নিউ ব্যারাকপুর, 28 মে : 30 ঘণ্টা বেশি হয়ে গিয়েছে ৷ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দার গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের গুদামের আগুন । কারখানার ভেতরে আটকে পড়া 4 কর্মীর অগ্নিদগ্ধ মৃত্যুর আশঙ্কা দমকলের ৷ জানা গিয়েছে, তিনতলা বাড়ির একাংশের গেঞ্জি কারখানার আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ওষুধের গুদামের বিভিন্ন অংশে এখনও ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে । দমকল কর্মীরা একটানা কাজ করে আগুন বাগে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । জানা গিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র তাপ এবং বিরাট কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী । যার জেরে এখনও পর্যন্ত বাড়িটির ভিতরে প্রবেশ করতে পারেননি দমকল কর্মীরা । আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে বাইরে থেকে ৷
ঘটনাস্থানে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন সুজিত বসু । এতক্ষণ ধরে আগুন জ্বলার কারণে বাড়িটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে । প্রয়োজন হলে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হতে পারে ।
গত পরশু রাত তিনটে নাগাদ আগুন লাগে নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দার গেঞ্জি কারখানায় ৷ প্রথমে তিনতলার একাংশে আগুন লাগে ৷ এরপর তা ছড়ায় ওষুধের গুদামে ৷ কারখানায় ও গুদামে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ৷ সেই সময় গেঞ্জি কারখানার 4 কর্মী আটকে পড়েন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে দমকালের 15টি ইঞ্জিন ৷ আনা হয় আধুনিক রোবট । কিন্তু অত্যাধিক তাপে রোবট বিকল হতে পারে, এই আশঙ্কায় সেটিকে বাড়ির ভেতরে ঢোকানো যায়নি ৷ তবে বাইরে থেকে ব্যবহার করা হয় ৷ পরে ঘটনাস্থানে আনা হয় বুলডোজার । তা দিয়ে বাড়িটির পিছনের দিকের দেওয়ালের ভেঙে ধোয়ার কুণ্ডলী বের করতে তৎপর হন দমকল কর্মীরা । দমকলের ধারণা, গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের গুদামে প্রচুর পরিমাণ দাহ্য বস্তু ছিল । সেই কারণে আগুনের ভয়াবহতা ক্রমশ বেড়েছে ।
আরও পড়ুন: তুফানগঞ্জে তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ
এদিকে ঘটনার পর থেকেই গেঞ্জি কারখানার চার শ্রমিক সুব্রত ঘোষ, তন্ময় ঘোষ, অমিত সেন, স্বরূপ ঘোষের খোঁজ মিলছে না । পরিবারের দাবি, বুধবার ডিউটি থাকায় চার শ্রমিক কারখানার মধ্যেই ছিলেন । তাঁরা বাড়ি ফেরেননি ৷ দমকল কর্মীদের আশঙ্কা, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে আটকে পড়া চার শ্রমিকের ৷