ETV Bharat / state

ISF Leader Controversial Remark: 'পঞ্চায়েতে ভোট লুট করতে এলে তৃণমূলের দাদাদের হাত কেটে নিন', আইএসএফ নেতার মন্তব্যে বিতর্ক

নওশাদ সিদ্দিকীর সামনেই আইএসএফ নেতা বিশ্বজিৎ মাইতি বললেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূল নেতারা ভোট লুট করতে এলে, তাঁদের হাত কেটে নিন ৷ তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছে শাসকদল ।

ISF Leader Controversial Remark
ISF Leader Controversial Remark
author img

By

Published : May 28, 2023, 11:44 AM IST

Updated : May 28, 2023, 2:14 PM IST

আইএসএফ নেতার মন্তব্যে বিতর্ক

মধ‍্যমগ্রাম, 28 মে: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই শাসক এবং বিরোধীর কুকথায় তেতে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি । এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল আইএসএফের রাজ‍্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতির নামও । শাসকদলকে আক্রমণ করতে গিয়ে বেলাগাম ভাষা প্রয়োগ করে বিতর্কে জড়ালেন তিনি । 'ভোট লুট করতে এলে তৃণমূলের দাদাদের হাত কেটে নেওয়ার' নিদান দিলেন তিনি । যা ঘিরে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে মধ্যমগ্রামের রাজনীতি ।

দলীয় নেতার এই বিতর্কিত মন্তব্যকে অবশ্য সমর্থন করেননি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । এ নিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই ড‍্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় আসরে নামেন বিধায়ক স্বয়ং । এই নিজের বক্তব্যের সাফাই দিয়েছেন বিতর্কিত আইএসএফ নেতাও ।তবে, তাতে বিতর্ক থামছে না । তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ই এই মন্তব্যের সমালোচনা করে বিঁধেছে আইএসএফ দলকে ।

শনিবার রাতে উত্তর 24 পরগনার মধ‍্যমগ্রামে এক জনসভা আয়োজিত হয় আইএসএফ-এর উদ্যোগে । সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন বিধায়ক তথা আইএসএফ-এর রাজ‍্য চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী । তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ‍্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি-সহ আইএসএফ-এর অন্য়ান্য নেতারা । তবে, নওশাদ সিদ্দিকীর বদলে সেই সভায় আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায় আইএসএফ নেতা বিশ্বজিৎ মাইতির বিতর্কিত মন্তব্য !

ঠিক কী বলেছেন তিনি ? নওশাদের সামনেই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে শাসকদলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে আইএসএফ নেতা বিশ্বজিৎ মাইতি বলেন, "মধ‍্যমগ্রামে যে দাদারা দাদাগিরি করছেন, করুন । কিন্তু কোনও দাদা যদি পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবারও হাতে লাল দাগা এবং বালা পড়ে ভোট লুট করতে যায়, সেই দাদাদের হাতটা কেটে নিতে পারবেন তো ?"

এ দিকে, দলের চেয়ারম্যানের সামনেই আইএসএফ-এর রাজ‍্য নেতা বিশ্বজিৎ মাইতির এমন নিদান ঘিরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । চোখের ইশারাতে তিনি বুঝিয়ে দেন, ওই আইএসএফ নেতা সঠিক কথা বলেননি । এরপর অবশ্য আর এ নিয়ে মঞ্চ থেকে কোনও গরম বক্তব্য দিতে শোনা যায়নি আইএসএফ নেতা বিশ্বজিৎ মাইতিকে । মাঝপথেই তাঁর বক্তব্য থামিয়ে দেওয়া হয় ।

পরে এই নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাফাই দিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, "আমরা সংবিধানে বিশ্বাস করি । সংবিধানের উপর ভরসা রয়েছে । দলীয়ভাবে আমরা একটা কথাই বারবার বলে এসেছি যে, ভারতের মানুষের সামনে সংবিধানকে তুলে ধরা হোক । পশ্চিমবঙ্গের পাঠ‍্যসূচিতে স্থান পাক দেশের সংবিধান । অথচ, তৃণমূল যেভাবে ভোট লুঠ করছে, দেশের গণতন্ত্রকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তাতে সাধারণ ও গরিব খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার লুন্ঠিত হচ্ছে । যাতে গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাত কেটে নেওয়া যায়, তার বন্দোবস্ত করতেই এই কথা বলেছি ৷" তাঁর দাবি, হিংসার রাজনীতিতে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বিশ্বাসী নয় ৷

অন‍্যদিকে, অস্বস্তির মুখে পড়ে বিতর্কিত এই মন্তব্যের দায় ওই আইএসএফ নেতার ঘাড়েই ঠেলেছেন দলের চেয়ারম‍্যান তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । তিনি বলেন, "এই হুমকি-বক্তব্যকে দল কোনওভাবেই সমর্থন করে না । গণতন্ত্রের পরিসরের মধ্যেই সকলের থাকা উচিত । শালীনতা বজায় রেখে ।তবে, এটুকু বলব আইনের মাধ্যমে শুধু হাত কাটা নয়, কীভাবে জেলা রাখা যায় তার ব্যবস্থা করব আমরা । সেটা অবশ্যই আইন মেনে ৷" কুড়মি, আদিবাসী এবং সাঁওতালি সমাজের বঞ্চিত হওয়ার ইস্যুর প্রভাব আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে বলে মনে করেন নওশাদ সিদ্দিকী ।

অপরদিকে, এই হুঁশিয়ারি মন্তব্যের সমালোচনা করে মধ‍্যমগ্রাম শহর তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদের নিজেদেরই কোনও শালীনতা নেই । সেই কারণে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা চলছে । আমরা ভোট লুঠে বিশ্বাসী নই । অভিষেকের জনজোয়ার দেখে বাংলার মানুষ এমনিই তৃণমূলকে ভোট দেবে । তারপরও বলব, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের শালীনতা থাকা উচিত ৷"

আরও পড়ুন: নওশাদদের পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের বিতর্কে আরাবুল

আইএসএফ নেতার মন্তব্যে বিতর্ক

মধ‍্যমগ্রাম, 28 মে: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই শাসক এবং বিরোধীর কুকথায় তেতে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি । এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল আইএসএফের রাজ‍্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতির নামও । শাসকদলকে আক্রমণ করতে গিয়ে বেলাগাম ভাষা প্রয়োগ করে বিতর্কে জড়ালেন তিনি । 'ভোট লুট করতে এলে তৃণমূলের দাদাদের হাত কেটে নেওয়ার' নিদান দিলেন তিনি । যা ঘিরে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে মধ্যমগ্রামের রাজনীতি ।

দলীয় নেতার এই বিতর্কিত মন্তব্যকে অবশ্য সমর্থন করেননি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । এ নিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই ড‍্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় আসরে নামেন বিধায়ক স্বয়ং । এই নিজের বক্তব্যের সাফাই দিয়েছেন বিতর্কিত আইএসএফ নেতাও ।তবে, তাতে বিতর্ক থামছে না । তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ই এই মন্তব্যের সমালোচনা করে বিঁধেছে আইএসএফ দলকে ।

শনিবার রাতে উত্তর 24 পরগনার মধ‍্যমগ্রামে এক জনসভা আয়োজিত হয় আইএসএফ-এর উদ্যোগে । সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন বিধায়ক তথা আইএসএফ-এর রাজ‍্য চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকী । তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ‍্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি-সহ আইএসএফ-এর অন্য়ান্য নেতারা । তবে, নওশাদ সিদ্দিকীর বদলে সেই সভায় আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায় আইএসএফ নেতা বিশ্বজিৎ মাইতির বিতর্কিত মন্তব্য !

ঠিক কী বলেছেন তিনি ? নওশাদের সামনেই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে শাসকদলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে আইএসএফ নেতা বিশ্বজিৎ মাইতি বলেন, "মধ‍্যমগ্রামে যে দাদারা দাদাগিরি করছেন, করুন । কিন্তু কোনও দাদা যদি পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবারও হাতে লাল দাগা এবং বালা পড়ে ভোট লুট করতে যায়, সেই দাদাদের হাতটা কেটে নিতে পারবেন তো ?"

এ দিকে, দলের চেয়ারম্যানের সামনেই আইএসএফ-এর রাজ‍্য নেতা বিশ্বজিৎ মাইতির এমন নিদান ঘিরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । চোখের ইশারাতে তিনি বুঝিয়ে দেন, ওই আইএসএফ নেতা সঠিক কথা বলেননি । এরপর অবশ্য আর এ নিয়ে মঞ্চ থেকে কোনও গরম বক্তব্য দিতে শোনা যায়নি আইএসএফ নেতা বিশ্বজিৎ মাইতিকে । মাঝপথেই তাঁর বক্তব্য থামিয়ে দেওয়া হয় ।

পরে এই নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাফাই দিয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, "আমরা সংবিধানে বিশ্বাস করি । সংবিধানের উপর ভরসা রয়েছে । দলীয়ভাবে আমরা একটা কথাই বারবার বলে এসেছি যে, ভারতের মানুষের সামনে সংবিধানকে তুলে ধরা হোক । পশ্চিমবঙ্গের পাঠ‍্যসূচিতে স্থান পাক দেশের সংবিধান । অথচ, তৃণমূল যেভাবে ভোট লুঠ করছে, দেশের গণতন্ত্রকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তাতে সাধারণ ও গরিব খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার লুন্ঠিত হচ্ছে । যাতে গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাত কেটে নেওয়া যায়, তার বন্দোবস্ত করতেই এই কথা বলেছি ৷" তাঁর দাবি, হিংসার রাজনীতিতে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বিশ্বাসী নয় ৷

অন‍্যদিকে, অস্বস্তির মুখে পড়ে বিতর্কিত এই মন্তব্যের দায় ওই আইএসএফ নেতার ঘাড়েই ঠেলেছেন দলের চেয়ারম‍্যান তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । তিনি বলেন, "এই হুমকি-বক্তব্যকে দল কোনওভাবেই সমর্থন করে না । গণতন্ত্রের পরিসরের মধ্যেই সকলের থাকা উচিত । শালীনতা বজায় রেখে ।তবে, এটুকু বলব আইনের মাধ্যমে শুধু হাত কাটা নয়, কীভাবে জেলা রাখা যায় তার ব্যবস্থা করব আমরা । সেটা অবশ্যই আইন মেনে ৷" কুড়মি, আদিবাসী এবং সাঁওতালি সমাজের বঞ্চিত হওয়ার ইস্যুর প্রভাব আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে বলে মনে করেন নওশাদ সিদ্দিকী ।

অপরদিকে, এই হুঁশিয়ারি মন্তব্যের সমালোচনা করে মধ‍্যমগ্রাম শহর তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদের নিজেদেরই কোনও শালীনতা নেই । সেই কারণে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা চলছে । আমরা ভোট লুঠে বিশ্বাসী নই । অভিষেকের জনজোয়ার দেখে বাংলার মানুষ এমনিই তৃণমূলকে ভোট দেবে । তারপরও বলব, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের শালীনতা থাকা উচিত ৷"

আরও পড়ুন: নওশাদদের পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের বিতর্কে আরাবুল

Last Updated : May 28, 2023, 2:14 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.