ব্যারাকপুর, 2 অক্টোবর: একদিকে দিল্লিতে ধরনায় তৃণমূল, অন্যদিকে গান্ধির জন্মদিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য ঘিরেই নতুন জল্পনা শুরু। গান্ধি জয়ন্তীতে ব্যারাকপুরের গান্ধিঘাটে গান্ধিজীকে শ্রদ্ধা জানিয়েই রাজ্যপাল তৃণমূলের দিল্লিতে ধরনা প্রসঙ্গে বললেন, "সবকো সম্মতি দে ভগবান"। তৃণমূলের দিল্লি অভিযান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরেই সিভি আনন্দ বোসের এই বক্তব্য, নতুন করেই প্রশ্ন তুলল- ঠিক কী কারণে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল । সেই সময় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ । যদিও রাজ্যপালের মন্তব্যের পালটা কিছু বলতে চাননি তিনি । বরং হাতজোড় করে তিনি বলেন,"আজকের দিনটা শুধুই গান্ধীজীর । অন্য কিছু নয় ।"
রাজ্যপালের সঙ্গে এদিন গান্ধিঘাটে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা । এদিন সকালে রাজ্যপাল ব্যারাকপুর গান্ধিঘাটে পৌঁছলে, মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ বাণী পাঠ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা । তারপর গান্ধি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যপাল ।
জাতির জনক মহাত্মা গান্ধির জন্মদিবসে প্রতিবছরই ব্যারাকপুর গান্ধিঘাটে বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে । সেই অনুষ্ঠানে হাজির হন রাজ্যপাল । এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি । বৃষ্টি মাথায় নিয়েই গান্ধিঘাটের বিশেষ সেই প্রার্থনা সভায় হাজির হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । অনুষ্ঠান শেষে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,"ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গান্ধিজী লড়াই শুরু করেছিলেন । তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছিলেন । বর্তমানে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস চলছে । তাই তাঁকে স্মরণ করা উচিত ৷"
দিন কয়েক আগে রাজভবনে পুলিশি নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে । সেই বিষয়েও বলতে গিয়ে সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যপাল । তিনি বলেন, "বাইরে সন্ত্রাস আর ভিতরে ভায়োলেন্স ।" ফলে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত আবহাওয়া ক্রমশ জটিল হচ্ছে তার বলার অপেক্ষায় রাখে না । তবে অভিজ্ঞমহলের মতে এই সংঘাতের আবহাওয়া জিইয়ে রাখছে উভয়পক্ষই । রাজ্যপালের এদিনের বক্তব্যে তা আবারও স্পষ্ট হল।
আরও পড়ুন : গান্ধিজির রক্তমাখা ধুতি থেকে দুর্লভ ছবি দেখতে ঘুরে আসুন এই 5 ঐতিহাসিক স্থানে