বারাসত, 9 মে : সাড়ে তিন লাখ টাকা দিতে হবে । নাহলে সন্তানের প্রাণনাশ হতে পারে । এমনই হুমকি চিঠি পেলেন অধ্যাপক দম্পতি । বারাসত পৌরসভার 8 নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা । আজ সকালে ওই অধ্যাপক দম্পতি বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
বারাসতের হৃদয়পুরে বাড়ি অধ্যাপক অমিত সিংহ রায়ের। তাঁর স্ত্রী পিয়ালিও অধ্যাপিকা। কর্মসূত্রে দু'জনকেই বেশিরভাগ সময় কোচবিহারে থাকতে হয়। সেখানকার একটি কলেজে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত দম্পতি। লকডাউনের আগে দুই শিশু সন্তান নিয়ে তাঁরা হৃদয়পুরের বাড়িতে এসেছিলেন । লকডাউনের জেরে আর কলেজে ফেরা সম্ভব হয়নি । আটকে পড়েন বাড়িতেই। এরই মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁদের বাড়িতে কে বা কারা টাইলসের টুকরো ছোড়ে বলে অভিযোগ। প্রথমদিকে বিষয়টিতে সেভাবে গুরুত্ব না দেওয়া হলেও পরে বাড়তে থাকে উপদ্রব । গতকাল বিকেলে বাড়ির ছাদে ওঠেন পিয়ালি দেবী। সেখানে টাইলসের অজস্র টুকরো পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। তারপর ছাদের এক কোণে লাল সুতোয় বাঁধা একটি কাগজ লক্ষ্য করা যায়। সেটি খুলতেই ওই অধ্যাপিকা দেখেন, তাঁর সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। টাকা না দিলে তার ফলও ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এমনকি,দম্পতির গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সেই চিঠিতে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানান পিয়ালি । দম্পতি আজ সকালে পুলিশের দ্বারস্থ হয় । অভিযোগ দায়ের করা হয় বারাসত থানায়।
এবিষয়ে অধ্যাপিকা পিয়ালি সিংহরায় বলেন,"এনিয়ে দু'বার হুমকি চিঠি পেলাম। চিঠিতে সাড়ে তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। চিঠিতে প্রথম দফায় 25 হাজার টাকা। দ্বিতীয় দফায় ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। টাকা না দিলে আমার সন্তানদের ক্ষতি করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছি ।" তিনি আরও বলেন, "আমি ও আমার স্বামী কর্মসূত্রে কোচবিহারে থাকি। দু'জনেই অধ্যাপক। এখানে যেহেতু সেভাবে থাকা হয় না । তাই বুঝতে পারছি না, কারা এই কাজ করেছে । তাছাড়া আমাদের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতাও নেই। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে ।"
তিনি আরও বলেন,"আমি ও আমার স্বামী কর্মসূত্রে কোচবিহারে থাকি।দু'জনেই অধ্যাপক।এখানে যেহেতু সেভাবে থাকা হয়না,তাই কারা এর করেছে জানা নেই আমাদের।তাছাড়া আমাদের সাথে কারোর শত্রুতা নেই।পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে ।"
বারাসত থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, "অজ্ঞাত পরিচিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। চিঠির সূত্র ধরে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত । যাঁরাই যুক্ত থাকুক, প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করা হবে ।