খড়দা, 22 জানুয়ারি: দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে রবিবার 'দিদির দূত' সৌগত রায় (Sougata Roy) জনসংযোগ করলেন খড়দা বিধানসভার বন্দিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় । ওই এলাকার রহড়ার মোড়ল পাড়া, বন্দিপুর প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসক-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সৌগত রায়।
হাসপাতালের পরিকাঠামো গত কিছু ত্রুটি রয়েছে এছাড়াও সন্ধে নামতেই হাসপাতালের পিছন দিকে শুরু হয় মদ্যপ যুবকদের মাতামাতি ৷ যার কারণে অস্বস্তিতে পড়ে শিক্ষাগত নার্সিং কর্মীরা ৷ পাশাপাশি রয়েছে হায়পাতালের অ্যাম্বুলেন্স-সহ পানীয় জলের সমস্যা। সমস্ত বিষয়টি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় সৌগত রায়কে। একই অভিযোগ করেন ব্যারাকপুর-2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি শুকুর আলি পুরকাইত। সমস্ত অভিযোগ শোনার পরে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন দিদির দূত তথা সৌগত রায়।
এরপর সেখান থেকে মাদ্রাসা স্কুলে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। সেখান থেকে দুপুরের খাবার খেতে গ্রামের উপপ্রধানের বাড়ি যান। এদিন তিনি যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই সাধারণ মানুষের কাছে তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি ৷ তবে স্থানীয় মানুষজন ক্যামেরার সামনে না-বললেও পিছনে কিন্তু অভিযোগ তুলেছেন এলাকার সমস্যার নিয়ে । বিভিন্ন সমস্যা গ্রামে রয়েছে এবং আর তার জন্য দায়ী প্রধান ৷ এদিন এমনটা অভিযোগ গ্রামবাসীদের তরফে তোলা হয়েছে প্রধানের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, হাসপাতালের জলের টিউবয়েল দীর্ঘদিন ধরে খারাপ, রাস্তার বেহাল অবস্থা, আবাস যোজনার ঘর না-পাওয়া ৷ সাংসদ সৌগত রায় অবশ্য এইসব দিকে নজর দিতে নারাজ ৷ তিনি সোজা-সাপটা জানান, যা অভিযোগ রয়েছে তা আমরা দেখছি ৷ হাসপাতালে জলের কলের ব্যাপারে তিনি বলেন, "মিস্ত্রি না-থাকায় কলটি সারানো হচ্ছে না ৷"
আরও পড়ুন: দিদির দূত হয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়লেন সৌগত রায়
এছাড়াও গতকাল আইএসএফ (ISF)-এর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ভাঙরে আইএসএফ-রা গতকাল কলকাতায় যা করেছে তা অত্যন্ত অন্যায়। থানার ওসি (OC)-সহ বহু পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনায় আইএসএফ বিধায়ক-সহ 17 জনকে গ্রেফতার করেছে। যদি এরা এরকম বিশৃঙ্খলা করে, তাহলে ওদের উপর এরকমই ব্যবহার করা হবে।" তৃণমূলের কুন্তল ঘোষ গ্রফতার হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, " কুন্তল কে আমি জানি না। গ্রেফতারি নিয়ে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন আমাদের এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাঁরা নিজের মামলা নিজে লড়বে।"