গাইঘাটা, 27 অগাস্ট : প্রায় সারাদিন বাড়িতেই পড়ে থাকল কোরোনা রোগীর দেহ । সংক্রমণের ভয় সৎকারের কাজে এগিয়ে এলেন না কোনও ব্যক্তি । এমনকী প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি । অবশেষে 17 ঘণ্টা পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেহ সৎকারের উদ্যোগ নেওয়া হয় ।
ব্লক প্রশাসন সুত্রে খবর, হোম আইসোলেশনে ছিলেন কোরোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ৷ বুধবার ভোর চারটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় । কিন্তু মৃত্যুর পর দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । এরপর রাতে ন'টা নাগাদ ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর ও গাইঘাটা থানার পুলিশ কোরোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে । বনগাঁ শ্মশানে নিয়ে যায় । সেখানে দেহ দাহ করা হয় ।
দুই সপ্তাহ আগে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই ব্যক্তির । পরিবারের সদস্যরা তাঁকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যান । সেখানেই তাঁর সোয়াব পরীক্ষা করা হয় । রিপোর্ট এলে জানা যায় তিনি কোভিড পজ়িটিভ । কিন্তু উপসর্গ না থাকায় তাঁকে হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় । নিজের বাড়ির দোতলার একটি ঘরে ছিলেন তিনি। গতকাল ভোর রাতে তাঁর মৃত্যু হয় । পাশের ঘরে থাকতেন তাঁর বাবা ।
মৃত্যুর খবর জানার পরিবারের সকলেই সুরক্ষাবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রাখেন । পরিবারের কেউই মৃতের ঘরে যাননি । প্রতিবেশীরাও কেউ তাঁদের বাড়ি আসেননি । মৃতের পরিবারের তরফে স্থানীয় পঞ্চায়েতে খবর দেওয়া হয় । থানা-সহ ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের বিষয়টি জানানো হয় । কিন্তু রাত পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়নি । মৃতর বোন বলেন, দাদার উপসর্গ ছিল না । কিন্তু কোরোনা আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু কোরোনার ভয়ে দাদার কাছে যেতেই পারলাম না ।
গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, গত রাতে ন'টার সময় ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয় । পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ধ্যানেশনারায়ণ গুহ জানিয়েছেন, ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে দেহ সৎকারের জন্য বনগাঁ শ্মশান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল । শ্মশান কর্তৃপক্ষ রাতে দাহ করার সময় দিয়েছেন । সাধারণভাবে রাত 9টা থেকে 12টা পর্যন্ত কোভিড রোগীদের দাহ করা হয় ।