বাগদা, ৭ ফেব্রুয়ারি : বিয়ের প্রস্তাব মেনে নেবে না পরিবার। তাই, দু'জনে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। বিষও খায়। পরে দু'জনে দু'জনের গলা টিপে ধরে। কিশোরীর মৃত্যু হলেও তার প্রেমিক প্রাণে বেঁচে যায়। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। প্রতিবেশীরা ধরে ফেলে। যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে কিশোরীর পরিবার।
যুবকের বাড়ি স্থানীয় আমকুড়া গ্রামে। মৃত কিশোরী স্থানীয় আমডোব উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস এইটের ছাত্রী। সম্প্রতি বাগদা থানার আমকুড়া গ্রামের ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কিশোরীর। স্থানীয়রা জানিয়েছে, সোমবার এলাকার একটি অনুষ্ঠানে তাদের একসঙ্গে ঘুরতেও দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে কিশোরীর মা চাষের কাজ দেখতে যান। সেই সুযোগে ঘরে ঢোকে প্রেমিক। সে কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাতে পরিবারের লোকজন মানবে না বলে জানিয়ে দেয়। কিশোরীর মা দুপুরে মাঠের কাজ সেরে বাড়ি ফিরলে খাটের তলায় লুকিয়ে পড়ে যুবক।
দুপুরের পর ফের তিনি কাজে বেরিয়ে যান। সেই সময় নিজেদের ভালোবাসা বাঁচিয়ে রাখতে দু'জনেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। স্থানীয় এক যুবতির কথায়, "দু'জনেই একসঙ্গে বিষ খায়। কিন্তু তাতে মৃত্যু না-হওয়ায় ফের দু'জন পরস্পরকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে। কিশোরীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ওই যুবক ঘর থেকে বেরিয়ে মুখে গামছা জড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীরা তাকে দেখে ফেলে।
এই বিষয়ে কিশোরীর মা বলেন, "ঘরে ঢুকে দেখি মেয়ের দেহ খাটের উপর পড়ে রয়েছে।" খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। বাগদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে যুবকের অবস্থার অবনতি হলে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়।
ফাঁকা ঘরের সুযোগ নিয়ে যুবক তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে বাগদা থানায় অভিযোগ করেছেন কিশোরীর বাবা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, যৌন নির্যাতন করা হয়নি কিশোরীকে। ঘটনার তদন্ত চলছে।