তরফে ফোন করে ও চিঠি পাঠিয়ে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৷ যেহেতু এটা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠান তাই রাজ্যের কেউ উপস্থিত হননি ৷ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থেই এটা করা হচ্ছে ৷ সিঙ্গুর থেকে টাটাকে সরিয়ে দিতে তারা (তৃণমূল) যেভাবে অসহযোগিতা করেছিল ৷ তা এখনও বজায় রয়েছে ৷ ওরা চায় এখান থেকে সবাই চলে যাক ৷ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ গরিব হয়ে থাকুক ৷ মানুষকে 500 টাকা ভাতা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভোট কিনবে ৷’’
এই ইস্যুতে মোদি ও মমতার মধ্যে ফারাক তুলে ধরনে হিরণ ৷ তিনি বলেন, ‘‘খড়গপুরে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ৷ এটাই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পার্থক্য ৷ আসলে মমতার একটাই লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গে কোনও উন্নয়ন চলবে না ৷ কেবলমাত্র ভাতার রাজনীতি চলবে ৷’’
এলাকার সাংসদ এবং বিধায়কের অনুপস্থিতিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেন, এনআইপিইআর-এর ডিরেক্টর ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিনিধি গিয়ে সশরীরে সাংসদ ও বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন ৷ ওনাদের না আসাটা দুর্ভাগ্যজনক ৷ এই প্রকল্পটা তৈরি করতে কুড়ি মাসের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে ৷ এই পুরো প্রকল্পটা করতে আমাদের 78 কোটি টাকা খরচ হবে ৷ আর সম্পূর্ণভাবে এটাকে শুরু করতে আনুমানিক 100 কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের বার্তার দিনই জাল ওষুধের সন্ধান জেলায়, হতবাক ব্যবসায়ীরা
সংস্থার ডিরেক্টর মিস্টার রাঘবান জানান এই অনুষ্ঠানে আমাদের প্রতিনিধি গিয়ে সশরীরে সাংসদ ও বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন ওনাদের না আসাটা দুর্ভাগ্য জনক আমাদের এই প্রজেক্টটা তৈরি হতে কুড়ি মাসের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। এই প্রজেক্টটির নির্মাণ করতে আমাদের 78 কোটি টাকা খরচ হবে। এবং সম্পূর্ণ সম্পূর্ণভাবে এটাকে চলমান করতে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে ৷
যদিও সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেছেন, তাঁকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের একটি ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ৷ পুরোটাই মিথ্যে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ ৷
আর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানান, পশ্চিমবঙ্গের এই প্রতিষ্ঠান ভারতের অন্যান্য জায়গাতেও প্রসারিত হবে ৷ এমন প্রতিষ্ঠান আরও তৈরি হলে ওষুধের দাম অনেকটাই কমে যাবে ৷ করোনার সময় ভারত দেড়শোটি দেশে ওষুধ পাঠিয়েছে ৷ বিশ্বের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি ৷ এমনকি ভারত সরকার মনোপলি ব্যবসা করতে পারত বিদেশে চড়া দামে করোনার টীকা বিক্রি করে ৷ কিন্তু, তা না করে অন্যান্য দেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ৷