বনগাঁ, 16 জুলাই : বনগাঁর আস্থাভোটে অংশ নিতে না পারা দুই BJP কাউন্সিলরকে ক্রিমিনাল বলে আক্রমণ তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের । তিনি বলেন, "ক্রিমিনালগুলো ঠিক সময় সেখানে ঢোকেনি । আবার বলছে পুলিশ ঢুকতে দেয়নি । পুলিশ যদি না ঢুকতে দেয় তাহলে তো ওঁদের গ্রেপ্তার করবে । পুলিশতো তাঁদের গ্রেপ্তার করেনি । হাইকোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছে । আর তাঁরা বলছে ঢুকতেই দেয়নি । সবকিছুর একটা নিয়ম আছে ।"
অন্যদিকে, বিধায়কের ভূমিকা নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম । তৃণমূল ত্যাগ করে সদ্য BJP-তে যোগ দিয়েছেন বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস । আজ তিনি বনগাঁ পৌরসভার সামনে উপস্থিত থেকে বিক্ষোভে সামিল হন । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "একটি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে বিশ্বজিৎ দাস BJP-র বিধায়ক । উনি সত্য়ি করে কোন দলের বিধায়ক ? নৈতিক অধিকার কী করে হল BJP-র বিধায়ক বলা ? তিনি কি বিধানসভায় পদত্যাগ দিয়েছেন ?"
আজ বনগাঁ পৌরসভার আস্থাভোটকে ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে । পৌরসভা চত্বরে বোমাবাজি শুরু হয় । ঘটনায় জখম হয় দুই জন । বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে । কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় । ঘটনায় জখম হয় বনগাঁর SDPO অশেষ ঘোষ দস্তিদার । বেলা 3টে 15 নাগাদ বনগাঁ পৌরসভার পৌরপ্রধান শংকর আঢ্য 9 জন তৃণমূল কাউন্সিলরসহ বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন, তাঁরা জিতে গেছেন । আস্থাভোটে BJP-র কোনও কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না । অন্য কাউন্সিলররা জানান, তাঁরা শংকর আঢ্যকে চেয়ারম্যান হিসেবে সমর্থন করছেন । এর ঠিক কিছুক্ষণ পর BJP-র পক্ষ থেকে পালটা দাবি করা হয় তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না । তাঁদের 11 জন কাউন্সিলরই আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করেন । তাঁরা জিতে গেছেন । পাশাপাশি BJP-র তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের দুই কাউন্সিলরকে আস্থা ভোটে অংশ নিতে বাঁধা দিয়েছে পুলিশ । এরপরই BJP-র করা অভিযোগ উড়িয়ে দেন ফিরহাদ হাকিম ।