ETV Bharat / state

শাসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় সিপিএম কর্মীকে জরিমানা ! টাকা দিতে না পারায় মারধরে অভিযুক্ত শাসক দল - সিপিএম

CPIM Worker Allegedly beaten by TMC: উত্তর 24 পরগনার শাসনে এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস ৷ অভিযোগ, শাসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় ওই সিপিএম কর্মীকে জরিমানা করা হয় ৷ টাকা দিতে না পারায় মারধর করে শাসক দল ৷

CPIM Worker Allegedly beaten by TMC
CPIM Worker Allegedly beaten by TMC
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 13, 2023, 5:23 PM IST

Updated : Dec 13, 2023, 5:56 PM IST

শাসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় সিপিএম কর্মীকে জরিমানা ! টাকা দিতে না পারায় মারধরে অভিযুক্ত শাসক দল

শাসন, 13 ডিসেম্বর: পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় প্রথমে জরিমানা করা হয়, সেই টাকা দিতে না পারায় এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল উত্তর 24 পরগনার শাসন থানার কৃষ্ণমাটি গ্রামে । ওই সিপিএম কর্মীর নাম ইমন আলি হোসেন ৷

অভিযোগ, ভোটে লড়াইয়ের 'শাস্তি' হিসেবে তাঁকে জরিমানা করা হয় 1 লক্ষ 70 হাজার টাকা । কিন্তু, সেই টাকা দিতে পারায় ইমন হোসেনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে এনে বেধড়ক মারধরের করা হয়েছে । মারধরে তাঁর বাঁহাত ভেঙে গিয়েছে । আঘাত লেগেছে শরীরের বিভিন্ন অংশেও । আক্রান্ত ওই সিপিএম প্রার্থী চিকিৎসার পর আর নিজের গ্রামে ফিরে যেতে পারেননি । আতঙ্কে আশ্রয় নিয়েছেন বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বারাসতে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসে ।

তৃণমূল অবশ্য পুরো ঘটনাটিকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছে ৷ এদিকে শাসন থানা ওই সিপিএম কর্মীর অভিযোগ নেয়নি ৷ তাই ইমেল মারফত অভিযোগ করেছেন তিনি ৷ এনিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন আক্রান্ত ওই সিপিএম কর্মী ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ভোট বারাসত 2 নম্বর ব্লকের কৃষ্ণমাটি গ্রামের 78 নম্বর বুথ থেকে সিপিএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমন হোসেন । ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যান তিনি । অভিযোগ, ভোটে সিপিএমের হয়ে লড়াই করার জন্য সেই সময় গ্রামছাড়া হতে হয় তাঁকে । এনিয়ে বারবার পুলিশের সাহায্য চাওয়া হলেও কোনও সহযোগিতা পায়নি ইমন হোসেনের পরিবার ।

সিপিএমের পক্ষ থেকেও রাজ‍্য পুলিশের পদস্থ কর্তাদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল । কিন্তু, তাতেও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ । শেষে ঘরে ফেরার আরজি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইমন হোসেনের পরিবার । হাইকোর্টে মামলা গড়াতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ । সম্প্রতি শাসন থানার পক্ষ থেকে ঘরছাড়া ওই সিপিএম প্রার্থীকে গ্রামে ফেরানো হয় ।

অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পর কয়েকদিন সব ঠিকঠাকই ছিল । তারপর আবার শুরু হয় অত‍্যাচার । সিপিএম প্রার্থী ইমন হোসেনের পরিবারকে স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হয় । সেখানে ভোটে দাঁড়ানোর 'শাস্তি' হিসেবে 1 লক্ষ 70 হাজার টাকা জরিমানা করা হয় । দ্রুত সেই শাস্তির টাকা মেটানোর ফতোয়াও দেওয়া হয় ৷

ইমন হোসেনের দাবি, সোমবার সকালে তিনি যখন বাইক নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন, তখন পথ আটকে তাঁর বাইকের চাবি কেড়ে নেওয়া হয় । এরপর মারতে মারতে তাঁকে কৃষ্ণমাটি গ্রামের তৃণমূল পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় । কোদালের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় পার্টি অফিসের ভিতরেই । মারধরে সিপিএম প্রার্থী সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন । কোনোক্রমে সেখান তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে । সূত্রের খবর, বেধড়ক মারধরে ওই সিপিএম প্রার্থীর বাঁহাত ভেঙে যায় । প্রাথমিক চিকিৎসার পর আক্রান্ত ইমন হোসেনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনও তাঁকে নিয়মিত চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হচ্ছে ।

অন‍্যদিকে, গ্রামে ফিরলে ফের হামলা হতে পারে এই আশঙ্কায় বর্তমানে সিপিএম পার্টি অফিসই আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে আক্রান্ত ইমন হোসেনের । সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "হামলাকারীরা তৃণমূলের বলেই শাসন থানার পুলিশ কোনও অভিযোগ নেয়নি । বারবার থানার আইসির কাছে সাহায্য চেয়েছি এর থেকে সুরাহা পেতে । কিন্তু, কোনও সাহায‍্যই মেলেনি তাঁর কাছ থেকে । সেই কারণেই ইমেল মারফত অভিযোগ দায়ের করতে বাধ‍্য হয়েছি ৷"

আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থীর কথায়, "ওরা প্রথমে চার-পাঁচজন ছিল । পরে আরও অনেককে ডেকে নিয়ে আসা হয় পার্টি অফিসে । বলতে থাকে যেভাবেই হোক জরিমানার টাকা দিতে হবে । নইলে রক্ষে নেই ! আমার অপরাধ একটাই, সিপিএমের হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করা । তার জন্য এমন শাস্তির খাঁড়া নেমে আসবে তা কখনোই ভাবতে পারিনি ৷ আমি চাই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক । সেই সঙ্গে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারি, সেই উদ্যোগ নিক পুলিশ প্রশাসন ৷"

একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আহমেদ আলি খানের গলাতেও । তৃণমূলের শাসনে এই রাজ্যে যে গণতন্ত্র নেই, তা এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হল বলে মনে করেন এই সিপিএম নেতা ।

অন‍্যদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে শাসকদলের স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য একেএম ফারহাদ বলেন, "রাজনৈতিক লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে । রাম-বাম-শ‍্যাম, সকলেরই এখন একটাই কাজ শুধু তৃণমূল দলের বদনাম করা । আমাদের দলের অবস্থা এতটা খারাপ হয়ে যায়নি যে লোকের কাছ থেকে উপঢৌকন নিতে হবে । ওটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ । সেটা নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে বিরোধীরা ৷"

আরও পড়ুন:

  1. বেআইনি পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ স্থানীয়দের, নির্মাণকারী সংস্থার পাশে তৃণমূল কাউন্সিলর
  2. অভিনেত্রী না, লোকসভায় ভূমিপুত্র প্রার্থী চাই ! বসিরহাটে পোস্টারে টার্গেট নুসরত; একই সুর তৃণমূলে
  3. 'সম্রাট বেশি বাড়াবাড়ি করিস না" ! তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে হুমকি পোস্টার ব্যারাকপুরে; উদ্ধার বোমাও

শাসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় সিপিএম কর্মীকে জরিমানা ! টাকা দিতে না পারায় মারধরে অভিযুক্ত শাসক দল

শাসন, 13 ডিসেম্বর: পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় প্রথমে জরিমানা করা হয়, সেই টাকা দিতে না পারায় এক সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল উত্তর 24 পরগনার শাসন থানার কৃষ্ণমাটি গ্রামে । ওই সিপিএম কর্মীর নাম ইমন আলি হোসেন ৷

অভিযোগ, ভোটে লড়াইয়ের 'শাস্তি' হিসেবে তাঁকে জরিমানা করা হয় 1 লক্ষ 70 হাজার টাকা । কিন্তু, সেই টাকা দিতে পারায় ইমন হোসেনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে এনে বেধড়ক মারধরের করা হয়েছে । মারধরে তাঁর বাঁহাত ভেঙে গিয়েছে । আঘাত লেগেছে শরীরের বিভিন্ন অংশেও । আক্রান্ত ওই সিপিএম প্রার্থী চিকিৎসার পর আর নিজের গ্রামে ফিরে যেতে পারেননি । আতঙ্কে আশ্রয় নিয়েছেন বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বারাসতে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিসে ।

তৃণমূল অবশ্য পুরো ঘটনাটিকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছে ৷ এদিকে শাসন থানা ওই সিপিএম কর্মীর অভিযোগ নেয়নি ৷ তাই ইমেল মারফত অভিযোগ করেছেন তিনি ৷ এনিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন আক্রান্ত ওই সিপিএম কর্মী ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ভোট বারাসত 2 নম্বর ব্লকের কৃষ্ণমাটি গ্রামের 78 নম্বর বুথ থেকে সিপিএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমন হোসেন । ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যান তিনি । অভিযোগ, ভোটে সিপিএমের হয়ে লড়াই করার জন্য সেই সময় গ্রামছাড়া হতে হয় তাঁকে । এনিয়ে বারবার পুলিশের সাহায্য চাওয়া হলেও কোনও সহযোগিতা পায়নি ইমন হোসেনের পরিবার ।

সিপিএমের পক্ষ থেকেও রাজ‍্য পুলিশের পদস্থ কর্তাদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল । কিন্তু, তাতেও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ । শেষে ঘরে ফেরার আরজি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইমন হোসেনের পরিবার । হাইকোর্টে মামলা গড়াতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ । সম্প্রতি শাসন থানার পক্ষ থেকে ঘরছাড়া ওই সিপিএম প্রার্থীকে গ্রামে ফেরানো হয় ।

অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পর কয়েকদিন সব ঠিকঠাকই ছিল । তারপর আবার শুরু হয় অত‍্যাচার । সিপিএম প্রার্থী ইমন হোসেনের পরিবারকে স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হয় । সেখানে ভোটে দাঁড়ানোর 'শাস্তি' হিসেবে 1 লক্ষ 70 হাজার টাকা জরিমানা করা হয় । দ্রুত সেই শাস্তির টাকা মেটানোর ফতোয়াও দেওয়া হয় ৷

ইমন হোসেনের দাবি, সোমবার সকালে তিনি যখন বাইক নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন, তখন পথ আটকে তাঁর বাইকের চাবি কেড়ে নেওয়া হয় । এরপর মারতে মারতে তাঁকে কৃষ্ণমাটি গ্রামের তৃণমূল পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় । কোদালের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় পার্টি অফিসের ভিতরেই । মারধরে সিপিএম প্রার্থী সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন । কোনোক্রমে সেখান তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে । সূত্রের খবর, বেধড়ক মারধরে ওই সিপিএম প্রার্থীর বাঁহাত ভেঙে যায় । প্রাথমিক চিকিৎসার পর আক্রান্ত ইমন হোসেনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনও তাঁকে নিয়মিত চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হচ্ছে ।

অন‍্যদিকে, গ্রামে ফিরলে ফের হামলা হতে পারে এই আশঙ্কায় বর্তমানে সিপিএম পার্টি অফিসই আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে আক্রান্ত ইমন হোসেনের । সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "হামলাকারীরা তৃণমূলের বলেই শাসন থানার পুলিশ কোনও অভিযোগ নেয়নি । বারবার থানার আইসির কাছে সাহায্য চেয়েছি এর থেকে সুরাহা পেতে । কিন্তু, কোনও সাহায‍্যই মেলেনি তাঁর কাছ থেকে । সেই কারণেই ইমেল মারফত অভিযোগ দায়ের করতে বাধ‍্য হয়েছি ৷"

আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থীর কথায়, "ওরা প্রথমে চার-পাঁচজন ছিল । পরে আরও অনেককে ডেকে নিয়ে আসা হয় পার্টি অফিসে । বলতে থাকে যেভাবেই হোক জরিমানার টাকা দিতে হবে । নইলে রক্ষে নেই ! আমার অপরাধ একটাই, সিপিএমের হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করা । তার জন্য এমন শাস্তির খাঁড়া নেমে আসবে তা কখনোই ভাবতে পারিনি ৷ আমি চাই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক । সেই সঙ্গে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারি, সেই উদ্যোগ নিক পুলিশ প্রশাসন ৷"

একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আহমেদ আলি খানের গলাতেও । তৃণমূলের শাসনে এই রাজ্যে যে গণতন্ত্র নেই, তা এই ঘটনায় আরও একবার স্পষ্ট হল বলে মনে করেন এই সিপিএম নেতা ।

অন‍্যদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে শাসকদলের স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য একেএম ফারহাদ বলেন, "রাজনৈতিক লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে । রাম-বাম-শ‍্যাম, সকলেরই এখন একটাই কাজ শুধু তৃণমূল দলের বদনাম করা । আমাদের দলের অবস্থা এতটা খারাপ হয়ে যায়নি যে লোকের কাছ থেকে উপঢৌকন নিতে হবে । ওটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ । সেটা নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে বিরোধীরা ৷"

আরও পড়ুন:

  1. বেআইনি পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ স্থানীয়দের, নির্মাণকারী সংস্থার পাশে তৃণমূল কাউন্সিলর
  2. অভিনেত্রী না, লোকসভায় ভূমিপুত্র প্রার্থী চাই ! বসিরহাটে পোস্টারে টার্গেট নুসরত; একই সুর তৃণমূলে
  3. 'সম্রাট বেশি বাড়াবাড়ি করিস না" ! তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে হুমকি পোস্টার ব্যারাকপুরে; উদ্ধার বোমাও
Last Updated : Dec 13, 2023, 5:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.